সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কীর্তিগাথা

একদিন কীর্তিমান কীর্তিনাশা হয়ে
কীর্তনখোলার পাড়ে বিড়ি ফুঁকে শুয়ে!
চোখে তার আধো ঘুম, বৈদগ্ধ নেশা
তটিনীর অপর পাড়ে নটিনীর বাসা।
আচম্বিতে ভেসে ওঠে চুম্বিত মুখ
সেখানে অন্ধকার, চাঁদের অসুখ
শোনা যায় কানাঘুষা কিছু ফিসফিস
বিড়িটাও নিভে যায়, মনের হদিস-
নেই আজ কতদিন!
ঝিঁঝিঁর সান্ধ্যগীতি ধীরে হয় ক্ষীণ।

মাঝ দরিয়ায় জ্বলে মাঝির পিদিম
বেদনার লাল রঙে শিখা অগ্রিম
কাঁদে ঋতুমতী বিভা।
কবিতার খাতা খোলে শিরিশের পাতা
নিপাতিত ছন্দ ধরে ভাসা আর ডোবা
রজনী বিগতপ্রায়, কি যে ছাতা মাতা
ছাইপাঁশ দিবারাত ভাবা-
এ না কি কবিত্ববোধ! পাগল প্রলাপ!
জ্যোছনার সাথে কিছু হয়েছে আলাপ
সেও হাল ছেড়ে দিয়ে অন্যের সাথে
জোনাকীরা নিভে গেল আঁধারের স্রোতে
তবু কারা যেন গান গায় অভ্যেস মত।
তারা যে বোঝে না কার যন্ত্রণা কত
কোন কোন উদাসীর সুরেও বিরাগ
বুকে তার কত ক্ষত, অভিমান, রাগ
সেঁটে গেছে ফোস্কার মত!

কলকল ঢেউয়ের টানে উজানি বাতাস
আসে আহ্নিকগতির সাথে দীর্ণ নিঃশ্বাস 
নাসারন্ধ্র ভেদ করে না বলা ব্যথায়।
কবিতাগো এখনো অনেক কথা কথায় কথায়
চষে মন মরুভূমি।
লাভ নেই, ফল নেই, জানো সে তো তুমি!
ওদেরও জানাও!

ভাল নেই, সুহাসিনী হেসো না গো আর
দেবে না গো আজ তুমি ক'টা টাকা ধার
বিড়ি কিনে খাব!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...