শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭

আমার অনাস্থা

বহুবার হৃদয়ের অভিযানে হেরে গিয়ে
আমি অনুভব করি- আমি কোন তথাগত বুদ্ধ নই!
আমি বড়জোর কোন অমেরুদন্ডী কবি-ফবি হব,
-অসমর্থ কাপুরুষ, যে জানে না শস্ত্র হাতে নিতে
ফুল তার কাছে এক গুচ্ছ প্রেমের অজুহাত!
আমি বলি- যে শান্তিবার্তা পারে না অশান্তি ঘুচাতে,
যে প্রেমের বুলি ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে যুদ্ধের কাছে, সে যাক নির্বাসনে!
দু'টো দানবকে প্রেম দেখাতে গিয়ে আমি চাই না দু'শো লোক
পুড়ে মরে যাক- অমন প্রেমে আমি মুত্রপাত করি বলে ভদ্রলোক নই,
অমন ভদ্রলোক হবার জানি না কি মানে আছে এই দুনিয়ায়?
অভদ্রলোকের দস্তাবেজে আমার টিপসই-
তাই জ্বলজ্বল করে।
যার শিশ্ন উত্থানে অক্ষম আজকে সে-ই সাজে সবচে' সংযমী পুরুষ,
আহামরি জিতেন্দ্রিয়, আর যার উত্থান হয় সে হয়- অতি অভিশপ্ত প্রাণী!
এই সমাজে ক্লীবরা শিল্পী হবে, ক্লীবরা হবে সমাজের পথদ্রষ্টা,
নপুংসকেরা হবে কামজয়ী ঋষি, গুপ্ত-স্ত্রৈণরাই হবে ধর্মগুণে জ্ঞানী!
অমন জ্ঞানীর মুখে বাতকর্ম সেরে আমি আর কোন সভ্যলোক নই!
যে সমাজে ধর্ষকের বিচার করে ধ্বজভঙ্গের দল
সে বিচারে আমার অনাস্থা চির অক্ষয়!

এপ্রিল ১

বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

তা কি অজানা তোমার?

কিছু জ্বালা নির্বাপিত হলে পৃথিবী বঞ্চিত হয় শ্রেষ্ঠ কিছু কবিতা থেকে। 
কিছু প্রেমিক নির্বাসিত হলে কিছু প্রেমিকার প্রেম হয় অমর অক্ষয়! 
আমি চাই আগুন জ্বলুক, আমি চাই- আমি না থাকি তার ধারেকাছে, 
আমার স্বেচ্ছা নির্বাসনে তাবৎ পৃথিবীর কিছু ক্ষতি হয় বা না হয়- 
তোমার ক্ষতির বুকে কবিতার পাপড়ি খুলুক- এ আমি বেশী করে চাই! 

আমি পুড়ি বা না পুড়ি, তুমি পুড়ে ছাই হয়ে যাও, অঙ্গার উড়ুক পথে, 
আমি চাই, এ আমি খুব খুব চাই, আমি চাই সঘন আষাঢ় দিনে জৈষ্ঠের মত 
তোমার ভেতর থাক প্রখর রোদ্দুর, কপালে স্বেদবিন্দু, অন্তরে পিয়াস 
তুমি বয়ে যাও চাতকের মত, আমি কবিতার চকোর হয়ে চাঁদের সমুদ্দুর 
পাড় ধরে ডিঙি বেয়ে যাব- তাতে হয়ত কোনদিন দেখা হয়ে যাবে দু'জনার! 

দেখা হলে কবিতা শুনিয়ো দু'চার ছত্র, চোখে তুমি রেখো না দু'বিন্দু অবশেষ; 
পাথরের কাছে ঘা'এর মূল্য আছে, জলকণা অর্থহীন- তা কি অজানা তোমার? 



৩১ মার্চ

সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭

জঙ্গী হতে পারি

তোমার জন্য জঙ্গী হতে পারি,
বুকের ওপর বেঁধে বোমার বর্ম
ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি ছিন্নভিন্ন হতে!
বিশ্বাস কর বাহাত্তরটা হুর আমার না পেলেও চলে,
আমার অত্যন্ত অদরকার জান্নাতের সুখ,
তুমি থেকো, তবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে-
তোমার আলফানসোর মত মুখ-
ছুঁয়েই আমি শহীদ হতে বিনাবাক্যে রাজী!


ওদেরকে বলে দেব, 'মেকুরের দল মুড়ি খাও,
জানি কি ছিঁড়তে পারো, সোয়াত পাঠাও শিগগির!'
আমি আমাকে আর সামলাতে পারি না প্রিয়তমা
তোমার চুলের গন্ধ পেতে, আমার সাইনাস সর্দির
অবসান ঘটিয়ে দেবো সুইসাইডাল জিহাদী হয়ে!

আমি তোমার জন্য সমস্ত কিছু করতে পারি,
এই প্রচণ্ড গরমের ভেতরেও আমি মুখে গজাতে পারি
দশ ইঞ্চি দাড়ি, বাকী সব এখানে বলার নয়!
যদি তুমি চাও তবে অন্যত্র বলা যাবে শুভক্ষণ দেখে,
বাকী যতটুকু আপাতত শালীনতায় সিদ্ধ হয়
ততটুকু বলেই না হয় দিয়ে যাই আখেরি সালাম!

আমি আতিয়া মহলে আছি,
জাকিয়া সুলতানা- চিঠিটা দিলাম!

২৯ মার্চ

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...