অনু-প্রেরণায় ভেসে যায় গোটা দেশ
রাকেশ রোশান পালিয়ে বেঁচেছে চাঁদে!
আমরা রয়েছি কোন ক্রমে ঠারেঠোরে,
নচেৎ, বাঙালী-জনমে রবিও-
নিভৃতে কাঁদে!
যা মনে আসে লিখি। ভাল লাগলেও লিখি, না লাগলেও লিখি। কারো ভাল লাগা না লাগার ওপর আমার কোন ঔৎসুক্য বা অভিমান নেই!
অনু-প্রেরণায় ভেসে যায় গোটা দেশ
রাকেশ রোশান পালিয়ে বেঁচেছে চাঁদে!
আমরা রয়েছি কোন ক্রমে ঠারেঠোরে,
নচেৎ, বাঙালী-জনমে রবিও-
নিভৃতে কাঁদে!
হাঁটছি।
অনেক আগে থেকে
অবিশ্রান্ত।
কবিতার মত গুরুত্বশুন্য
একাকীত্ব বিলাসে,
অভ্রান্ত-
অলীকতার দেশে।
আমি হাঁটছি।
ফুলের মালায় বিস্বাদ,
ভরে না উদর,
জোটে না ঘর-
বনচারী কুরঙ্গের।
প্রশংসার উছল বাণী
নিরর্থক মরম-ভঙ্গের-
কাছে সর্বশেষে।
এই উদ্ভ্রান্ত অলীকতার দেশে
আমি হাঁটছি।
হয়ত বা এর কোন মানে নেই
যেটুকু হয়েছে বলা,
মানে ছিল কিছু ওসবের মাঝে
লিখে লিখে মুছে ফেলা-
যত হিজিবিজি কথা রাতদিন।
চোখের ওপারে দূরবীন-
কার চোখে ধরা, অদেখার সাধে-
বুক বাঁধা, যেন তানপুরা;
ঘন বরষায় প্রিয় মল্লারে কাঁদে
নিষাদে বিষাদে সুরা-
হীনা-সাকী, পানশালা-ঘরে একা,
এখনো মেলেনি দেখা।
মন্দ্র-মিনতি অকরুণ যেন ফেরে
সঘন-বাতাসে, ওড়ে কত চিরকুট,
চোখের পলকে ঘূর্ণির মত ঘেরে
ঘনায় ভেতরে মন্থনশেষ কালকূট!
সুতরাং এইখানে থামো।
এই পিপুলের পাদদেশে
বোসো তবে একটু খন,
বিলোল বাতাসে, পাতো কান,
শোনো বিহগ-কূজন, কলগান-
শীর্ণা তটিনীর জলে।
পথিক,
পথশ্রমে শ্রান্ত হলে।
হে দেব, এইখানে থামো।
নিরালম্ব অনিকেত হে, আশ্রয়-
নাও, বিশ্রাম কর, দেখ স্বপনসম
জাগরণ নিমিখে যাবে কেটে।
এই তরুবরশাখে,
এই মহিমদ্রুম-আলয়ে নীড়
গড়েছে আরো কত প্রলয়বায়ে
গত অচীন পাখীর প্রাণ।
বাতাসে পাতো কান।।
এই নষ্টনীড়ে এসেছে উড়ে পাখী।
দিগ্বলয়-দূর ঝিমায় বিধুর সুরে,
- আঁধার নামতে বাকী।
ডানায় তার, মেঘের ভার ক্রন্দন
বজ্রাহূত আলোকাহত চোখে-
ছিঁড়েছে সীমা, স্বগৃহ-সুখ-বন্ধন,
পেয়ালা-সুরা-সাকী।
- আঁধার নামতে বাকী।
গানের তরী পসরা ভরি ফেরে
তটে তটে, ঘাটে ঘাটে;
পালের বায় ভাটায় গেল ছেড়ে,
নোঙ্গর নামে পঙ্কপাটে।
ওখানে দু-দশ অর্বুদ বছর যেন
নিমিষে দেয় ফাঁকি
- আঁধার নামতে বাকী।
Thus the quest commence forth
On your behest dear unknown
Yet ubiquitous amidst of all,
Under the fierce sun,
And torrential rainfall
I walk on, I walk alone-
On your behest dear unknown!
At some point should I end
This toilsome endeavour?
Would you say that’s reprimand,
I will be deprived for sure
Of life and of lonely atone
On your behest dear unknown!
পেঁজা তুলোর মতন সফেদ মেঘ ভাসতে দেখেছিলাম
সকালের আকাশে, এখন সব কেমন বিদঘুটে কালো।
তানপুরাটির একটি ষড়জ টুং করে ছিঁড়ে যাবার পর
চকিত আঙুল অবসন্নতার অবসর খুঁজে পেল না আর,
কবিতা এসে ভর করে শিরা-উপশিরায় জোয়ার-প্রায়
বেগে; এই ভরা শ্রাবণ মাস, এই আঁধার, পাংশু প্রস্তর-
চুঁয়ে বেয়ে নামা কালের নির্ঝরিনী, আমাকে নিয়ে যায়
প্রগাঢ় প্রশ্নতরঙ্গ পাড়ে আঁধার ঘনাল ওই মেঘেমেঘে।
এখন চাঁদের কলঙ্ক হয়ে যামিনীযাপনে বড় যে অনীহা,
পিয়াস মেটার আগে বিগতস্পৃহ যেন অরণ্যচারী কুরঙ্গ
আমি নদীর তটে থমকে গেছি, এ জন্মে কি জিজীবিষা
ছিল- বেমালুম বিস্মৃত হলাম! এ ভরা বরষামুখর কাল,
এ অধীর অন্ধকার, এ নিশ্ছিদ্র নির্মোহ অনন্ত মায়াজাল-
আমাকে জড়িয়ে ধরেছে কেন?
বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...