আমার সাধগুলো এখনো সর্বাংশে নয় মৃত।
আজও ইষ্টকপিঞ্জিরার মাঝে ধুকপুক বুকে
খোয়াব্ দেখি দিবালোকে, রাত্রি বিজড়িত
গ্রাম্য চন্দ্রমার জ্যোৎস্না-লেপনে জাগে গান
ধানের ক্ষেতে, ঝিলের জলে, পুষ্পকোরকে
প্রেমের পঙক্তি মেলে, অতন্দ্র নৈশ-স্নান-
আমার অঙ্গার-অঙ্গে লাগে শীতল সৌরভ।
আমি এমনি থাকতে পারি বিকিয়ে গৌরব
যত পেলাম এই মিথ্যে মঞ্চে গেয়ে অ্যাদ্দিন!
ভেতরে গ্রীষ্মদগ্ধ শীর্ণস্রোতা নদী হতে ভয়।
যদি না ভেড়ে কারো তরী, না বাজে বেণু-
শুষ্ক গোষ্ঠে, না বাজে বীণ আর যদি কোনদিন
হৃদয়-দরবারে; আবদারের ফিরিস্তি গোটাকয়
জিঁইয়ে রেখে মোক্ষেও পাব না সুখ জানি।
আমি নগরে অতি নশ্বর, অযথা অভিমানী-
অসম্ভব কবিতার ভার বয়ে সুরে সুরে দূরে-
দূরে ডুকরে মরি, আমি তো রবিঠাকুর নই,
জীবনানন্দ নই যে মরণ আনন্দ লিখে বাঁচি,
আমি স্রেফ কতগুলো আহ্লাদের অবোধ গুঞ্জ-
স্ব-সাধিত খঞ্জরের ঘায়ে খন্ড-খন্ড হলাম,
তবুও কিছু সাধ আজও সর্বাংশে নয় মৃত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন