হাজার বছর ধরে তোমাকে চিনি।
সরষের ক্ষেতে কাকতাড়ুয়া হয়ে সটান দাঁড়িয়ে
আমি তোমার শ্যামলী আঁচলে মুগ্ধনেত্রে নিষ্পলক,
দু’হাজার তিনশ পঁয়ষট্টি হাজার সাল ধরে এমনই
বনান্তের অন্তরে নিরন্তর ছিনিমিনি,
প্রত্যহ- অষ্টপ্রহর।
সেই থেকে আমি তোমাকে চিনি।
ব্যাণ্ডেল লোকাল ধরে- পার করে বিবর্তনের দিঙমন্ডল
তুমি এগিয়ে চলেছ, আর আমি হাওড়ায় হারিয়েছি
জগজ্জনের স্রোতে। আমি আমাকেও আর পাইনি ফিরে
বহু খোঁজার পর- প্রত্যহ- অষ্টপ্রহর-
ভেতরে ও বাহিরেতে।
গভীর ভাবে চিনি।
বক্ষ-পিঞ্জিরায় খঞ্জরের গুঞ্জর কবিতা-নেশায়
আদ্যন্ত চুর; কুঞ্জর-বৃংহিতেও যেখানে সুর খেলে
কিন্নরহস্ত দিব্যবীণার মতন- সেই ক্রুর-কল্পনালোকে
তোমাকে আমি প্রথম দেখেছি- ক্রন্দসীর উর্বশী-
শ্রাবণাকাশে যেন বিজলি চমকে গেলে
চোখের সামনে দিয়ে।
সেই থেকে, অন্তত দুহাজার তিনশ পঁয়ষট্টি হাজার সাল
আমি বল্মীকের অন্তরালে রত্নাকরের মতন-
দস্যুপনা ছেড়ে- কি সব্ গোঙাচ্ছি রাত্রিদিন, সপ্তা-মাস-
বরষ বরষ ধরে, তোমার আর পাইনে খবর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন