হয়ত যেন হব নিছকই পথিক,
অগুরুত্বপূর্ণ কেউ, কোন জনমান্তরে
যদি তখনো বেঁচে থাকে পৃথিবীর একটি গ্রাম, ঠিক-
একটি নদী, নদীতীর, শ্যামল ক্ষেত, দুর্বাদলের আল,
মেঠো পথ, বাঁশবনে বিলোল সমীর-
পূর্ণমাসীর রাতে ঝিরিঝিরি, নিখিলের দিকচক্রবাল-
ঘিরে যদি পাই অনন্ত অধীর পদাতিক-
বাসনা গুটিকয়েক দু’কদম এগিয়ে যাবার
তবে।
বিটপীছায়ে এলিয়ে দিয়ে প্রাণ, তপ্ত বোশেখে;
শাওন মাড়িয়ে পায়ে যদি পাই কর্দমের ঘ্রাণ
বুক ভরে যেন নেব জনমভর।
ধানের রুইয়ে স্বপ্ন বোনা চাষীর দাওয়ায় -সুখে
হুঁকোতে টান, যেখানে জীবনের মত্তগান-
দোতারা বেয়ে নামে ধ্যানের হাওয়ায়,
সেখানে হয়ত থমকে যাব কিছুটা ক্ষণ নির্দ্বিধায়,
অতঃপর-
নয়ত, সোনার বেড়ি পায়ে ঝেড়ে চলব পথ,
ডিঙির পালে মেলব ডানা, আগল দিয়ে ঝড়,
বাঁধব জলোচ্ছ্বাস কশেরুকার খাপে।
তারার আলোয় জোনাকি অম্লান, জ্যোতিরেখা ধরে
স্বর্গদ্বার খুলত ধীরে, নিশ্বাসের তরঙ্গ কাঁপে-
যদি নিঃসঙ্গে নিস্তরঙ্গ হবার অন্তিম আয়োজনে,
আমার হত কি তাতে ক্ষতি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন