বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

ভোররাতের গাজন

আমি কোন দিন আবদুল কুদ্দুস বয়াতির মত করে সনেট লিখব
আর তুমি বিটোভেনের মত করে তাতে সুর বসাবে, সরেস পল্লী সুর!
লালনের কাছে শিখেছিলাম আউলা ঘরানার হিন্দুস্তানী তান
আর কাঙালিনী সুফিয়ার কাছে নিয়েছিলাম বাঙালি তালিম, রাত-দুপুর-
কি করে যে কেটে যেত; সেই সব অতল স্মৃতির সাম্পান
এখন কখনো কখনো ভেসে ভেসে ওঠে- পুরাণ ঢাকার কালো টাইমসের পাড়ে!

বুড়িগঙ্গাটা আজও বুড়ি রয়ে গেল! বয়সে ভারে-
কতজন সাদা হয়ে যায় আর সে দিনদিন কালো হয় আরো!
লক্ষ্মীবাজার ঘেঁষে বিউটি-বোর্ডিং বিউটিলেস আনন্দে কবিতা ছেড়েছে
তার অকাল বার্ধক্য এসে গেছে- নজরে নেই কারো-
ওখানে আর কোন গ্যাটে মাথা ঘেঁটে লেখে না কিছুই,
আজ তার অস্তিত্বের সব গাঁটে চিনচিনে ব্যথা!

কবি হলে বুঝতে-
কি করে পল্লীকবি মাইকেল মধুসূদন লিখেছিল গাজন শুধুই
শিবের- ধান ভানার দিন এলে দাওয়ায় বসে হেনরিয়েটার সাথে।
আর জসীমুদ্দিন গিয়েছিল নোবেল নিতে- দাড়ি না থাকার দায়ে ভেস্তে গেল সব!
নজরুল তো বলেই দিল এক 'কৈফিয়ৎ' এ
আমি রবি ঠাকুরের মত ঠাকুর-ফাকুর নই!

ওয়ার্ডসওয়ার্থ ঘুমিয়ে গেলে পারসে বিশে শেলী
আকশের তারার সঙ্গে করে কথা চালাচালি-
এভাবে সে বেঁচে থাকতে চায়!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...