একপ্রস্ত অন্ধকার গিলে এই নৈশভোজ-
সেরে, আমি বলি চাঁদ, আমার ঢেকুরটা কৈ? 
ভরা পেটে দু'বালতি চালান দিয়ে ত্রয়োদশী ভাঙ
এ কবিতা যে লিখে ফেলে সেকি আমি নই?

বাঁশবাগানের পাড়ে কেওড়াপুকুর, শ্যাওলার ঘাট,
আমি ডুবিয়ে দিয়েছি পদ, বিপদ বিধায়-
এ ভীষণ রাত্রিবেলাও গায়ে- ছাই, রৌরব তাপ,
নগকন্যা, শীতল যে কিসে হব রয়েছি দ্বিধায়!

জ্যোছনা নদীর মত তোমার সিঁথিতে
সহস্রাব্দ বয়ে গেছে কত কবি-ফবি খেয়ে,
দু'ধারে ভাঙন দিয়ে কোঁকড়ানো চুলে
অলিখিত ছন্দ কত নিয়ে গেছে ধুয়ে-
তার বৃত্তান্ত অতশত জেনে- বল আমার কি কাজ?
আমার যে ভেসে যেতে নেই কোন ভয়
আমার যে নৌকোটাতে তুমি এলে আজ!