বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

বায়স-তাড়ন

প্রাতঃকালে টিনের চালে নিদ্রাভঙ্গে বায়সবৃন্দ
মধুর মন্ত্রে ডাকিছে কাতরে অরুণ-বরুণ-অগ্নি-ইন্দ্র!
নখর-আঁচড়ে টিনে কড়কড়ে –
শব্দ, পশিল কর্ণকূহরে,
তাহাতে সুপ্তি ত্যাজিয়া পরাণ বিস্বাদে গেল ভরি,
কি বা পাপফলে এমন সকালে নিত্য ঘুমাতে নারি!

এতৎ ভাবিয়া ঋষি শ্রীঅণ্ড, ক্রোধারক্তিম করিয়া গণ্ড,
খিড়কি খুলিয়া আসিলেন প্রভু, ছোড়েন কতক ঢিল!
রসরাজ করে এই কারসাজি, সহ্যের সীমা পার হল আজি,
ব্যাটারে এ বেলা দণ্ড না দিলে, টেকা হবে মুশকিল!
খিড়কি খুলিয়া আসিলেন প্রভু, ছোড়েন কতক ঢিল!


_____________________________

রসরাজ-অণ্ডবাক সংঘর্ষ নিয়ে আমাদের যে ইতিহাস গবেষণা, তাতে নতুন আলোক প্রদান করেছে এই অধুনাপ্রাপ্ত কাব্যটি। 'বজ্রযানী বৈষ্ণব পদাবলী'র একটি অপ্রকাশিত অংশে এটি পাওয়া গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...