সেই হেমন্তের বিস্তীর্ণ জমির আলগুলো ঘেঁষে
দুর্বাঘাসের সিংহাসনে চিকচিকে শিশিরকণা,
সদ্য সোনালী রোদ্দুর ঝলমল দু'হাতে ভরে
ছুটেছে শিশুস্বপনদল; তখনো শৈশব উদ্দাম
জীবন তখনো অর্থ-অনর্থ-সজ্ঞা-সংজ্ঞাহীন!
নদীর পাড়ে মাথা উঁচিয়ে শামুকখোল দু এক,
দেউলধারে কিংশুকপুষ্করিণী, শেওলা-ঘাট,
পিচ্ছিল কৈশোরে, আকাশে ফেরে কৈফিয়ৎ;
বাতাসে অভিমান কল্পিত প্রেমিকার নিভৃতে।
শামুকখোলেরা ওসবের জানে না খবর, তবু
তারা এই স্রোতে ও ডাঙায় নির্ভুল প্রাসঙ্গিক!
মৃৎপিন্ড হৃদয় ঘিরে উঠেছে কি বাউলের টান,
অনিকেত মধুপপ্রহরী ফিরেছে শুনে ফুলডোরে
পরাগায়নের গান জেগেছে, সুরে লুব্ধ রোদসী
ধরেছে হাত প্রিয়তমের, কিন্তু সে কি মোক্ষমণি
বক্ষে ধরবে বলে সন্ধ্যার অন্ধকারে গেল চলে
বিজন দেশে, ক্রুর, নিঠুর, ঠোঁটের কোনে হেসে।
অরণ্যের জটায় উঠেছে এক রত্তি চাঁদ টুপ করে
সঘনস্বনমন্দ্রিত শাওন চঞ্চল অন্তরে মেঘ ওড়ে
অতন্দ্র কবি ও তন্দ্রাতুরা কবিতার বিবাদে এই-
আসে বানজাগা তটিনী-তটে যুগান্তপ্লাবী ঝড়,
দিনগুলো সব খড়কুটোর মতন গেল পরপর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন