কখনো এমনও হয় যেন চারপাশ শূন্য করে মাঝে বসে আছি একা,
অনন্ত কৃষ্ণগহ্বরের কোলে, দোলে জীবন, দূরে কোথাও দীপের শিখা—
যেন কেঁদে কেঁদে নিভে যায়, যেন সকল ক্ষণ মধ্যরাত্রির মত শান্ত,
অন্ধকার, নিবিড়, অঙ্গুলিচালনে তারের রণন তানপুরাতে সদ্য ক্ষান্ত—
উতল বাগেশ্রী শেষে, যেন কোন দুর্নিমিত্ত শঙ্কাগ্রস্ত আত্মা
অচলবৎ,
ভেঙে গেছে চক্র চলে চলে, ধুলায় বিজয়ধ্বজ, পাঁচটি ঘোরার রথ—
আমার, একান্ত আমার, আমি একা একা নির্বিকার বসে আছি যেন।
মেঘ এসে উড়ে উড়ে যায়, নক্ষত্র উঁকি দিয়ে ডাকে, শাল্মলি শাখায়—
নিশুতি জাগে উলূক জনাকয়, কে জানে কি সুরে অজানা ভাষা গায়।
উলুখাগড়ার দেশে আকুল শিবাকুল গেল থেমে, যেন সহস্রাব্দ কাল—
মরণঘোর মরে নির্ঘুমে, নীহার-শীতল-প্রাণ ওঠে নীরাজনা করবাল—
গেয়ে এই তৃপ্ত তামস যুদ্ধহীন পাথুরে বৈকল্যে, যেন কি কৈবল্যনিধি—
কে যে পাবে জানি না ছাই, তবু তো চাইই চাই, অকারণে শেষাবধি—
কোন নিরিক্ষমাণ নিরীশ্বরের অমোঘ প্রতিবিধান, নচেৎ যে বিষপান
বৃথা যায়, নইলে যে মুচড়ে যাওয়া সুর কত, মীড়-খটকা-গমক-তান—
বেদনা-অর্বুদ অচেনা রঙ যত যায়, তবে কেন আর একা বসে থাকি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন