বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আমিও জননী

 

উঠ হে নগাধিরাজ উমারে আনিতে আজ, ওগো কৈলাস-সদন।

হের, পঞ্চমী সমাগত, প্রাণে দি’ প্রবোধ কত, আনো চন্দ্র-বদন-

ত্বরা, না দেখিয়া প্রাণ-তারা, বরষভরে পাষাণঘরে, বড় শূন্য লাগে।

লোকমুখে কত শুনি, শিবসনে অভাগিনী শ্মশানবাসিনী, ভস্ম-রাগে-

কনকঅঙ্গ ঢাকি হয়েছে নাকি দারিদ্র্যে কাতর! গিরি চল হে সত্ত্বর।

কি সুখে রয়েছে এথা, তনয়া তরে নাহি ব্যথা, ও হে অচল ভূধর!

পিতা তুমি, প্রস্তর-অন্তর তব, আমি মাতা, কি বা কব, প্রাণনাথ-

রমণীর দুখ, নাহিক’ বুঝিতে পারো, যাও দ্রুত, শিব-অগ্রে দু’হাত-

পাতিয়া কহ, 'দেহ উমাধনে শূলপাণি, জামাতা জানি তোমা বটে;

ত্রিলোকবন্দ্য হও, দয়ার-বারিধি তুমি, সুরাসুরাদিজনে সর্বত্র রটে। 

দেহ গৌরী ত্রিপুরারি ত্রিদিবস লাগি, পথ চাহি জাগ্রত মর্ত্য-ভুবন,

দশমী প্রভাত হলে, যথারীতি এসো চলে, তিলমাত্র অন্যথা-বচন-

নাহি হবে কহিল গিরিরাণী। জামাতা হয়েছ, জানো আমিও জননী’! 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...