রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩

হাজার বছর ধরে তোমাকে চিনি

 

হাজার বছর ধরে তোমাকে চিনি। 

সরষের ক্ষেতে কাকতাড়ুয়া হয়ে সটান দাঁড়িয়ে 

আমি তোমার শ্যামলী আঁচলে মুগ্ধনেত্রে নিষ্পলক, 

দু’হাজার তিনশ পঁয়ষট্টি হাজার সাল ধরে এমনই

বনান্তের অন্তরে নিরন্তর ছিনিমিনি,

প্রত্যহ- অষ্টপ্রহর। 


সেই থেকে আমি তোমাকে চিনি। 

ব্যাণ্ডেল লোকাল ধরে- পার করে বিবর্তনের দিঙমন্ডল 

তুমি এগিয়ে চলেছ, আর আমি হাওড়ায় হারিয়েছি

জগজ্জনের স্রোতে। আমি আমাকেও আর পাইনি ফিরে

বহু খোঁজার পর- প্রত্যহ- অষ্টপ্রহর-

ভেতরে ও বাহিরেতে।


গভীর ভাবে চিনি। 

বক্ষ-পিঞ্জিরায় খঞ্জরের গুঞ্জর কবিতা-নেশায় 

আদ্যন্ত চুর; কুঞ্জর-বৃংহিতেও যেখানে সুর খেলে 

কিন্নরহস্ত দিব্যবীণার মতন- সেই ক্রুর-কল্পনালোকে

তোমাকে আমি প্রথম দেখেছি- ক্রন্দসীর উর্বশী-

শ্রাবণাকাশে যেন বিজলি চমকে গেলে

চোখের সামনে দিয়ে। 


সেই থেকে, অন্তত দুহাজার তিনশ পঁয়ষট্টি হাজার সাল

আমি বল্মীকের অন্তরালে রত্নাকরের মতন- 

দস্যুপনা ছেড়ে- কি সব্ গোঙাচ্ছি রাত্রিদিন, সপ্তা-মাস-

বরষ বরষ ধরে, তোমার আর পাইনে খবর। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...