শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

তোমার তরণী ঐ আসে

 


নিঠুর কঠোর মম,

অবারিত বেদনাস্রোত হতে অবিরত আবাহন

শুনি অনন্ত পথে প্রবাহিত, অবোধ অগণন

তৃষা-মথিত নয়নাশ্রুজলে রচেছে সাগর। 


তোমার তরণী ঐ আসে! 



বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪

এরা মিছামিছি শুধু ভোলালো

 



এরা মিছামিছি শুধু ভোলালো। 

আমি ভেসে যাব বলে বাহিরেতে- 

আমি জেনে বুঝে জানি এসেছি, 

এরা তুলে নিতে তরী ভেরালো! 


আমি সব শুন্যরে জানিয়ে বিদায়

ভবভারে তরী ভরেছি, 

ওরা বলে, এই ভার যে তুচ্ছ, মোরা

কত ভারী বোঝা বয়েছি'; 

আমায় মাঝামাঝি নিয়ে ঝড়ের বাতাসে 

কতনা যতনে ডোবালো।


এরা মিছামিছি শুধু ভোলালো। 

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

নইলে ভেস্তে যাবে সব

 

এলোপাথারি ছোটো কেন?

জলকামানের গোলা, বাক্যবারুদে ঠাসা লাঠিচার্জ, 

রাবারবুলেট, দু চার পাঁচশ মিথ্যে মিসাইল

ওরা ছুঁড়তে জানে- তুমি স্রেফ ধীর পায়ে সোজা হেঁটে এসে-

উষ্ণীষ উঁচু করে থাকো। 


কোন সাদা নীল বিল্ডিংএর সামনে নয়, 

তুমি জড়ো হও আগ্নেয়গিরির বিবরে, লাভায় যাও ভেসে-

তুমি অঙ্গে অঙ্গার মাখো। 


বিশ্রী, খুবই কদর্য, অসহায় সময়ের ভগ্নদ্বারে 

লুটিয়ে মাথা কেঁদো না আর, তুমি বাঁচো,

বাঁচো মাটিতে পা রেখে, শিরদাঁড়া টানটান করে- 

অগণিত ভাঁড়ের কুটকাচালিতে শ্লেষ্মা ঝেড়ে ঘৃণায়- 

মত্ত নাচো, মাতঙ্গের মত; মার্তণ্ডের মতন জ্বলো রাতের আকাশেও।


নইলে ভেস্তে যাবে সব!

বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪

এখনো আঁধার পর্যাপ্ত নয়

 

এখনো আঁধার পর্যাপ্ত নয়। 

কিছু অবশিষ্ট আলোর দুর্ভেদ্য কারাঘরে-

প্রতারিতের শংকাতুর দিন- 

আমার যায়। আমি নিঃসহায়। 


অবসন্ন হতাশাভারী শরীরশকট। সুনিদ্রাহীন- 

রাত্রি পর রাত্রি, অতল সংকট- 

আষ্টেপৃষ্টে সাপের মতন পেঁচিয়ে ধরে; আঁধারযাত্রী- 

হবার ভয়। 


এখনো আঁধার পর্যাপ্ত নয়।

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

নন্দঘোষ

 

আর কার ঘাড়ে চাপালে দোষ 

নন্দঘোষ- তুমি চিরমুক্তি পাবে? 

অত্যন্ত আনন্দে যাবে- নির্বাসনে?

সুদৃঢ় প্রেম- কঠিন রোষ- বিদায়ক্ষণে

সকল হেঁয়ালি কুহেলি ছিঁড়ে- 

সন্তর্পণে, অতি অনবধানে- সমূহে?

মন্দ্রলয়ে, তিমিরে ধীরে? 

অলাতচক্র-ব্যূহে? 


প্রগাঢ়তর তমসা আসে চক্রবালে। 

কার গ্রীবাদেশে শাণিত মসী ধরে

ক্রুর হাসো গভীর অন্তরালে? 

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

'অসির চেয়ে মসী বড়'

 

যারা politics বোঝেন, তারা বোঝেন nothing is precisely appolitical! 'অসির চেয়ে মসী বড়' বোঝাতে গিয়ে মসীর মাহাত্ম্য যে খাটো করা হয়নি- সে কথা অনুর্বর মস্তিষ্কে ঢোকে না!

শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪

চটির তলায় পিষে যাচ্ছি

 

চটির তলায় পিষে যাচ্ছি। 


রাস্তা-ঘাট বাজার-হাট সব সফেদ চটির তলায়

ধুলোয় মাখামাখি, রক্ত জমে আঠা হয়ে গেছে

চটির ফিতায়! তবু কথার চকমকি 

থামে কৈ?


তেতিয়ে উঠেছে চিতায় কার অনলধ্বজ!

আঁধারে শেয়ালের দল ওঁত পেতে জানি।

আমি তো চিনিনে জোড়া ফুল-পাঞ্জা-পঙ্কজ; 

শুধু আমি চটির তলায়, সুরাসুর-কিন্নর-নর-মুনি-

আর কোটিকোটি বুদ্ধিবেচা বিদূষক-পূজিত

চটিযুগলতলে আমার হাড়মাংস থেঁতলে যাচ্ছে, 

চটির পথচলায়!  


শেয়ালেরা ঘাপটি মেরে আছে।

শাঁকচুন্নিরা শঙ্খ বাজায়।

যদিও রক্তে এখন বিষজ্বালা ঢের, 

তবু জানি না কেন হাসিও পাচ্ছে। 

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...