বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

জানি না


যাবতীয় আকাশ-কুসুম, অলীক প্রমাদ,
অতুল আকাঙ্ক্ষার ঝুড়ি সব খুইয়ে এলাম!
সুতরাং, আজকে শুধু খোলস বদলানোর অবসর,
অবসর মানুষ থেকে সরীসৃপ হবার,
এ সরীসৃপ অপসৃত হয় অশরীরে।
খোলস হারাতে হারাতে কোথায় যে মিলিয়ে গেলাম,
টেরই পেলাম না কিছু,
কে যে বসে আছে মেদ-মাংসের গভীরে
তার তপ্ত, রুদ্ধ নিঃশ্বাসে আমি কেঁপে কেঁপে উঠি,
একে মনে হয় না জীবনের একমাত্র চিহ্ন,
কোন কঠিন মৃত্যুর ছায়া যেন অনন্ত কোটি-
বছর আমার ভেতর দুমড়ে মুচড়ে আছে।

খোলস ছাড়াই আর তাকে খুঁজি,
আমার অনেক সুন্দর স্বপ্ন, অনেক স্বচ্ছ বাসনা,
পরিশ্রুত গানের বাণী, কুটীর গড়ার পুঁজি-
সব যেন ধুয়ে মুছে যায় ধীরে ধীরে-
এটুকু বুঝি।
কি এক অন্ধকারের অন্তরালে কে যেন হাসে
কার বিদ্রুপের ভ্রূভঙ্গে আমি ঘুমেও চমকে যাই,
আমি তাকে দেখিনি কোনদিন,
অথচ আমি জানি সে আছে, আমি চমকাই,
এ চমকানো বাদলা মেঘে তড়িতের মত নয়,
এ চমকানোয় কোন আনন্দের ছিঁটে লাগে না গায়ে।

বেঁচে আছি।
জানি না কেন, তবুও বেঁচে আছি।
স্থবিরতায় ভাল লাগেনি, অথচ চঞ্চলতায় নিঃশেষিত হতে-
আক্ষেপ লাগে খুব।
ধীরে ধীরে, অন্তরের অন্দরে কোন মতে,
কি এক আত্যন্তিকতার মাঝে ডুব-
দিয়ে আমি কেমন যে হয়ে গেছি,
জানি না।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...