অমিত্রাক্ষরের মত।
_________________

অবোধ চঞ্চল রে চিত মোর,
বিকট ভাদর তাপ বিটপিবিহীন বিজন দ্বিপ্রহর সম
আশার প্রান্তর, হুতাশন ঘোর-
ক্ষমা নাহি করে।
অনীশ অনিকেত জনের আকুতি নিষ্ফল,
অরতি অন্তরে চক্রাবর্ত বেগে
ত্রিদিবের অবরুদ্ধ দ্বারে দ্বারে ফেরে,
কণ্টকসংকুল লোকে,
পদে পদে বিপদশৃঙ্ক্ষল!

জননী জন্মভূমি অকলঙ্ক প্রাণের ক্রোড়
কুহক-কুজ্ঝটিকার মাঝে মিলায়ে গেল হায়!
অশন অন্বেষণ, তিয়াস মোচন আশে
রৌরবের পথে তুই ছুটিলি ত্রিবিক্রম,
ওরে প্রমত্ত প্রবল,
অমিত আনন্দে ওরে, বহুল বাঞ্ছায়-
প্রস্তরখণ্ডে দিয়া বৈদূর্য্য প্রমাণ মূল্য
সর্বস্ব বিকায়ে এলি ক্ষণকাল শেষে
অতঃপর বুঝিলি রে অন্তিমের ভ্রম,
ভিক্ষুকের বেশে-
অনন্তের অধিকারী অনশনে মরে!

___________

অমিত্রাক্ষর আগে কয়েকবার লিখেছি। এবার একটু নিজের মত খেললাম। সাহিত্যের লোকেরা ভাল বলতে পারবেন কেমন লাগছে।