শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬

ব্যর্থতা যে অসীমে অসীম

প্রিয়তমাসু,
আমার ভেতরে বাইরে এখন শুধু ভাসমান দূশ্চিন্তা
জীবন ও মৃত্যুকে দু'পাশে রেখে আমি কোন মর্মর মূর্তির মত অবিচল
কিন্তু শরীরের প্রতিটি কোষে আছে না বলা কত স্বপ্নচ্যুত বিষ,
বিষে বিষে টলমল- এখন থেকে ভবিষ্যৎ, পূনরাবর্তে আসা ভুলের হদিস-
মেলে, পালভাঙা ঝড় ওঠে, আমার উঠানে ভাসে একগলা জল!

তোমাকে যে ঘরে ডেকেছি দ্বীপ জ্বালাতে সে ঘরে তামিস্রের বাস,
জন্মান্ধ অন্ধকার, দখলদারীত্ত্ব তার দরজার এ পাড়ে ও পাড়ে।
আমি আগুন জ্বালিয়েও যেখানে পারিনি একবিন্দু আলোর প্রস্ফুরণ
সেখানে তোমাকে দিয়েছি সংসার, লক্ষ্মীর শূণ্য ঘটে সৌভাগ্য আবাহন-
করে তোমাকে বলেছি আমি এইখানে তোমার স্থান, এই আশ্বিণ মাস-
তার স্বাক্ষী হয়ে আছে!

প্রিয়তমাসু,
আমার সাথে যে স্বপ্নের আর কোনদিন হয় না আলাপ,
আমি তার আশায় গান গাই জানালা খুলে নিশির দু-প্রহর!
তোমার হাতের মুঠোয় ছেড়ে নৈরাশ্যের অধিকার 
আমি দেখি কি করে ঘুমিয়ে পড়ে এ নগর কোলকাতা, আদিম শহর! 
অথচ আমরা তো জেগে থাকি, আমাদের তো জাগতে হয়,
যে দুজন মানুষের বাঁচা-মরা এক, যে দুজন মানুষের প্রেম অক্ষয়
তাদের নিদ্রা-অনিদ্রায় ফারাকই বা কি?

আমার সমাপ্তির সাথে আমি তোমাকে বেঁধেছি ভুলে,
আমি জানি- তুমি জানো, তুমি বোঝো, দু'চোখের উপকূলে-
আমার কি প্লাবন এই বেদনায় হতবিহ্বল হয়ে গুমরে মরে!
আজ শারদীয়া সপ্তমী, সাতজনমের টান যদি পারি বিধান খুলে-
বিধাতার আজকেই- এক করে দিতাম এনে তোমার দু'হাত ভরে
তারপর যা তোমার ভাল লাগে, তাই করতে!

প্রিয়তমাসু,
আমার ব্যর্থতা যে অসীমে অসীম!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...