আমার থাকা না থাকায় আমারও আর কিছু যায় আসে না,
যে থাকে না আমার ভেতর সে থাক না হয় বাইরে বাইরে,
তাকে তাকে বেদনা গুছিয়ে রেখেছে যে সে কাঁদুক গুমরে গুমরে,
যে প্রথম পাতাটা খুলেছে অন্তত সে যেন শেষ অব্দি আর কাঁদে না।
ফাগুন ফুঁপিয়ে ডুকরে উঠেছে কার শ্লাঘা ও প্রেমের দ্বন্দ্বে,
ধুতুরা যে মধুপের মৃত্যু রচে না এ কথাও কবে যে ভুলে গেলাম,
কাঁটার কূটজ্বালা যদিও বিস্তর তবুও কি ফুলের মাতাল গন্ধে-
জীবনে আচ্ছন্ন হই- কোনদিন ভাববো বলেও আর ভাবা হল না।
আমার বাঁচা না বাঁচায় কখনো কোনভাবে কোন কথারা মরে না,
অনেক না বলা অ-কথা কঁকিয়ে ওঠে, কিছু আলজিভে অপেক্ষায়-
আমরণ লড়ে, তারা কখনো তোমাকে বলে গেল না কবিতেশ্বরী-
একেকটা কবির কতটা সর্বনাশ অলিখিত কতকটা কবিতায়....
তুমি যদি বুঝতে! কে বোঝাবে তোমায়?
আমাকে আর প্রশ্ন কোরো না, আমি এক হাজার এক কথায়-
ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অথবা মূর্খের সরলতায় বহুবার বলে গেছি যা
আজও একই কথা বলি, পশ্চিমের গোধূলি পশ্চাতে রেখে একদিন
অ-কন্দর্প ভুজবন্ধনে যে কবিতা অনুচ্চারিত ঋক-সামের মত বেজেছিল
তুমি কখনো কেন জানি না তার মাঝে আমায় খুঁজে দেখোনি!
হয়ত কখনো তুমি পাবে না আর এতটুকু অবকাশ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন