বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

অস্থানে অপ্রসঙ্গ

কোন কিছু লেখারই আর প্রয়োজন পরে না,
ভাগে ভাগে দলে দলে ভেঙে গেছি,
গোড়ালি-হাঁটু-পাঁজর-কোমর—
নড়ে গেছি স্থানে স্থানে—
আতুরের কি আর স্বদেশ বিদেশ বল,
অতুলিত বাতুলতার পানে—
তাই চিত্তবিমুখ!

কারা কারা প্রতিবাদে যায়,
কারা চায় নিত্য বিবাদ—
এসবে অরুচি এসে গেছে,
বিদ্রোহে দ্রোহ জন্মে হল পিছল শ্যাওলা,
সাহিত্য— সে তো ছ্যাবলামি লাগে!

কোন গীতসুধায় দিতে পারি না তো প্রাণ—
কত বানোয়াট দ্বন্দ্ব তুলে কত প্রলাপ,
কত ক্ষুরধার ক্ষোভিত শ্লোগান—
পেটের ক্ষুধায় মিইয়ে পরে,
কতক গরিমসি করে ভুলে যেতে থাকি—
সবকিছু যে মনে তুলে নেয়,
কারো মনে সে পায় না তো ঠাঁই!

এখন এ পৃথিবী দ্ব্যর্থহীন ছল-চাতুরির চালে
সৌহার্দ্যহীন নরকের মত—
ভালোবাসার ভাঁড়ামি আছে, গাণিতিক ভাবে—
ন্যাকামো হয়েছে শান্তির পরম মান,
ভনিতার কুম্ভীরাশ্রু জলে অযুত নিযুত—
সত্য গেছে বিনাযুদ্ধে মরে—
কেউ তো অকারণে করেনি সন্ধান!

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯

অকূলে ভাসার তরী

শত আলেয়ার আঁধারি খেলায় আমি দেখি তুমি আমারি
তোমাকে বসাতে পূজার বেদীতে আমি অধোমুখে দেবী পূজারী,
আমি করি ভুল, আমি করি পাপ, অর্ঘ্য রচি গো দিয়ে অনুতাপ
ফুল-চন্দনে মানি না যে বিধি, মন্ত্রে কি কারিগরি?

আমি পথহীন, গতিহীন রথে, যেটুকু চলেছি তোমার আলোতে
প্রগলভ হয়ে তাও করি দূর, আমার আকাশে নেই রোদ্দুর
মেঘ গেছে ছেয়ে ঘু্র্ণিবাতের, তারই মাঝে আশা করি-

তুমি রবে দেবী প্রলয়ে আমার, অকূলে ভাসার তরী।

বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

বিষন্নতা


বিষন্নতার অনুভব মানুষের একার,
আমার অবিশ্বাস- বাদবাকী চতুষ্পদেরা, ডানাওয়ালারা,
পদহীন অথবা বহুপদী সরীসৃপেরা, জলজরা বিষন্ন নয়,
তাদের জীবনগুলো কোন নৈর্ব্যক্তিক অভিপ্রায়ে ছোটে,
আর আমাদের ব্যক্তিজীবন তো প্রতিনিয়িত ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির প্রতি
দায়বদ্ধতার সূত্র মেনে চলে।

আমরা প্রাণী হিসেবে স্বাভাবিক নই,
আমাদের অনেক অস্বাভাবিকত্বের নাম ‘সর্বশ্রেষ্ট’ হওয়া প্রাণীকূলে,
আমাদের অনেক উদোম আবেগকে জামা-কাপড়ের নিচে মুড়িয়ে চলার নাম মানুষ হওয়া,
কতগুলো অত্যন্ত আকাশচুম্বী নীতির দালানে থাকার নাম- মানবজীবন,
এমন জীবনে আমি কেন যেন ক্ষ্যাপা হয়ে গেছি!

আমার দারুণ বিষন্নতা আসে,
যে বিষন্নতা- আমি জানি না পোষা কুকুরেরও আসে কি না,
আমার এত রাশি রাশি পিলপিল করা সহজাত মানুষের ভীড়েও
লাগে অকৃত্রিম একা, আমি পাংশু হয়ে যাই, সকল আলোর উৎসবেও,
বিবর্ণতা আমাকে ঘিরে ফেলে চোখের পলকে।  

আমার দারুন বিষন্নতা আসে,
এই অনুভব শুধু মানুষেরই হয়ত বা হয়!



রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯

শক্ত কথা

যাদের এত ভগবান, যাদের এত ভক্ত,
তাদেরই রিক্ত হাত; পাপে অনুরক্ত-
পাষাণের ঋত্বিক যত মন্ত্রে গদগদ,
দেবতার পদে চায় প্রভূত সম্পদ,
অন্তিমে কোথায় গতি-

বোঝা বড় শক্ত!

আমরা মূর্খেরা আছি-
জোড়হাত বুকে ধরে সজল নয়নে,
যদি মহাত্মার কৃপা হয় অহৈতুকী ক্ষণে
তবে তরে যাব ভবসিন্ধু গুরুবাক্য স্মরে,
এক আঁধার সাঁতারিয়ে নতুন আঁধারে-

সত্য পাকা পোক্ত!

ত্রিপণ্ড এ সংসারে
অলস তামস যত সত্ত্বগুণী কাজে,
নির্বীর্য্য পুরুষ দেখি উর্দ্ধরেতা সাজে,
নারীগণ স্বসম্ভ্রমে দেয় উলুধ্বনি-
আমার নিথর দেহে কয়েক ধমনী

নাচায় লাল রক্ত!

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯

কষ্টের কারণ হয়ে গেছি

অনেক কষ্টের কারণ হয়ে গেছি,
ভেবেছিলাম মাটিতে পা ফেললে ঘাসেরাও আহত না হয়,
ফুল ছিঁড়তেও ভেবেছি কতবার— বৃন্তটি যেন অক্ষত থাকে;
আমি অনেক সয়ে নিয়েছি আমার গভীরে
যেন আর কারো সইতে না হয়,
তবুও বলি কথার ফাঁকে—
ধীরে ধীরে....
তবুও, অনেক কষ্টের কারণ হয়ে গেছি—
আমি অনেকের!

অকারণে কারণ বনে গেছি,
অজ্ঞাতে হয়ে গেছি গোপন বজ্রাঘাত কারো বুকে,
আমি আপ্রাণ ভেবেছি— আমি দুখের নিমিত্ত না হই,
কোন প্রলাপে কেউ না নিক আমার নাম,
অভিসম্পাতের কথাই ওঠে না যেন কারো মুখে।
আমি একেলা আমার খোলসে রই—
যেন সঞ্চরণে কারো না হয় ঘুমের ব্যাঘাত!
তবুও কারো কারো ঘুম ভেঙে যায়,
কারো কাটে আমি না চাইলেও বিনিদ্র রাত—
আমারই মতন।

অনেক কষ্টের কারণ হয়ে গেছি—
আমি অনেকের—
বিসদৃশ যদিও লাগে, তবুও—
অনেক কষ্টের কারণ হয়ে গেছি!

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৯

দুগ্গা পূজো ২০১৯

খুব জমেছে ঢ্যামনাগুলোর হর বছরের দুগ্গা পূজো!
শিরদাঁড়াতে জং ধরেছে- চলতে গিয়ে হচ্ছে কুঁজো,
তবুও রে ভাই নাচতে হবে, লক্ষ টাকার খচ্চা ঝেড়ে
ফিল্মি ঢঙে বোতাম খুলে বীরেণ বাবুর চণ্ডী ছেড়ে!

পুঁথি-পাতরা পড়বে কে আর সবাই এখন লিখছে পুঁথি,
অসুররাজের মরার দিনে ব্যস্ত তাঁরই নাতি-পুতি——
ভক্তি-ইতি ভাঁড়মে গেল নাচে-গানে-খাওয়ার তালে
দশভূজার সন্ততি সব— দশদিকে রয় গোলে-মালে!

কোটি টাকার সঙের খেলায় সোনার পাতে মূর্তি গড়ে,
রাত-মাঝারে তন্ত্র মেনেই মদের গেলাস উপচে ভরে!
নষ্ট কথার গান বাজিয়ে— উঠল মনের আরাধনা,
আধ-বসনের কালচার সব, সন্তান তোর দিগ্বসনা!

ঢাকীরা সব ঝিঁমোয় কোনে, আয়ের পিছে পড়ছে কাঠি
কৃপাণময়ীর কুপুত্রদের নেই তো রে জোর ধরবে লাঠি!
ছ্যাবলামিটাই ধরল বটে দোহাই দিয়ে ধর্মাচারে—
‘মা এসেছে!’ কি ন্যাকামো! আশিন এলেই বছর ঘুরে!

আয় করালী বাঙাল দেশে, মুণ্ডস্রজার ঝাণ্ডা উড়ুক
ভীরু ছেলের মুণ্ডটি ধর— নয়নজলে রক্ত ঝরুক!
এক ভ্রষ্টপথের মোহের জালে চলছি সবাই অন্ধকারে—
আয় ঈশাণী পথ দেখাবি, যে পথ গেছে তোর দুয়ারে!

রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯

পুরাতনী প্রতিমা

ক্রমশ পুরাতনী প্রতিমারা হারিয়ে যাবে,
আরাধনাটুকু হয়ে যাবে শিল্প-বিলাস,
আর ক্রমশ শিল্প হয় আরাধনাহীন!

নিত্য নতুন উৎসবের প্লাবন এসে ভাসাবে নগর
বদলে যাবে নোটের তাড়া, ঢাকের লহর-
থেমে যাবে ডিজিটাল গানে!

আমাদের শৈশবের নস্টালজিয়া সব-
বিনষ্ট দুঃখবিলাস হয়ে দশমী তক্ গুনবে প্রহর
আমরা সরে যাব বিশ্রীতম প্রগতির টানে!

নউল প্রজন্ম আসে, ধ্বংসস্তূপ ঠেলে নতুন ধ্বংস রূপে
পিতা-পিতৃব্যের নীড় ভেঙে মদমত্ত উন্মাদনায়,
আধুনিকতার ধাঁচে- কালের মৃত্যু কূপে,
আমরা অন্ধকার দেখি!

সকল উদ্ভাবন হয় না কল্যাণপ্রদ,
সকল অগ্রযাতার মানে হয়নি তো সামনে চলা,
সমস্ত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবার অর্থ নয় তো বিপ্লব,
সকল আধুনিকতাই নয় ——
অতীতকে মুছে ফেলা!

আমরা কোন সন্ধিক্ষণের মাঝামাঝি নেই,
এক নষ্টস্রোতের চোরা হানায় তলিয়ে যাচ্ছি ধীরে
এক পচা গলা দ্বিচারী দ্বিপদ জন্তু সমাজের মাঝে
সন্ধ্যা নামে, আঁধার নাচে——
পশ্চিম তীরে!

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ক্রমশ দূরে সরে যাই

ক্রমশ দূরে সরে যাই
আঁধার হতে গভীরতম আঁধারে——
প্রতিদিনান্তে কোলাহলে দীর্ণ
মানুষের আবর্ত ছেড়ে
একটু একটু করে————
ক্রমশ দূরে সরে যাই।

আগে কথারা বিন্যস্ত কবিতা হত
রাত্রি প্রগাঢ় হলে——
এখন সব অসংলগ্ন ঠেকে——
আমার যেন মনে হয়
কথা স্রেফ কথারই ছলে——
আরো কথায় না বলা কথাটি ঢেকে——
বহু বাক্য অপচয়—

আমি শুধু পরিত্রাণ চাই

একটু একটু করে
ক্রমশ দূরে নিভে যাই——
বহু নক্ষত্র কালান্তরে লীন হয়ে গেছে
বহু সূর্য অতীতে গেছে থেমে——
তুমিও চলে যাবে আমারই মতন
গোধূলির আহ্বানে পশ্চিমে নেমে——

কতিপয় বোঝে না কোনদিন

কোন আলো-ই চিরস্থায়ী নয়
কোন রোশনাই জ্বলে না চিরকাল——
মানুষের বিদগ্ধ দর্শনে মজে না মানুষ
মানুষের অন্তরে প্রভূত জঞ্জাল——

কখনো সে পায় না হদিশ

আমি শুধু পরিত্রাণ চাই
ক্রমশ তাই দূরে চলে যাই।

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শ’নম্বরের পরীক্ষা

ললাটলেখায় ফেল করেছি, লজ্জা কোথায় রাখি!
শ’নাম্বারের পরীক্ষাতে পাঁচ জোটাতেও বাকী-
এমন ধারা জীবন তারা বয়ে বেড়াই সদা,
ভবের অংকে যোগ পারি না, বিয়োগে নাই বাধা।
আকাশ পাতাল হরেক ভেবে আগাগোড়াই ফাঁকি
শ’নম্বরের পরীক্ষাতে পাঁচ জোটাতেও বাকী!

অন্ধাকারে মশাল ধরেও খুঁজছি কোথাও আলো
অতলান্ত মোহের স্রোতে মন্দ সেটাও ভালো।
গড়পড়তা গড় হাজিরায় পাঠশালা যাই কচিৎ
এমনতর ছাত্র যখন, পাশ না করা-ই উচিৎ।
চাপড়ে কপাল খেদ মরে না, মুখটা কোথায় ঢাকি
আমার শ’নম্বরের পরীক্ষাতে পাঁচ জোটাতেও বাকী!

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

না বলা কথার ভানে

বহু আগে প্রিয়ে পথ ভুলে গেছি
একা একা ফিরি বিজনে,
জানি না কখনো মিলব কি আর
ভুল পথ ঘুরে দু’জনে।

নিশীথে কি মনে পড়ে কি না আর
ফেলে আসা বাঁক, ভরা নদী পাড়,
জাগে কি না ব্যথা স্বপনে,
ভাদর আকাশে বিরহ কি লাগে
তোমারও আমার বিহনে?

কত শত ভুলে, ভুলে গেছি কত,
কত প্রেমরাগ, স’য়ে নেয়া ক্ষত-
সব ভোলা হল জীবনে,
তুমিও কি তা’য় ভুলেছ আমায়
রেখেছ নিভৃত মনে?

যে কথা কখনো হয়নি তো বলা,
চোখে চোখে চেয়ে ধীরে মুছে ফেলা,
বুঝেও বুঝিনি ছলনে,
ঘুমঘোরে তুমি চুপি চুপি আসো
অকরুণাময়ী কেন একা হাসো
থেকে থেকে ক্ষণে ক্ষণে?

না বলা কথার ভানে...

শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯

মানুষের ফুসফুস

কতটাহৃদয়পুড়েগেলেটেরইপাইনা,
দু,দিনধরেআমাজন.....
আজআবারকেষ্টঠাকুরেরভজনশুনতেহবে,
বরাতেতালেরবড়াখানবিশেক,
হরিলুটেরকলাএকডজন....
ব্যাপকধম্মোহবে... 

রক্ষাকরোজীবনবল্লভপ্রাণধনগোবিন্দআমার
প্রাণপণকরেনরজনমহলনাউদ্ধার..
চুলতারকবেকারবিদিশার’... 
তত্ত্বমোক্ষনকরেবিবিধসাহিত্যপ্রবচন...
ঝেড়েকেশেটিঋতুএমনিকাটাই। 

তোমারনাটাই-
হাতেজনার্দ্দনরাধামাধবআমিঘুরি,
প্রপঞ্চহতেপ্রপঞ্চান্তরেতামাকপোড়াধূম্রলোচনে..
ডাকিএথেরোক্লেরোসিস
এথেনাগ্রীস
করবিমুক্তআর্টেরি....
নরাধমওবাঁচতেচায়। 

পৃথিবীরফুসফুসজ্বলেযায়...
মানুষেরফুসফুসেরখবরওরাখেনাকেউ

মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯

আঁধার বিনুনি

এখনো আমার মনের কিনারে দাঁড়ায় অনেক গান,
এখনো ইমন মুর্ছনা আনেঝাঁপতালে বাঁধে তান। 
আকাশে এখনো আলো ছায়া খেলা
মেঘে মল্লার দেয় হানা,
নীড়হারা পাখি দিকহারা বায়ে
কাঁপায় ঝড়ের ডানা।
তীরে জেগে ওঠা কাশফুল দেখে থমকে দাঁড়ায়নদী,
এমনি করে কি আমাকেও তুমি দেখে থাকো নিরবধি?

নিয়তির সাথে নিঠুর দ্বন্দ্বে কত গল্প হলনা লেখা,
পূর্ণিমা রাতে শাওনী আকাশকিছুই গেল না দেখা।
গভীরে আমার চোরা স্রোত বয়
আমি একাই গেছি গো তলিয়ে।
কবেকার তুমি আজো রয়ে গেছ
আঁধার বিনুনি দুলিয়ে

এখনো ক্লান্ত ঘুমের অতলে হাতড়াই কারো হাত,
এখনো স্বপনে কার যে নয়নে আমার নয়নপাত...
তার কোন ব্যাখ্যা-ই আমি জানি না
লোকেরা আমাকে কবি বলে ডাকে,
তুমি জানো আমি মানি না। 

শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৯

ভন্ডবাদ

প্রতিহিংসায় জ্বলে পুড়ে মরে যাও,
মিথ্যে কথায় মনের দহনে 
দিতে চাও তুমি ক্ষান্তি
অগভীর বোধএকপেশে যত ভাবনা
পাশাপাশি আর রাখতে পারো না কিছুই
কোনকালে নেই শান্তি

ভেবেছ তোমরা যাই ভাবো সব ঠিক
বংশসূত্রে জ্ঞানাধার ষোলআনা।
আমরা সবাই আনপড়চাষাভুষো,
সভ্যতাহীনভব্যতাহীনগোঁয়ারমূর্খঅতি,
আসল তত্ব কখনো হয়নি জানা

তাঁবেদারি আর দিনকানা
যতেক কোমলমতি,
আমাদের মত অসুর তোমরা নও,
আমরা যেখানে পাথুরে পাহাড় কাটি,
তোমরা সেখানে উপদেশ বাণী কও,
'কর্মে রাখো হে মতি'।

ভেবেছ আমরা চিরদিন রব হাঁদা,
চিরদিন রব সাম্য-প্রেমের সঙ্গীত গেয়ে মুগ্ধ
পায়ের তলায় তরতর মাটি সরে
আঁধারে দুচোখ বাঁধা,
চোখের ভেতরে রুদ্ধ-

বহু অদেখার আশার ঝলক
বহু বঞ্চিত অভিলাষ।
তোমরা কখনো দেখোনি ওসব ভেবে,
তোমাদের কাছে আমরা হয়েছি
ভোটের তুরুপ-তাস

যত ভন্ডরা এক হবে
যত সাম্যবাদীরা টাকা গুঁজে নিয়ে ট্যাঁকে
কলম উঁচিয়ে কাঠিবাজী করে খাবে

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...