উঠ হে নগাধিরাজ উমারে আনিতে আজ, ওগো কৈলাস-সদন।
হের, পঞ্চমী সমাগত, প্রাণে দি’ প্রবোধ কত, আনো চন্দ্র-বদন-
ত্বরা, না দেখিয়া প্রাণ-তারা, বরষভরে পাষাণঘরে, বড় শূন্য লাগে।
লোকমুখে কত শুনি, শিবসনে অভাগিনী শ্মশানবাসিনী, ভস্ম-রাগে-
কনকঅঙ্গ ঢাকি হয়েছে নাকি দারিদ্র্যে কাতর! গিরি চল হে সত্ত্বর।
কি সুখে রয়েছে এথা, তনয়া তরে নাহি ব্যথা, ও হে অচল ভূধর!
পিতা তুমি, প্রস্তর-অন্তর তব, আমি মাতা, কি বা কব, প্রাণনাথ-
রমণীর দুখ, নাহিক’ বুঝিতে পারো, যাও দ্রুত, শিব-অগ্রে দু’হাত-
পাতিয়া কহ, 'দেহ উমাধনে শূলপাণি, জামাতা জানি তোমা বটে;
ত্রিলোকবন্দ্য হও, দয়ার-বারিধি তুমি, সুরাসুরাদিজনে সর্বত্র রটে।
দেহ গৌরী ত্রিপুরারি ত্রিদিবস লাগি, পথ চাহি জাগ্রত মর্ত্য-ভুবন,
দশমী প্রভাত হলে, যথারীতি এসো চলে, তিলমাত্র অন্যথা-বচন-
নাহি হবে কহিল গিরিরাণী। জামাতা হয়েছ, জানো আমিও জননী’!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন