শ্যামাঙ্গিনী, একদিন সূয্যি ডোবার আগে
দেখেছি চপলা মেঘের মত, অনিন্দ্য কজ্জ্বলা-
আভাবিকীর্ণা, হাস্য-লেশহীনা তুমি তড়িৎ বেগে-
চিক্কন আলুথালু নারীত্বের দ্যুতি তোমার- চিকুরজাল মেলে 
চলে গেলে সমুখে আমার, দু'পলক ধীর লয়ে চেয়ে।
বুকের প্রান্ত ঘেঁষে, নিমেষে, একবিন্দু না হেসেও
অনঙ্গের ছলে- তুমি অনন্যা, প্রার্থিতা পার্থিবময়ী তুমি,
মৃৎবরণা, - অবারিতা প্রকৃতির সাঁওতালি মেয়ে।
সমুখে আমার- তুমি চলে গেলে দু'পলক ধীর লয়ে চেয়ে।।

নিবিড় নিক্কণ, সে কি রৌপ্য আভূষণ পদস্থলে,
যেন কত সহস্রাব্দের আবহমানা তটিনীর স্রোতমুখ খুলে
জনপদের পর জনপদ সে সোৎসাহে করেছে কলন।
বহু ব্যাহৃত আদিম পৌরুষ, মধুরা তন্বী-
রূপ সন্দর্ভে তোমার যত কবিত্ব প্রয়াস,
সে শিঞ্জনে সদর্পে দলো, - কটাক্ষে কন্দর্প করেছ শমন!
যে পথে তুমি- অকরুণা চলেছিলে দ্বিধাহীনা নিঃশব্দে
যৌবন মথিত করে অরুণিমা বেয়ে, আর দু'পলক চেয়ে;
আমি আজও সে পথেই অপেক্ষমাণ পাষাণের নিদ্রা বুকে
যদি তুমি ফিরে আসো কোনদিন- সাঁওতালি মেয়ে,
সমুখে আমার- ব্রীড়াহীনা, অপ্রমত্ত সূর্যাস্তে লাস্য হাসি দিয়ে,
যদি ফেরো কোনদিন অতীতের বেশে, দু'পঙ্ক্তি বাসনায়
দু'টো কথা হয়ে- যদি ফেরো কোনদিন-
কোনদিন যদি ফেরো- সাঁওতালি মেয়ে।।