সকল বিপর্যয়ের ভীড়ে,
শ্রাবণের প্লাবনে, বৈশাখের ঝড়ে-
আমি চেয়েছি নিছকই বেঁচে থাকতে।
পথের মাঝ বরাবর, বরাবর অলঙ্ঘ্য অচল
-আসে, কথার তোড়ে নড়ে বক্ষপিঞ্জর-
আমি চেয়েছি মূক পাথরের মতন স্থবির হতে,
অথচ অগ্নিগিরির মতন ফেটে হয়েছি চৌচির,
হৃদয়কন্দরে লাভার গন্ধ ভাসে!
যা মনে আসে লিখি। ভাল লাগলেও লিখি, না লাগলেও লিখি। কারো ভাল লাগা না লাগার ওপর আমার কোন ঔৎসুক্য বা অভিমান নেই!
সকল বিপর্যয়ের ভীড়ে,
শ্রাবণের প্লাবনে, বৈশাখের ঝড়ে-
আমি চেয়েছি নিছকই বেঁচে থাকতে।
পথের মাঝ বরাবর, বরাবর অলঙ্ঘ্য অচল
-আসে, কথার তোড়ে নড়ে বক্ষপিঞ্জর-
আমি চেয়েছি মূক পাথরের মতন স্থবির হতে,
অথচ অগ্নিগিরির মতন ফেটে হয়েছি চৌচির,
হৃদয়কন্দরে লাভার গন্ধ ভাসে!
এ কান্তারে কে তারে করুণা-কাতর জনে?
কলুষ-কঠিন ভার অচল স্কন্ধে তার
অন্ধকার-ভয় মনে?
কুটিল-কণ্টক যত কল্মষ কলঙ্ক ক্ষত
সর্ব-অঙ্গে কত রঙ্গে হুতাশন-শর হানে!
ভবরোগ কে হরিবে? স্নেহছায়ে কে রাখিবে?
কোলে তারে কে টানিবে- বিরলে বিশাখ ভনে।।
পাতাল ফুঁড়ে বেরুনোর পর
আমি কেবল আকাশই দেখতে চেয়েছি।
মাটি ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করতে গেলে
দেখেছি মাটির টান কেমন পা টেনে ধরে
তবুও আমি আকাশে ভর করে দাঁড়াতে চেয়েছি।
আজ আমি আকাশ
আর মাটি সব প্লাবনে তলিয়ে গেছে।
আজ আমি আকাশ
মাটি সব আমারই ছায়ার গ্রাসে
মিলিয়ে গেছে অবলীলায়!
বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...