ভাষা নিয়ে আলোচনা জটিল ব্যাপার! ভাষা নিয়ে কোন ভাসাভাসা তাত্ত্বিকতা বিশেষ আবেগের ব্যাপার হয় না সাধারণের কাছে। আমার ভাষা কি, আমি কেন এ ভাষায় কথা বলি— এটা নিয়ে কোন ভীষণ প্রশ্ন যেমন আম-জনতার মনে জাগে না, তেমনি জাগে না কোন মারাত্মক সংবেদনশীল অনুভব! যদিও ভাষা ধর্মের মত সংজ্ঞাহীন ব্যাপার নয়, অর্থনৈতিক অবস্থার মত প্রবল অনুভূতি নয়, রাজনীতির মত শিহরণ জাগানো কিছুও নয়— তবুও মানবের সমাজে এটাই সবচেয়ে শক্তিসম্পন্ন উপকরণ! এটার সাথে আমরা একাঙ্গীভূত! যেমন আমাদের কখনো কেন মনে হয় না যে আমাদের সবার ভেতর একটা মেরুদন্ড আছে— তেমন আমাদের মনেই হয় না আমাদের একটা ভাষাও আবশ্যক অথবা অনাবশ্যক ভাবে আছে— এটা একান্ত আমাদের আত্মিক, আমাদের নিজেদের ভেতরে গাঁথা— আলাদা নয় বলেই তা নিয়ে আলাদা করে চিন্তা আমরা করিই না! কোমরে ঘা লাগলে যেমন ডাক্তারের কাছে যাব— তেমনি ভাষায় ঘা লাগলে আর কোথাও হয়ত যাব— তবে ঘা কি কামারের ঘা নাকি ফুলের, তা বুঝতে সময় লেগে যাচ্ছে!
এবং আম আদমির পক্ষে এই ‘ঘা’ এর মর্ম বোঝা একেবারেই দুষ্কর! ভাষার কোথায় গুষ্টি উদ্ধার হচ্ছে এ নিয়ে তার কোন মাতামাতি নেই! জনাকয়েক আমাদের মত লোক যাদের খেয়ে কাজ নেই, যাদের কিনা স্বকথিত অর্থে নন্দন-রুচি আছে, যারা ভাষাটাকে নানান সাহিত্যরসে চটকে থাকেন— তারা এ নিয়ে বেশ ভাবিত, দুঃখজনক রকমের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত!
আমার ওসব নেই! আমি সস্তা কথায় এতটুকু বুঝি যে— পদার্থবিদ্যার নানান সত্য অপদার্থ সমাজে নিয়তই ফলে! সমাজের রীতি আপেক্ষিক, কালের মত সমাজও একটা এবস্ট্রাক্ট মিথ, পদার্থের মত সমাজেরও অবস্থান্তর ঘটবে, শক্তি বিনষ্ট না হয়ে অন্য আরেকটা রূপ পরিগ্রহ করবেই— ভাল কি মন্দ সে সবাই নিজের নিজের মত বলবে আর কি! এরকম জটিলতাপূর্ণ ব্যবস্থায় কোন প্রাক-নির্ধারিত আইন কিম্বা ভাবাবেগ চিরস্থায়ী হয় না। বিশেষত মানুষের যেখানে সময়ই নেই এসব নিয়ে ভাবার। এই যুগে মানুষ যেখানে নিজের মধ্যে নিজেকেই খুঁজে পায় না, সেখানে স্ব-সংস্কৃতি জাতীয় মূল্যবোধের কথাবার্তাই বাতুলতা! কার খেয়েদেয়ে এত কাজ যে এসব কচকচানিতে ডুবে মরবে?
মানুষ হই আর যা— আমরা তো পশুই! এ কথা যে মানে না তার সাথে আমার আড়ি! মানব নির্মিত নীতিমালা দিয়ে আমাদের যতই অন্য পশুদের চেয়ে ভিন্ন বলা হোক না কেন— বৈজ্ঞানিক ভাবে এসব স্রেফ বাখোয়াজ! অন্যদের মত আমরাও আমৃত্যু ইন্দ্রিয়সুখচরিতার্থ করার প্রয়াসে ব্যস্ত! কিছু মানুষের ইন্টেলিজেন্স ইন্টেলেকচুয়ালিটির ফাঁদে পড়ে বলে এরা আলাদা! এই আলাদাগুলো হাতে গোনা হয়! Often we set them as some incredible examples of human achievements before multitude, কিন্তু এসবও কেবল অনুপ্রেরণার কথা মাত্র! সাধারণের জগতটা আলাদাই থাকে! লক্ষ ছেলে বিজ্ঞান পড়ে আইনস্টাইন হবে বলে নয়, হয়ত দেখা গেল তার ভবিষ্যত লক্ষ্য একজন ডাক্তার হওয়া, নিজেকে তথাকথিত ভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা। এটা অন্তত ৯৮% লোকের ভাবনা হয়ত! এরকম একটা এম্বিশন অভিমুখী সমাজে, কিম্বা একেবারেই এম্বিশনহীন তামস সমাজে উঁচু উঁচু নীতিবাক্য অসার না একদম?
আমাদের পাশব সত্বার সাথে লড়ে লড়ে গোটা সমাজ ভরিয়ে ফেলেছি আমরা দ্বিচারিতায়, Survival of the fittest - আমরা এই নিয়ে বাঁচি মূলত, যার ইচ্ছে সে অস্বীকার করুক— ভাষা অথবা দেশপ্রেম জাতীয় নিতান্ত এবস্ট্রাক্ট মিথ নিয়ে আমাদের কখনো নির্দিষ্ট ইভেন্ট ধরে ভাবাবেগ নামাতে হয়, দৈনন্দিন জীবনে এসব কথা রোজ কচলানো হয় না। এর আরেকটা কারণ হল সমাজের ধারাটা পাল্টে গেছে! রবীন্দ্রনাথের ‘চাঁদ উঠেছিল গগনে’র চাইতে রোদ্দুর রায়ের ‘বাঁড়া চাঁদ উঠেছিল গগনে’ আরো বেশী rejuvenated লাগছে না? কেন বলুন তো?
তাহলে কি রবীন্দ্রনাথ হারিয়ে যাচ্ছেন? না! সমাজে চিরকাল লো-ইন্টেলেক্টের চাহিদা বেশী ছিল কিন্তু চাহিদানুযায়ী জোগান ছিল না! আজকে তা হচ্ছে বলে শোরগোল মনে হচ্ছে খুব! এই সমাজে যতই বৈরাগ্যশতকম লেখা হোক না কেন এখানে চিরকাল কামসূত্রই জয়ী! মুখচোরারা আগে মুখ লুকাতো, এখন তারা সবাই দাঁত কেলিয়ে সামনে আসছে! এমনটা হবার কথাই ছিল! ছিল না?
এ সমাজে তাই ভাষা-টাষা নিয়ে কৌলীন্য বৃথা। এ নিয়ে কাউকে অহেতুক প্রতিপক্ষও বানাতে নেই! নিজের পক্ষ নিয়ে নিজে উড়ি চলুন! ফুল ফোটাতে পারলে সুবাস আপনি ছড়াবে! সে সুবাসে কেবল মধুপের দলই আসবে! গুবরে পোকারাও আসবে— এমন ভাবাটাই তো বোকামি মশাই!
এবং আম আদমির পক্ষে এই ‘ঘা’ এর মর্ম বোঝা একেবারেই দুষ্কর! ভাষার কোথায় গুষ্টি উদ্ধার হচ্ছে এ নিয়ে তার কোন মাতামাতি নেই! জনাকয়েক আমাদের মত লোক যাদের খেয়ে কাজ নেই, যাদের কিনা স্বকথিত অর্থে নন্দন-রুচি আছে, যারা ভাষাটাকে নানান সাহিত্যরসে চটকে থাকেন— তারা এ নিয়ে বেশ ভাবিত, দুঃখজনক রকমের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত!
আমার ওসব নেই! আমি সস্তা কথায় এতটুকু বুঝি যে— পদার্থবিদ্যার নানান সত্য অপদার্থ সমাজে নিয়তই ফলে! সমাজের রীতি আপেক্ষিক, কালের মত সমাজও একটা এবস্ট্রাক্ট মিথ, পদার্থের মত সমাজেরও অবস্থান্তর ঘটবে, শক্তি বিনষ্ট না হয়ে অন্য আরেকটা রূপ পরিগ্রহ করবেই— ভাল কি মন্দ সে সবাই নিজের নিজের মত বলবে আর কি! এরকম জটিলতাপূর্ণ ব্যবস্থায় কোন প্রাক-নির্ধারিত আইন কিম্বা ভাবাবেগ চিরস্থায়ী হয় না। বিশেষত মানুষের যেখানে সময়ই নেই এসব নিয়ে ভাবার। এই যুগে মানুষ যেখানে নিজের মধ্যে নিজেকেই খুঁজে পায় না, সেখানে স্ব-সংস্কৃতি জাতীয় মূল্যবোধের কথাবার্তাই বাতুলতা! কার খেয়েদেয়ে এত কাজ যে এসব কচকচানিতে ডুবে মরবে?
মানুষ হই আর যা— আমরা তো পশুই! এ কথা যে মানে না তার সাথে আমার আড়ি! মানব নির্মিত নীতিমালা দিয়ে আমাদের যতই অন্য পশুদের চেয়ে ভিন্ন বলা হোক না কেন— বৈজ্ঞানিক ভাবে এসব স্রেফ বাখোয়াজ! অন্যদের মত আমরাও আমৃত্যু ইন্দ্রিয়সুখচরিতার্থ করার প্রয়াসে ব্যস্ত! কিছু মানুষের ইন্টেলিজেন্স ইন্টেলেকচুয়ালিটির ফাঁদে পড়ে বলে এরা আলাদা! এই আলাদাগুলো হাতে গোনা হয়! Often we set them as some incredible examples of human achievements before multitude, কিন্তু এসবও কেবল অনুপ্রেরণার কথা মাত্র! সাধারণের জগতটা আলাদাই থাকে! লক্ষ ছেলে বিজ্ঞান পড়ে আইনস্টাইন হবে বলে নয়, হয়ত দেখা গেল তার ভবিষ্যত লক্ষ্য একজন ডাক্তার হওয়া, নিজেকে তথাকথিত ভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা। এটা অন্তত ৯৮% লোকের ভাবনা হয়ত! এরকম একটা এম্বিশন অভিমুখী সমাজে, কিম্বা একেবারেই এম্বিশনহীন তামস সমাজে উঁচু উঁচু নীতিবাক্য অসার না একদম?
আমাদের পাশব সত্বার সাথে লড়ে লড়ে গোটা সমাজ ভরিয়ে ফেলেছি আমরা দ্বিচারিতায়, Survival of the fittest - আমরা এই নিয়ে বাঁচি মূলত, যার ইচ্ছে সে অস্বীকার করুক— ভাষা অথবা দেশপ্রেম জাতীয় নিতান্ত এবস্ট্রাক্ট মিথ নিয়ে আমাদের কখনো নির্দিষ্ট ইভেন্ট ধরে ভাবাবেগ নামাতে হয়, দৈনন্দিন জীবনে এসব কথা রোজ কচলানো হয় না। এর আরেকটা কারণ হল সমাজের ধারাটা পাল্টে গেছে! রবীন্দ্রনাথের ‘চাঁদ উঠেছিল গগনে’র চাইতে রোদ্দুর রায়ের ‘বাঁড়া চাঁদ উঠেছিল গগনে’ আরো বেশী rejuvenated লাগছে না? কেন বলুন তো?
তাহলে কি রবীন্দ্রনাথ হারিয়ে যাচ্ছেন? না! সমাজে চিরকাল লো-ইন্টেলেক্টের চাহিদা বেশী ছিল কিন্তু চাহিদানুযায়ী জোগান ছিল না! আজকে তা হচ্ছে বলে শোরগোল মনে হচ্ছে খুব! এই সমাজে যতই বৈরাগ্যশতকম লেখা হোক না কেন এখানে চিরকাল কামসূত্রই জয়ী! মুখচোরারা আগে মুখ লুকাতো, এখন তারা সবাই দাঁত কেলিয়ে সামনে আসছে! এমনটা হবার কথাই ছিল! ছিল না?
এ সমাজে তাই ভাষা-টাষা নিয়ে কৌলীন্য বৃথা। এ নিয়ে কাউকে অহেতুক প্রতিপক্ষও বানাতে নেই! নিজের পক্ষ নিয়ে নিজে উড়ি চলুন! ফুল ফোটাতে পারলে সুবাস আপনি ছড়াবে! সে সুবাসে কেবল মধুপের দলই আসবে! গুবরে পোকারাও আসবে— এমন ভাবাটাই তো বোকামি মশাই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন