বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩

নিঃসঙ্গে নিস্তরঙ্গ

 

হয়ত যেন হব নিছকই পথিক, 

অগুরুত্বপূর্ণ কেউ, কোন জনমান্তরে

যদি তখনো বেঁচে থাকে পৃথিবীর একটি গ্রাম, ঠিক-

একটি নদী, নদীতীর, শ্যামল ক্ষেত, দুর্বাদলের আল,

মেঠো পথ, বাঁশবনে বিলোল সমীর-

পূর্ণমাসীর রাতে ঝিরিঝিরি, নিখিলের দিকচক্রবাল-

ঘিরে যদি পাই অনন্ত অধীর পদাতিক-

বাসনা গুটিকয়েক দু’কদম এগিয়ে যাবার

তবে। 


বিটপীছায়ে এলিয়ে দিয়ে প্রাণ, তপ্ত বোশেখে; 

শাওন মাড়িয়ে পায়ে যদি পাই কর্দমের ঘ্রাণ

বুক ভরে যেন নেব জনমভর। 

ধানের রুইয়ে স্বপ্ন বোনা চাষীর দাওয়ায় -সুখে 

হুঁকোতে টান, যেখানে জীবনের মত্তগান-

দোতারা বেয়ে নামে ধ্যানের হাওয়ায়,

সেখানে হয়ত থমকে যাব কিছুটা ক্ষণ নির্দ্বিধায়,

অতঃপর-  


নয়ত, সোনার বেড়ি পায়ে ঝেড়ে চলব পথ, 

ডিঙির পালে মেলব ডানা, আগল দিয়ে ঝড়,

বাঁধব জলোচ্ছ্বাস কশেরুকার খাপে। 

তারার আলোয় জোনাকি অম্লান, জ্যোতিরেখা ধরে

স্বর্গদ্বার খুলত ধীরে, নিশ্বাসের তরঙ্গ কাঁপে-

যদি নিঃসঙ্গে নিস্তরঙ্গ হবার অন্তিম আয়োজনে,

আমার হত কি তাতে ক্ষতি? 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...