রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২

জেগে থাকা সেও যে কঠিন

 

মা, 


আমি কবে কখন স্বপ্ন দেখতে দেখতে 

ক্লান্ত হয়ে গেলাম।

খড়ের গাদার ছাউনি দেয়া ঘর, বাঁশের খুঁটি, 

পুঁইয়ের মাচা, লাউয়ের ডগা, ফুলের গাছ একটি দু’টি-

উঠোন-কোনে। 

রোদের খেলা, দুপুর বেলা পুকুর জলে-

হাঁসের ঝাঁক, পাখির ডাক শিরীষ ডালে-

আপন মনে। 


আমি কখন আলোয় পা মাড়িয়ে চলে এলাম

দারুণ রাত্রি প্রগাঢ় তন্দ্রায়, কি বিচিত্র আঁধারে-

আমি ক্লান্ত মা। 


দশ ইঞ্চি ইটের দেয়াল ফুঁড়ে খুঁজেছি প্রাণ, 

গেঁথেছি আরো সুর, বুনেছি বুনো গান-

নগরে-নোঙ্গর ফেলে। 

খালের পাড়ে শুয়ে চোরকাঁটায় বিঁধিয়ে জামা,

রাতের আকাশে কারো অকৃত্রিম চাঁদমামা-

দেখতাম উদাসী নেত্র মেলে-

যদি এ জন্ম খালের জলে ধুয়ে, তপ্ত দেহ-

বিষণ্ণ শিরা-উপশিরা জুড়িয়ে যেত,

অমনি স্নেহ- আমি ঘুমের ঘোরে হারিয়ে বেড়াই। 


কবে যে সরষে খেতের আল বেয়ে 

চলে এলাম, এখানে বাতাসে বালি ওড়ে-

এখানে মরুঝড়, নিত্যদিন। 


মা,

আমার ঘুমাতে দ্বিধা,

জেগে থাকা সেও যে কঠিন। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...