রবিবার, ১২ মে, ২০১৯

সুলক্ষণার প্রতি

আমি আর কিছু লিখতে পারিনে সুলক্ষণা।
আমিত্বের সবকটি প্রগাঢ় সুর লক্ষ্যহীন তীরের মত ছুটে গেছে,
শূণ্য তূণীরে দিনভর অদৃষ্টের অদৃশ্য খেলা হাওয়ার সাথে,
আমি একান্ত আনমনা...
কবে থেকে...

সেই প্রথম প্রমথোন্মেষ থেকে এই যৌবনান্ত বেলায় আমি কত চোখে বিঁধে গেছি,
কত ভাষা বুঝিনে ভান ধরে নিজেকে রেখেছি দূরে মিছামিছি-
এখন আমি সব যেন হাতড়ে ফিরি ক্রমশ নিঃসঙ্গতায়,
জানো কি সুলক্ষণা-

এত শতধাপ্লাবিত প্রেম আমি আড়াল করেই রাখি,
যদিও সকল প্রেম স্পর্শকাতর নয়,
সকল প্রেমই নয় ব্যাপকার্থে অর্থবহ যেমনটি সকল কবিতায়
আমি কল্পনার জোয়ার তুলে একেঁ যেতাম!

সকল হাত ধরার আকাঙ্খা,
সকল ওষ্ঠ অধরে নিজেকে ব্যাভিচারী করে ফেলার বাসনা-
মাত্রেই বহুব্যহৃত অসংযম নয়,
আমি কবিত্বের অন্ধকারে কৌলীন্য আর লোকবিচার্য্য লাম্পট্যের
দ্বন্দ্বে সমস্ত প্রেমের অনুভব মাটিচাপা দিয়েছি,
যদিও কবিতা সংযমের মানস্তম্ভ নয়-
তবুও...
পৌরুষ- সে দোর্দণ্ড ক্ষমাহীন!

যতেক কিশোরী হৃদয়কোরকে আমি কীটদষ্ট ব্যথা হয়ে গেছি,
তারাও একে একে নারী হয়ে গেছে কবে,
ধনুভঙ্গ পণ ধরে ফিরিয়ে দিয়েছি যত ফুলশর-
তারা ধ্বজভঙ্গের ধ্বজা তুলেছে কবিতার পাড়ে,
আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছি,
এপাড়ে ভীষণ ঝড়..
স্খলিত হই,
অতঃপর...

সকল শিল্পের সঙ্গতি নেই চিরবৈরাগ্যের সাথে,
অমথিত যৌবন জানে না ঈশ্বরের সকল কলা,
যদিও সমস্ত কলা বাৎসায়নের শাস্ত্রগত নয়,
তবুও বলা..

আমি কিছু আর বলতে পারিনে সুলক্ষণা,
অথচ কিছু বলতে না পারাতে কোন সার্থকতা নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...