শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮

মায়ের অহংকার

ডাকছি আমি, ঝড় উঠেছে, এবার মুখটা তোলো।
বাজ পড়েছে, বুক কাঁপে মা, একটু দরজা খোলো।

পছিম কোনে কালচে মেঘে
চাঁদ দিয়েছে ঢেকে,
আমার অন্ধকারে ভয় করে মা,
আমায় একলা রেখে-

কেমন করে দোর দিয়েছ, মায়ার খিড়কি সেঁটে?
বুঝিনি তা খুলবে কিসে, কোন সাধনায় খেটে। 

ভরা হৃদয় বিরান করে ঝড়ের রাতে একা,
জগন্ময়ীর রূপটি কেমন, খুব গিয়েছে দেখা!

মরব বলেই জন্মেছিলাম এই বুঝেছি সার,
ছেলের মরা মুখেই বাঁচুক মায়ের অহংকার!

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

হেঁশেল প্রেম

দিনশেষে ভর সন্ধ্যেবেলায় বাড়ি ফেরার তাড়া
ভাত চড়ালে, চচ্চড়িতে তোমার খুন্তি নাড়া
শুনব বলে হন্তদন্ত জোর কদমে ছুটি,
তোমার ভাতের চালের সাথে আমিও কেমন ফুটি,
দেখতে যেন পাওনা তুমি উনুন আঁচের ভানে,
সম্বরাটার ঝাঁজের সাথে ছ্যাঁত করে এক টানে
আমায় তুমি ডাক পাঠালে হেঁশেল ঘরে এসো,
এই জনমের ঘরকন্নায় এমনি ভালবেসো!

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

হল না কিছুই

অতঃপর কবিত্বশূণ্য, আমি বেশ আছি,
আমার ঘরে বাঙ্ময় মৃত শব্দের বোঝা,
তারই মাঝে গুচ্ছের কান্না চেপে ধরে
বুকের অতলে আজও নিঃশব্দে খোঁজা-
শুধু তোমাকেই!

অচঞ্চল শালগ্রামের মত যেন দেউল মঞ্চে
স্তব্ধ হই, গায়ে পরে প্রসাধন চন্দনের ছিটা,
তুষ্ট নই, তবুও মূক বলে ধরি মুমুক্ষের বেশ,
বোঝাই- গরল বা অমৃত- সমভাবে মিঠা,
বৈরাগীর কাছে!

এই অপ্রতিহত মিথ্যের স্রোতে অরুণিমা,
আমি অস্তাচলে আটকে গেছি একা,
বলেছিলাম-
আসছে বোশেখ এলে বছরটা ঘুরে
বাজারের ফর্দতে পরিচিত লেখা
আমি দেখব বটেই!

হল না কিছুই!

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...