সুলেমান,
বন্ধু আমার,
আমি অনেক কষ্ট করেও হতে পারিনি
তোদের মতো প্রগতিশীল, সুশীল!
আমার তলায় জমে গেছে নিগ্রহের সুদীর্ঘ ইতিহাস,
আমার খড়ের চালে শান্তির আগুন, দেউলের নাক-কান কাটা,
হাত ঠ্যাঙ ভাঙা, উঠানে বোনের ওড়না ভাসে চোখে!

সুলেমান,
বন্ধু আমার,
আমার কবিতা লিখতে হাত কাঁপে,
আমি মানুষের অসহায়ত্ব দেখে হৃদয় ও শিশ্নের মাঝে
পারি না ঢুকে যেতে, আমার মুনে হয় আমি অন্য রকম কিছু লিখি!
অসভ্য, ইতর হই, ল্যাংটা ল্যাংটা ভাষা লিখি-
লিখি কি করে আমার স্বাধীনতা লাঞ্ছিত হয়
ক'দিন অন্তর অন্তর!

সুলেমান,
বন্ধু আমার,
আমার শুদ্ধতম আবেগ নেই কুত্তাকে সারমেয় বলার,
আমার হৃদয়ে যথেষ্ট প্রেম নেই কোন শুয়োরকে মানুষ ডাকার,
কোন কেউটের ফনা ধরে চুমু খাবার বিন্দুমাত্র সদিচ্ছা আমার নেই!

সুলেমান,
আমি পারিনি মুক্তমনা হতে, আমি পারিনি অনেক চেষ্টা করে
বাপ ঠাকুদ্দার গায়ে মুতে দিতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শৈল্পিক ভাবে!
আমি আমাকে তোদের মত বেশি বেশি যৌক্তিক বানাতে চেয়েছি,
অথচ আমার মনে হয়েছে সরলতাটি সবচেয়ে আগে প্রয়োজন!

সুলেমান,
বন্ধু আমার,
দেখতে অনেকে হয় মানুষের মত,
অথচ সবাই কেন যে মানুষ নয়!
_____________

কবিতাটি ১৮/৩/২০১৭ তে ‘পোগোতিচীল কবিতা’র সংস্কারকৃত রূপ। ‘পোগোতিচীল কবিতা’র শ্লেষটুকু এখানেও অক্ষুন্ন আছে। এটি প্রকাশ করতেও দ্বিধা লাগে পাছে শিশুতোষ কবিতার জগতে এই কবিতা শ্লীল-অশ্লীলতার তর্কে ব্যান না হয়ে যায় আবার!