যাবতীয় আকাশ-কুসুম, অলীক
প্রমাদ,
অতুল আকাঙ্ক্ষার ঝুড়ি সব
খুইয়ে এলাম!
সুতরাং, আজকে শুধু খোলস
বদলানোর অবসর,
অবসর মানুষ থেকে সরীসৃপ
হবার,
এ সরীসৃপ অপসৃত হয় অশরীরে।
খোলস হারাতে হারাতে কোথায়
যে মিলিয়ে গেলাম,
টেরই পেলাম না কিছু,
কে যে বসে আছে মেদ-মাংসের
গভীরে
তার তপ্ত, রুদ্ধ নিঃশ্বাসে
আমি কেঁপে কেঁপে উঠি,
একে মনে হয় না জীবনের
একমাত্র চিহ্ন,
কোন কঠিন মৃত্যুর ছায়া যেন
অনন্ত কোটি-
বছর আমার ভেতর দুমড়ে মুচড়ে
আছে।
খোলস ছাড়াই আর তাকে খুঁজি,
আমার অনেক সুন্দর স্বপ্ন,
অনেক স্বচ্ছ বাসনা,
পরিশ্রুত গানের বাণী, কুটীর
গড়ার পুঁজি-
সব যেন ধুয়ে মুছে যায় ধীরে
ধীরে-
এটুকু বুঝি।
কি এক অন্ধকারের অন্তরালে
কে যেন হাসে
কার বিদ্রুপের ভ্রূভঙ্গে
আমি ঘুমেও চমকে যাই,
আমি তাকে দেখিনি কোনদিন,
অথচ আমি জানি সে আছে, আমি
চমকাই,
এ চমকানো বাদলা মেঘে তড়িতের
মত নয়,
এ চমকানোয় কোন আনন্দের
ছিঁটে লাগে না গায়ে।
বেঁচে আছি।
জানি না কেন, তবুও বেঁচে
আছি।
স্থবিরতায় ভাল লাগেনি, অথচ
চঞ্চলতায় নিঃশেষিত হতে-
আক্ষেপ লাগে খুব।
ধীরে ধীরে, অন্তরের অন্দরে
কোন মতে,
কি এক আত্যন্তিকতার মাঝে
ডুব-
দিয়ে আমি কেমন যে হয়ে গেছি,
জানি না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন