আমার ভুবন কালো
মেঘে ছায়, গ্রাস করে প্রভূ মিহিরে!
মুখপানে চেয়ে
ডেকে বলি নাথ, হাত ধর এই তিমিরে!
ছয় জনা এসে ছয়
কথা বলে, আমি দশদিকে মরি ঘুরে
শত শত পথে শত
শত মতে আমি শতেক যোজন দূরে
প্রভু পদযুগ হতে;
আমি কুহকে লিপ্ত,
ব্যথায় সিক্ত, অন্ধের মত ভ্রমিয়া
কাতর কন্ঠে ডাকিনু
তোমারে, পদপঙ্কজে রহি নমিয়া,
এই ভাঙা দেহরথে-
ধুলো জমে গেল,
মলিন ধ্বজাটি উড়বার মত নেই আর,
চক্র হয়েছে জীর্ণ,
ঘরঘর বেগে কত
প্রান্তর মাড়িয়ে, ইন্দ্রিয়গুলি অশ্বের মত,
কালক্রমে হল শীর্ণ!
প্রভু ক্ষীণবল
দেহ-মনে, ব্যকুল পরাণে,
বলি, মহারাজ তুমি
জগতের,
হে করুণাসিন্ধু
পিপাসা মিটাও,
বুকে- অনলপ্রবাহ
ভকতের!
কালকূটে ভেবে
অমৃত, কালসম্মুখে নতশির,
আমি শমণত্রাসিত,
মহাভয়ে চিত অঙ্গার!
তবু গেল না বাসনা,
সদা সুখের সাধনা
ভ্রমে ভ্রমে বাঁধি
সংসার!
ধর্ম, অর্থ, কাম
বা মোক্ষ আমি জানি না কিসের যোগ্য,
হয়ে গেছে ব্যাধি,
দাও ঔষধি, বরাভয়, দাও আরোগ্য!
অসীম তোমার অতুল-ক্রোড়ে,
যেন বিনাক্লেশে মুদি আঁখি,
এটুকু পেলেই আর
কি বা চাই? কি থাকে চাইতে বাকি?
তুমি আমারে দিও
না ফাঁকি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন