রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬

ভাল্লাগেনা

আমার ভাল্লাগেনা কোনকিছু,
ভাল্লাগেনা ঘর দুয়ার আর বাইরে এত মানুষ, রাস্তাঘাট-
এত চঞ্চল, পূজার ঢল, আলোর জোয়ার- ভাল্লাগেনা।
একদিন যে নিঃসঙ্গতার ভেতর আনন্দ পেতাম
আজ তাতেও আসে ক্লান্তি আর একঘেঁয়েমি,
একদিন যে নিভৃতবাসে বুদ্ধ বিবেকানন্দ রবীন্দ্রনাথ
দেখা দিয়ে যেত, এখন সেখানেই থাকে তামস বিরাগ!

এখন কোথায় তুমি?
কোথায় মহানবমীর হোমের ধারে বসে উষ্ণতা নাও?
আমার যে ভাল্লাগেনা, ভাল্লাগেনা বেঁচে থাকা
ভাল্লাগেনা এখন আর সকল গানের সুর, তুমি শুনতে কি পাও
আর্তরবে সুললিত কত তান বেসুরো হয়ে মরে যায় আজকাল?

ভাল্লাগেনা। তুমি কোথায়?
তুমি কোথায়? পোড়া কপাল!
আমি চিরটা কাল কত কি অমূল্য ধন পেয়ে হারালাম!
তুমি সে তালিকা থেকে যদি অন্তত দশহাত দূরে থাকো
আমি এ জন্মে তবে আরেকবার এমনি জন্মে যাই!
বিশ্বাস করো- ভয় আর রাতের অন্ধকার, তোমাকে জানালাম-
আমাকে ভয় আর অন্ধকার কুঁড়েকুঁড়ে খায়।
আমার আর ভাল্লাগেনা গো- আমার থেকে থেকে কেন যে কান্না পায়
কেন যে দমিয়ে রেখে রেখে আমিও হয়ে গেছি প্রকাণ্ড পাথর!

জানি না আর, এ জীবনে কত কি দেখা বাকী
আরও কত সংপ্লাবী বেদনার দমকা হাওয়ায় আমি ভাসতে থাকব?
ভাল্লাগেনা গো, বুকের ভেতর দেখো কিছু কিছু বাসনা আমার
পুড়ে ছারখার, তবুও দুঃসাহসী আমি, তোমাকে কোথায় রাখব?
এ সাহসে ভাঙা যায় অনেক শেকল,
কিন্তু গড়া যায় না ক্ষুদ্রতম খড়-বিচালীর ঘর!

ভাল্লাগেনা। ব্যথায় অন্তর
কেমন যেন হয়ে গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...