মা,
আমি কবে কখন স্বপ্ন দেখতে দেখতে
ক্লান্ত হয়ে গেলাম।
খড়ের গাদার ছাউনি দেয়া ঘর, বাঁশের খুঁটি,
পুঁইয়ের মাচা, লাউয়ের ডগা, ফুলের গাছ একটি দু’টি-
উঠোন-কোনে।
রোদের খেলা, দুপুর বেলা পুকুর জলে-
হাঁসের ঝাঁক, পাখির ডাক শিরীষ ডালে-
আপন মনে।
আমি কখন আলোয় পা মাড়িয়ে চলে এলাম
দারুণ রাত্রি প্রগাঢ় তন্দ্রায়, কি বিচিত্র আঁধারে-
আমি ক্লান্ত মা।
দশ ইঞ্চি ইটের দেয়াল ফুঁড়ে খুঁজেছি প্রাণ,
গেঁথেছি আরো সুর, বুনেছি বুনো গান-
নগরে-নোঙ্গর ফেলে।
খালের পাড়ে শুয়ে চোরকাঁটায় বিঁধিয়ে জামা,
রাতের আকাশে কারো অকৃত্রিম চাঁদমামা-
দেখতাম উদাসী নেত্র মেলে-
যদি এ জন্ম খালের জলে ধুয়ে, তপ্ত দেহ-
বিষণ্ণ শিরা-উপশিরা জুড়িয়ে যেত,
অমনি স্নেহ- আমি ঘুমের ঘোরে হারিয়ে বেড়াই।
কবে যে সরষে খেতের আল বেয়ে
চলে এলাম, এখানে বাতাসে বালি ওড়ে-
এখানে মরুঝড়, নিত্যদিন।
মা,
আমার ঘুমাতে দ্বিধা,
জেগে থাকা সেও যে কঠিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন