সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

অবকাশ

আমার থাকা না থাকায় আমারও আর কিছু যায় আসে না,
যে থাকে না আমার ভেতর সে থাক না হয় বাইরে বাইরে,
তাকে তাকে বেদনা গুছিয়ে রেখেছে যে সে কাঁদুক গুমরে গুমরে,
যে প্রথম পাতাটা খুলেছে অন্তত সে যেন শেষ অব্দি আর কাঁদে না।

ফাগুন ফুঁপিয়ে ডুকরে উঠেছে কার শ্লাঘা ও প্রেমের দ্বন্দ্বে,
ধুতুরা যে মধুপের মৃত্যু রচে না এ কথাও কবে যে ভুলে গেলাম,
কাঁটার কূটজ্বালা যদিও বিস্তর তবুও কি ফুলের মাতাল গন্ধে-
জীবনে আচ্ছন্ন হই- কোনদিন ভাববো বলেও আর ভাবা হল না।

আমার বাঁচা না বাঁচায় কখনো কোনভাবে কোন কথারা মরে না,
অনেক না বলা অ-কথা কঁকিয়ে ওঠে, কিছু আলজিভে অপেক্ষায়-
আমরণ লড়ে, তারা কখনো তোমাকে বলে গেল না কবিতেশ্বরী-
একেকটা কবির কতটা সর্বনাশ অলিখিত কতকটা কবিতায়....
তুমি যদি বুঝতে! কে বোঝাবে তোমায়?

আমাকে আর প্রশ্ন কোরো না, আমি এক হাজার এক কথায়-
ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অথবা মূর্খের সরলতায় বহুবার বলে গেছি যা
আজও একই কথা বলি, পশ্চিমের গোধূলি পশ্চাতে রেখে একদিন
অ-কন্দর্প ভুজবন্ধনে যে কবিতা অনুচ্চারিত ঋক-সামের মত বেজেছিল
তুমি কখনো কেন জানি না তার মাঝে আমায় খুঁজে দেখোনি!
হয়ত কখনো তুমি পাবে না আর এতটুকু অবকাশ!

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

মরণায়ুধ

মরণ তোমার উদ্যত আয়ুধে নমি।
জনমের অন্তরালে প্রতিহারী সম
জীবন কারার দ্বার রাখিয়াছ তুমি
চির-রক্ষিত। নিঃশ্বাসে দম্ভদর্প ভরি
তোমার ক্রোড়ে ফিরিবার বিস্মরণে
প্রত্যহ এ সংসার মোহে মুগ্ধ করি
তুমি মোরে পালিতেছ হে দয়েশ্বর
সবারই আপন তুমি নহ কারো পর।

তথাপি ত্রিলোকস্বামী, কালচক্রপাণি,
ত্যাজিয়া দুঃখের সত্য, সুখের সন্ধানী
হইয়াছি জন্ম জন্ম মজিয়া কি ভ্রমে;
নিরন্তর নিরয়পথে ছাড়িয়া দ্যুলোক
আসিয়াছি অন্তে আমি বুঝিলাম ক্রমে।

___________

আর লিখতে পারি না। হাত আটকে যায়।

'মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান'

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পরস্মৈপদী

পরস্মৈপদী প্রেম
হাতি ও ঘোড়া চেনে
চেনে না সহিস ও মাহুতের
যথার্থ ব্যবধান!

সাহসে অনেকে মরে,
ক্ষেতের পোকারা মরে হ্যাজাকের তলে;
এ মৃত্যুর কি সম্ভাব্য অবদান-
জীবনের কাছে সে প্রশ্ন ক'জনের?
ক'জন মৃত্যুগামী এ প্রশ্ন তোলে?

অথচ সবাই বাঁচতে চেয়ে
তিলে তিলে মরে,
সবাই বাঁচতে চায়
মরে যাবে বলে!

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...