শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

আমায় তুমি করছ আড়াল

 

আমায় তুমি করছ আড়াল
আঁচল ছায়ে তোমার কোলে,
আমি বড়ই অধীর বাইরে যেতে
বড়ই  ব্যাকুল, দুষ্ট ছেলে!
বিশ্বভুবন দিচ্ছে সাড়া-
'ও তুই চোখ খুলে দেখ, বাইরে দাঁড়া'
আমি ভাল মন্দ জানিনে মা
(ওদের) কথায় গেলাম ভুলে!
তুমি আগলে আছ দু'হাত দিয়ে
মাগো কতই যতন করে,
আমি যতই যেতে চাই মা ছুটে
(তুমি) রাখছ টেনে ধরে!
আমার সব অপরাধ করে ক্ষমা,
কত আদর করছ গো মা,
ছেলে তো মা বখে যাবে
(মাগ) এত আদর পেলে! 

রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫

কার্নিভাল

 

ঢাকের বাদ্যে- ভাঙনের শব্দ কি তুমি পাও?
জলের তোড়ে মিলিয়ে যায় অগুনতি বৃংহিত!
পাঁজরে মোচড় দেয়া মানুষের মৃত্যু কার্নিভাল
তোমাকে কি বিচলিত করে? কিছুটা অন্তত?
এই নটী-নট-বিদূষক বেষ্টিত সিংহাসন ঘিরে
খোশামোদের সুরা-ধারা বয়, তুমি নেশাপ্রমত্ত;
সর্বনাশ সমস্তময় ওই, গ্রাস করে চরাচর ধীরে!
তুমি বল দেখতে কি পাও অসভ্য সভাসদের
পদলেহন-শিল্প ছাড়া ভিন্ন কোন সত্য প্রত্যক্ষ?
এতসব রক্তচোষা পরগাছা মিথ্যুকের ভীড়ে? 

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কাতর হয়েছি তারা

 



কাতর হয়েছি তারা তরিতে ভবসাগর
দেহতরী দিকহারা হেরিয়া পাথারে ঝড়!
জীর্ণ কাঠে তৈরি তরী, বসিলাম দাঁড় ধরি,
জয়দুর্গা নাম স্মরি, ত্বরাও মা সত্বর!
করাল তরঙ্গ ঘোরে কে আর রাখিবে মোরে,
কে বাঁধিবে বাহুডোরে, ভয়ে কাঁপে কলেবর!
একমাত্র নাম ধনে মনে করি ক্ষণে ক্ষণে
তারিণী কুসন্তানে কোলে নিয়ো অতঃপর!








শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কে বুঝিবে তারা তোমার ছলনা

 


কে বুঝিবে তারা তোমার ছলনা!
আচারে বিচারে কে পাবে তোমারে-
এ যে ভোলাতে আমারে তোমারই রটনা!

ডাকি গো তোমারে 'এসো বোসো যন্ত্রে'
হ্রীং ক্রীং আদি দেবভাষা মন্ত্রে,
তব শতেক বর্ণনা শতখানা তন্ত্রে;
অন্তে মাগো কিছু কাজে তো এলো না!
কে বুঝিবে তারা তোমার ছলনা!

ভাঙি গড়ি কত শব্দবন্ধ,
আড়ালে টানিল সুর তাল ছন্দ,
কিঞ্চিৎ মনে না হয়েছে সন্দ'
তুমি ফাঁকি দিলে ভাল, ও হরললনা!

বলি মা তোমারে 'ওমা ভবরাণী
পাষাণের মেয়ে হয়েছ পাষাণী,
নাম ধর বটে জগত জননী,
বলি বিশাখেরে মাগো অকুলে ফেলো না!
কে বুঝিবে তারা তোমার ছলনা! 

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দেশ বন্দিশ

 

দামিনী দমকত গরজত অতি ঘোর
সাবন রুত আয়ি বরসত চহু ঔর।।
রৈন নিঁদ নাহি, নৈন তরসত,
পিতম পরদেস, বিজুরি চমকত;
বিরহ পবন চলি, পাপিহা করত শোর।।


________

দেশে বাঁধব ভাবছি। 

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জগত্তারিণী আসে

 

রাত্রি নিবিড়, অতি গম্ভীর, বজ্র নিনাদে জাগে- 

যোগিনী কোটি সঙ্গিনী সাথে মহিষদলনী তারা! 

বর্মসজ্জা বাজে ঝনঝন, টঙ্কার শুনি, দামামা রণন;  

করী-অরি ধরে গুরু-গরজন, দনুগণ ভয়ে সারা! 


বরষামুখর জলসংকুল পথ- পূজারীর দল চলে, 

নীলাব্জমালা সজ্জিত ডালা সযতনে তুলে শিরে; 

গায় আগমনী দূরে বিহগিনী বিজন বিটপী ডালে, 

মেঘস্বন ঐ প্রলয়ের লয়ে আঁধার রজনী ঘেরে! 


ঐ দেখ, দেখ ঐ খড়্গধারিণী-হীরকখচিত মুকুটে 

সূর্যকিরণ সুবর্ণরাঙা ঝলকে- তমসার ত্রাস নাশে;

‘মাভৈঃ মাভৈঃ’ চেয়ে দেখ ঐ জগত্তারিনী আসে! 

 

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পাষাণের কন্যা তুমি

 

পাষাণের কন্যা তুমি, পাষাণ তোমার হৃদি, 

তোমার তনয় হয়ে কাঁদিতেছি নিরবধি।। 

দিয়াছ ভবের খেলা, তাই লয়ে কাটে বেলা, 

ভুলালি মা গিরিবালা, এত হেলা কেন শুধি! 

ভূতলে প্রপঞ্চ ঘোরে, বাঁধিলি মায়ার ডোরে, 

মা বলে ডাকি তোরে, পায়ে পরে কত কাঁদি? 

না আছে পুণ্যের ফল, না আছে সাধন বল, 

বিশাখের আঁখিজল, তাই দিয়ে তোরে সাধি! 


১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫। 

আমায় তুমি করছ আড়াল

  আমায় তুমি করছ আড়াল আঁচল ছায়ে তোমার কোলে, আমি বড়ই অধীর বাইরে যেতে বড়ই  ব্যাকুল, দুষ্ট ছেলে! বিশ্বভুবন দিচ্ছে সাড়া- 'ও তুই চোখ খুলে...