পঞ্চবদন বৃষভবাহন দেব পিনাকপাণি
ভূজঙ্গধর শশধরধর হর হর শিব শম্ভু।
ভুবনপাবন ভবানীরমণ ধূর্জ্জটি মহাকাল
গঙ্গাশরণ মদনদহন মহাপ্রপঞ্চ-জাল-
হর, যেন বজ্রনিনাদে শিব শিব গাহে কম্বু।
নিখিলেশ্বর গিরিজাপতি হর হর শিব শম্ভু।।
যা মনে আসে লিখি। ভাল লাগলেও লিখি, না লাগলেও লিখি। কারো ভাল লাগা না লাগার ওপর আমার কোন ঔৎসুক্য বা অভিমান নেই!
পঞ্চবদন বৃষভবাহন দেব পিনাকপাণি
ভূজঙ্গধর শশধরধর হর হর শিব শম্ভু।
ভুবনপাবন ভবানীরমণ ধূর্জ্জটি মহাকাল
গঙ্গাশরণ মদনদহন মহাপ্রপঞ্চ-জাল-
হর, যেন বজ্রনিনাদে শিব শিব গাহে কম্বু।
নিখিলেশ্বর গিরিজাপতি হর হর শিব শম্ভু।।
আরো যত এই মৌনী রাত্রি গাঢ় হয়
খুড়ুলে পেঁচার দল বেরোয় কোটর হতে।
জীবনমথিত স্মৃতিপুঞ্জ- পতঙ্গবৎ ওড়ে
অলিপ্ত সমাপ্তির নিঃসীম যাত্রাপথে-
জনান্তিকে, অন্ধকার ঘিরে-
তারা কালের গর্ভে মিলায়;
পেঁচার গ্রাসে।
অসহ এ সময়, অব্যক্ত দুর্বিপাক
নাড়ে কুটীরের কড়া, ভীষণ ঝঞ্জায়
কুঞ্জে গুঞ্জে মেঘ আসে।
পেঁচার গ্রাসে-
গেছে জন্মলব্ধ- ঘুম পাড়ানির ছড়া,
কাঁপন ধরা গান, নিলয়-ঘ্রাণ
অতীতকালের কত।
সব গেছে…
আজ কবিতাগুলো বিপন্ন,
গৃহহারা গানের কলি এই রোদ্দুরে
ঘুরে মরে অচেনা জনপদে,
প্রতিমাকৃতি ছবি কত- বিবর্ণ-
অসারতায় ধুলোর অন্তরালে যায়,
তবু কারো ভ্রুক্ষেপ নেই।
বরং একরাশ আক্ষেপ আকাশভরা
আঁধারে ফেরে রাত্রির গায়-
হতশ্রী বিদায়ী জনমের।
সংক্ষুব্ধ সাগরজলের স্রোতে যেন
ভেসে চলেছে অগুনতি জঞ্জাল,
প্রদমিত বাসনাপুঞ্জ বিশ্বভুবনের-
তবু কারো ভ্রুক্ষেপ নেই।
বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...