মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২

বাতাসে বিষাদ

 

কখন যে আমি ইমন গাইতে গাইতে মারবায় চলে এলেম

তীব্র মধ্যম থেকে শুদ্ধ ধৈবতে গিয়ে ছুঁলেম প্রখর শুদ্ধ নিষাদ

অতঃপর কি করে যেন হুঁশ ভেঙে তারস্বরে কোমল ঋষভ;

ক্ষণকাল পর, আকাশ বুকের ভেতরে ভারী, বাতাসে বিষাদ।

 

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২

তোমার মতন বাঁচো

 

কিছুটা নিজের জন্য নিজেকে বাঁচিয়ে রেখো।

অকাতরে বিলোলেই সকলে নেয় না,

নিঃশেষে ফুরোলেই সকল সমাপ্তি হবে না

বুকভরা গৌরবের।

ভেবে দেখো কোথায় যাচ্ছ ক্ষয়ে,

কতটা যাচ্ছ সয়ে; কেন? এবং কি কারণে?

কিছুটা বৈভবের

ছিটেফোঁটা অবশিষ্ট রেখো স্বার্থপর হতে

এ জীবন দ্ব্যর্থহীন যাপনে।

সর্বদা অর্বাচীন গাড়ল হলেই পৃথিবীটা সুন্দর হবে

এমনটা নয় বিলক্ষণ। পৃথিবীতে

স্বার্থলেশশুন্য তো কদাচিৎ পাগলও হয়।

সুতরাং আখের গোছাও

গাঁটে কড়ি কিছু সঞ্চিত থাক,

থাক কিছু কর্কষ কথার পুঞ্জ জমা,

কিছু অপহৃত লজ্জাছাড়া সুখ; প্রহৃত বাসনায়

দাও ঘৃতাহুতি, ওঠো জ্বলে

দাউ দাউ ধক ধক ধুক ধুক

আগুনে দাও দাও

আরো আরো নীতিশতকে ধোঁয়ায় তুলে

স্বর্গে পাঠিয়ে, তুমি বাঁচো!

তুমি একান্তে এক দন্ড’খন বুক ভরে শ্বাস নাও,

তোমার মতন বাঁচো অন্তত একটা সেকেণ্ড!

 

 

 

 

 

 

তোমারে সঁপেছি প্রাণ

 

তথায় বিরাজ দেবী যথায় গাহিনু গান

যেটুকু গাহিতে জানি সেটুকু তোমারি দান।

 

না রাখি পূজার বেদি, হৃদয়ে ধরিয়া সাধি

আসন দিয়াছি পাতি ষড়জাদি স্বরস্থান!

 

কি পূজিব ফুলে-ফলে, বাঁধিব কি মন্ত্রছলে

আকুল বিশাখ বলে, তোমারে সঁপেছি প্রাণ!

 

শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২

কহতব্য নয়

 

We see faces that are well known to us

Contrary to what we believe they exist

Myriad assumptions failed to see the path

Where they go, to where they exodus.

Do we know, we know nothing indeed!

 

Once we trusted a bud to blossomed a flower

Futile, a long deep sigh a potential outcome

Faith on a dark cloud expected it to shower...

On a thirsty sunny day, it says, ‘It’s a bit untime’

 

 

যে মুখে ফুলের ভাষা জেগেছে বসন্ত মলয়ে কত

তার-ই বিবরে কীটের বাস, পুঁজ ক্ষত

বিষের গন্ধ রন্ধ্রে রন্ধ্রে

 

সে সকল কহতব্য নয়।

 

 

 

 

 

 

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২

ভাঁড় হওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ


সহজ কথায় বল

শিরদাঁড়া টানটান করে বল

কলমের নিব থেকে প্রটেকশন সরিয়ে বল

পরে ওটা না হয় আবার ত্রিশূলে পড়াবে সাধ হলে

হয়ত সামনের বছর জুটবে না আরেকটা পদক

টিভিতে ডাকবে না গ্যাঁজাতে আর ঘন্টা ভর

তবুও বল

 

মানুষ মরে

মানুষ জ্বলে পুড়ে মরে

এ জ্বালা মানুষের

শুধুই মানুষের

পক্ষ ও বিপক্ষের নয়

 

তুমি বোঝাও

কবি হওয়া কষ্টের

ভাঁড় হওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ।

 

 

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২

রাগে ও বিরাগে

 

অবসন্ন লাগে।

চাঁদের শেষ রাত্রির মত পাণ্ডুর দেহ,

যেন ডুবে যাব একটু’খন পর।

গ্রীষ্মদিনের প্রথম প্রহর যেন অনিচ্ছায় তন্দ্রাহত

শায়িত মন্থর নিরুদ্যম পাথরের টুকরো আমি

নেতানো ফুলের মত নিথর অন্তর।

 

পিপাসা জাগে

মূমুর্ষু অক্ষিগোলক-তলে রসাতল

উতল জোয়ারে যায় ভেসে।

নৈঃশব্দ-নোঙর ডুবিয়েছি কতক কবিতায়

কতক গানের সুর ত্রিসপ্তক দেশে

মর্মর মুরতি হয়ে আছে।

 

আমি কবেকার প্রথম পুরুষ।

প্রথম-প্রমথ-শর বুকে ছুটেছি দিগ্বিদিক।

কিংশুকের বনে দাঁড়িয়ে তার নীচে

কোন বসন্তের গানে তুলেছি গণ্ডূষ

গণ্ডূষ অতৃপ্তির প্রেমাতুর-সুধা, মরণমুগ্ধ সুর

 

রাগে ও বিরাগে।

 

 

 

 

 

 

 

যদি কোলে লও

 

আমারে রাখিবে পিছে,

আমারে টানিবে নীচে,

মায়ায় ভুলাবে মিছে,

এতে যদি মাগো প্রীত হও;

আঁখি মুদে আমি মেনে নেব সবই

দিবাশেষে যদি কোলে লও।

 

আঘাতে কাঁদিব আমি,

সকলই ফিরিবে বুক হতে মোর

তোমারি চরণে নমি।

আমি বুকভাঙা কথা কহিব না আর

তুমি কানে কানে যদি কথা কও।

আঁখি মুদে আমি মেনে নেব সবই

দিবাশেষে যদি কোলে লও।

 

বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২

এক রত্তির পাংশু বেদনা

 

বোঝা হয়ে গেছে, নিভে হল ছাই

এখন আমার অফুরান বেলা গাইবার

এক আকাশ শুধু কবিতা চাই।

 

এক রত্তির পাংশু বেদনা রাত্তির

ঘোরে ফেরে, এ তীর ও তীর

চাঁদের আলোয় অমরাবতীর একা

দুম করে হল দেখা

তখনি মেঘেরা ঘেরে।

এক রত্তির পাংশু বেদনা রাত্তির

ঘোরে ফেরে

আমার এক রত্তির পাংশু বেদনা

 

এখন আমার অফুরান বেলা চাইবার

ভেবে ভেবে যেন চমকে যাই

এখন আমার অফুরান বেলা গাইবার

এক আকাশ আমি কবিতা চাই।

 

 

 

বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২

ক্রমশ

 

ক্রমশ হতেছি ক্ষয়, ক্রমশ হতেছে ভয়,

ক্রমশ আঁধার এসে কানেকানে কথা কয়।

 

ক্রমশ মরম মরে, ক্রমশ পাঁপড়ি ঝরে,

ক্রমশ নয়ন ক্ষরে, দীন-দেহ কত সয়?

 

ক্রমশ তলিয়ে যাই, ক্রমশ গরল খাই,

ক্রমশ কিছুই নাই, ক্রমশ হতেছি লয়।

 

ক্রমশ অসুখ বশে, ক্রমশ শমন ত্রাসে

ক্রমশ সকল আশে ডুবেছে ভুবন-ত্রয়!

 

ক্রমশ অনলদাহে আরও যে পরাণ চাহে,

ক্রমশ জেনেছি শুধু, ‘আমি-আমি’ কেহ নয়!

 

 

সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২

মানুষ

 

মানুষের মনে আঁধার ঘনায়,

মানুষের মনে সন্দ’!

মানুষের ঘায়ে ব্যথিত মানুষ,

মানুষের বুকে দ্বন্দ্ব!

 

মানুষ এনেছে কত কত পুঁথি,

মানুষ লিখেছে লাখ কোটি রীতি,

মানুষ হিংস্র মানুষেরই প্রতি,

মানুষেতে ভাল মন্দ!

 

মানুষ গড়েছে বধির দেবতা,

দেবতার পায়ে বলি স্বাধীনতা

মানুষ দিয়েছে, মানুষের ব্যাথা

ভেজা রক্তের গন্ধ!

 

 

 

 

 

 

 

 

রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২

এখন কোথা যাই?

 

বাউলা, দুনিয়া ছানিয়া দেখি দোসর কেহ নাই!

প্রাণ বাঁধি আর গান বাঁধি সব নিজেরে শোনাই!

 

জনে জনে কইতে নারি, কিসে বোঝা হৈল ভারী,

কোন ঘাটে লাগাব তরী, আমি কোন উজানে বাই!

 

যার ভাল সে বুঝুক বটে, আখেরে বিশাখে রটে

আমি ম’লাম এসে এ সংকটে, এখন কোথা যাই?

 

শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২

‘মানুষ’

 

নির্নিমিখ রাত্রিদিন, যেন চেয়ে আছি নিষ্প্রভ নক্ষত্রের দ্বার খুলে- অন্য কোন আলোর সমুদ্র পাড়ে। এ আলো তমসার ধার ঘেঁষে ধীরে ধীরে জাগে না যেন। যেন এ লোকে নিরালোকের সম্ভাবনা কখনো দেয়নি নাড়া খিড়কি ধরে সূর্য্য ডুবল বলে। এ আলো স্বয়ংপ্রভ। এ আলোয় আঁধার-নিরাকরণের মন্ত্র ভাসে না যেন আদ্যন্তহীন কালস্রোতে। এ আলো আত্মার নয়। এ জ্যোতি নয় ঈশ্বরের। এ যেন কি এক অসীম ছেয়ে বেয়ে আসা অনঘ অহং রূপরাশি। নিরালম্ব, নিরাকৃত, অচল, স্থাণু সত্তার অন্তরালে প্রাণের স্ফূরণ। এ যেন একদিন একান্তে জেগে ওঠা। যেন একদিন শিরদাঁড়া টান টান করে বলতে শেখা- এই নশ্বর নিখিলে, এই আমি কেবলই ‘মানুষ’! যেন ‘মানুষ’ কোন বিশেষণ পদ নয়! আলোর মতন, হাওয়ার মতন, জলের মতন এক শব্দে কেবলই ‘মানুষ’!  

বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২

নিশিদিন শ্যামা বাখান গায়

 

নৃকর বসন, নৃ-শির ভূষণ, বিকট দশন, সমরে ধায়!

ভীত দনুগণ; অনুগত জন- চরণে সতত শরণ পায়!

 

লক লক লক লোল রসনে, ধিকি ধিকি ধক ধিকি হুতাশনে

নয়নত্রয়ে ভুবনত্রয়ে পলকে পলকে দহিয়া যায়!

 

পদতলে পতি পতিত ধিয়ানে, হেন রূপ ভনে মুনি গণে

বিশাখ প্রণত পদে অবনত নিশিদিন শ্যামা বাখান গায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...