রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দাক্ষায়ণী হবে

তুমি কি আমার জন্য তবে দাক্ষায়ণী হবে?
পিতার প্রাচুর্য্য, উপরোধ উপেক্ষা করে আমারই
বিকৃত প্রতিকৃতির গলায় দেবে দাম্পত্য হার?
কাছাড়িয়া শীতল শ্রীহট্ট হিমবান গৃহ ছেড়ে
এসে যাবে একদিন নবরূপে পার্বত্য চট্টলা-
পার্বতী সেজে? আমার স্কন্ধে দেবে স্কন্দের ভার?

যদিও এ রসিকতা নমিতাঙ্গিনী, তবুও তো
অনায়াসে অসাধ্য প্রেমের সংযোগে ত্রিশুলপাণি,
আমার চির-আরাধ্য বৈরাগ্যেশ্বর এমনই সামনে আসে!
আমি কি বদ্ধনেত্র, আত্ম-গভীরে তোমাকে করছি অনুভব?
অথবা আমি কি ক্রমেই মিইয়ে যাচ্ছি প্রিয়া সংসারের ত্রাসে?
আমি কি ভাবছি- যা কিছু অসম্ভব- সবই সম্ভব?

তোমাকে জাহ্নবীর মত করে জটায় ধরে রাখি যদি,
ধূর্জ্জটির কিশোরচন্দ্র ছটায় যদি আভূষণ গড়ে দিই-
জ্যোৎস্না গলানো প্রেমে এক জোড়া নিখাদ নূপুর?
তুমি কি থাকবে না চিরদিন সামনে আমার,
আমার ভেতর-বাহির ঘুরে সকাল-দুপুর
গহণ রাত্রিবেলা অবাধ মায়ায়
নিঃশ্বাসের শব্দ জুড়ে ছায়ায়-
ও কায়ায়?

১৮ জানুয়ারী, ২০১৭।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...