এসো আলিঙ্গনাবদ্ধ হই সঙ্গমাকুল সাপ ও সাপিনীর মত
বিষ থাক যন্ত্রের নির্দিষ্ট প্রকোষ্ঠে, অধর ও ওষ্ঠে পেঁচিয়ে যাই
নেত্রে নেত্র যাক গেঁথে, কম্পমিত জঙ্ঘায় জিঘাংসু কাম
কামড়ে ধরুক, বিষদন্ত প্রস্ফুটিত হোক স্থলপদ্মের প্রায়,
কৃষ্ণগহ্বর উৎসারিত কবিতার কল্লোলিত সাগর উদ্দাম;
চলো তাতে স্নান করি!

সুধাকে মন্থন করি উপগত মন্দার দিয়ে, বহুকালের ক্ষুধামান্দ্য
দূরীভূত হোক অথবা একীভূত, ঘন সন্নিবেশিত চক্রাবর্ত দূর্বাদল
পীড়নপূর্ণ পিষ্টনে মূহ্যমান তাপবাহী লাভাস্রোতে আসক্ত হোক!
বারংবার ভূকম্প হোক, গভীরে হোক অনুসন্ধান কিছুটা প্রমিত সুখের,
জান্তব উপাখ্যান রচিত হোক সাইক্লোনের মত অতলান্ত শূণ্যে!

আহ! প্রমথনাথ! নগাধিপ কৈলাস শিরে তুষারাবৃত পন্নগভূষা অচঞ্চল
প্রমথ মথন দেখ মহীতলে মর্মে মর্মে প্রবলবেগ কলকল কলকল!
কবিতার স্তনাংশুক উদগীত আসন্নপ্রসবা অবসন্ন প্রেরণাকে দেখ
নেতিয়ে পড়েছে কেমন শিশ্নলতার সাথে বিনা প্রয়োজনে!

আহ! অনল, অনল! রসাতলে কি উল্লাস! মিলন স্তম্ভন অন্তঃপুরে
অন্তঃপ্লাবী প্রাজাপত্য রসে এসো ডুবে যাই দিনান্তিকে দশবার!
রেতসঞ্জীবনী মহৌষধি সেবন করুক পুংকেশরী, পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে
যথাস্থানে স্তব্ধ হোক বিপদগর্ভ ভবিষ্যৎ! দোর্দণ্ড দুর্বার
ফিনকি দিয়ে আসুক প্রথম আবেগ, তারপর মরে যাক!

এসো সেভাবে আচ্ছন্ন হই! অপরিতুষ্ট প্রেমে এটাই দরকার!
জীবনকে গ্রাস করি রাহুর বিবরে, ঢুকে যাই, বের হই গ্রহণের মত
অথচ এ কবিতা হোক অগ্রহণীয়, কেন না সত্য সে অশ্লীল!