বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১

আমায় রাখো

 

হরি হে!

আমায় রাখো নত তৃণের মত পথের পাশে,

যেথায় তোমার চরণচিহ্ন নিত্য লাগে, নিত্য আসে-

নূপুরধ্বনি কর্ণে আমার, মর্মে আমার নিত্য রাজো-

গভীর মনে লুকিয়ে হরি, ব্রজের বনে অমনি বাজো-

মোহনবেণু; লুটিয়ে রই চরণরেণু- মাথায় ধরে,

এবার ম’লে উরগ হব, কালীয় রাজার ফণার পরে-

যেমনি তোমার নাচন লাগে, তেমনি আমার চিত্ত মাগে,

নয়নডোরে- বাঁধব বলে কৃষ্ণশশী, মন উদাসী, যেমন জাগে-

প্রভাতবেলা অনাঘ্রাত ফুলের কলি,

যেমনতর- পুষ্পরসে মাতাল ঘোরে ভৃঙ্গগুলি,

অমন করে কাঙাল হলেম, দরশ তোমার পাবার আশে!

হরি হে! আমায় রাখো নত তৃণের মত পথের পাশে!

 

ছয়দিকে ছয় কংসচরে, অহর্নিশা- তাড়িয়ে মারে,

না পাই দিশা, মরছি কেঁদে করাল ঘোর অন্ধকারে!

যদি উদয় হতে সূর্য্যসম, কংসাসুরের কারায় মম-

অমন আশার বাসা বইছি যেন জন্ম-মৃত্যু-জন্ম ধরে,

লোকে লোকে আকুল হয়ে লোকান্তরে,

পাইনে দেখা, ললাট-লেখা তুমিই জানি লিখলে বটে,

নিদয় তুমি নন্দিত তায়, সাধে কি আর তেমন রটে!

মা যশোদার বুক ভাসালে, একটিবারও চাওনি ফিরে,

তবুও আমার সাধ হয়েছে, সাধেই ডুবি নেত্র-নীরে!

আমি দু’হাত তুলে আকাশপানে, ক্ষীণস্বরে, কাতর প্রাণে

ডাকছি আমার পাষাণ-কৃষ্ণ, বধির কেন হলে?

লোকে তোমায় বলবে কি গো, এমনি আমি ম’লে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমায় তুমি করছ আড়াল

  আমায় তুমি করছ আড়াল আঁচল ছায়ে তোমার কোলে, আমি বড়ই অধীর বাইরে যেতে বড়ই  ব্যাকুল, দুষ্ট ছেলে! বিশ্বভুবন দিচ্ছে সাড়া- 'ও তুই চোখ খুলে...