ঘাসফড়িং এর মচমচে ফ্রাই, গোটা কতক চ্যাং,
আজকে ডিনার ভালই হল রোস্ট বানিয়ে ব্যাং!
বিছুটি পাতার ঝোলের মাঝে ডজন খানেক ক্যারা,
ভালই লাগে সরষে তেলে ভাজলে হালকা কড়া!
আরশোলার ওই চাটনী রাঁধা?- গিন্নীর ভাল জানা 
কেঁচোর স্যুপ আর পাই না খেতে, বদ্যি বলে মানা। 
তাতে নাকি মেদ বেড়ে যায়, তবে টিকটিকিটা ভালো,
সেটা নাকি রোজ খাওয়া যায়- সাদা কিম্বা কালো!
টিকটিকিতে রক্ত বাড়ে, পিঁপড়ে চোখের পাওয়ার,
পিঁপড়ের এখন বাজার গরম, আর কি আছে খাওয়ার!
কলাই ডালের পায়েস করে মিষ্টি কিছু নিমপাতায়
                    সকাল সন্ধ্যে নিয়ম করে- নিত্য যদি খাওয়া যায়
                    তবে নাকি স্বাস্থ্য হবে এক্কেবারে গাধার মত সুঠাম-
                    রোজ আর এসব পাব কোথায়? ঘর কি খাদ্য গুদাম?
                    তাই ব্যাঙের ওপর ডিপেন্ডেবল, প্রোটিনযুক্ত জিনিস,
(হ্যাঁ রে খগেন) কাল বাজারে কচি দেখে আর দু'একটা কিনিস!
                    শীতের দিনে মসলা কষে কুনো ব্যাঙের ঝোলে
                    যে ডোবেনি সে বোঝেনি - পার্টি কাকে বলে!
                    মিষ্টি কুমড়োর ঘ্যাঁট খেয়ে কি এসব বোঝে লোকে,
                    তাই বঙ্গবাসীর পেটের ব্যারাম যাবে আর কি সুখে?
আমার মত ডায়েট করুন, ভেজাল খাদ্য ছাড়ুন
বলতে কিন্তু ভুলেই গেছি- আহা! ঝিঁঝিঁও কিন্তু দারুন!
পোস্ত ঝিঙে মিশেল করে সেদ্ধ ঝিঁঝিঁ খান-দশেক
ভাবছেন বুঝি পাগল আমি, মাথায় আমার ভীষণ ক্র্যাক! 
ভাল বুদ্ধি নেয় না লোকে- সে কি আমার অজ্ঞাত? 
তবু যদি শুনত রে কেউ- পোড়া মনের সুখ হত!!