অরুণিমা,

আমরা বড় অসময়ে প্রেমের কাঙাল হয়েছি,
আমি পনের’শ সালের কোন এক সামন্ত কৃষাণ হলে,
তুমি আজ কৃষাণী হয়েই পেতে যথোচিত সম্মান!

নব্বান্নের ধান,
রৌদ্র-ত্রাস- পরাহতকারী স্বেদজল,
খরার ভ্রুকুটি ম্লান-
করে সোনালী আশায় বাড়ির উঠান, 
সাধের গোলা, ঢেঁকিশাল ভরে গেলেই,
অরুণিমা, সেদিন বাস্তবতা তুষ্ট হত!

মাটির ঘর, খরের চালা, একটা সবলা গাই,
দু’তিনটে বসার পিড়ি, দু’তিনটে কাঁসার থালা-
থাকলেই আমাদের নবাবী আমল যেত
ধনেজনে তৃপ্ত হয়েই।

দুটো নউল আমের চারার মত
কোমল অস্তিত্ব পেতে সানন্দে কোলে!

অরুণিমা,

এ পৃথিবী আর চাষীর জন্য নয়!
অথচ আমি আজও চাষীরই দলে।

__________________

আমার কবিতার সম্ভাষিতাদের মধ্যে অরুণিমা একজন। বেশ আগে অরুণিমা নিয়ে কয়েকটা কবিতা লিখেছিলাম। আজ আবার আরেকটা লেখা এল। লিখেই ফেললাম।