আমি শেওলার মত পাথরের গায়ে বেঁচেছি,
আমি বেনোজলে বুনো ফুল, স্রোতে ভেসেছি।
রোদ্দুরে গায় স্বেদজলে জ্বলা চর্ম,
গোলাপের বনে কাঁটা লাগে পাছে, বর্ম-
বুক জুড়ে এঁটে পেলব কবিতা-
রাতভর যেন লিখেছি।
আমি মিছে কথা কত শিখেছি।
জনকের স্নেহ, জননীর চুমু দূরে,
শত শত কোটি আলোকবর্ষ ঘুরে-
শমন-ভ্রুকুটি, হেসে কুটিকুটি,
হলাহল যেন গিলেছি!
আমি কত পেয়ালায় ডুবে মরেছি!
রাত্তির নামে আকাশে,
আকাশগঙ্গা ঢেউ খেলে ঝড়ো বাতাসে,
পানসী আমার, দাঁড় টেনে দুই হাতে,
ঘাটের ঠিকানা ভুলেছি!
আমি লাশ হয়ে ভেসে উঠেছি!
প্রেতের অক্ষি কোটরে,
যেন খাণ্ডবগ্রাসী ক্ষুধা, জ্বলজ্বল জ্বলে জঠরে!
ওঠো রে, ওঠো রে- প্রায়োপবেশনে হত
নেমেছে আঁধার, এখনই জাগার ব্রত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন