অবসন্ন লাগে।
চাঁদের শেষ রাত্রির মত পাণ্ডুর দেহ,
যেন ডুবে যাব একটু’খন পর।
গ্রীষ্মদিনের প্রথম প্রহর— যেন অনিচ্ছায় তন্দ্রাহত—
শায়িত মন্থর— নিরুদ্যম পাথরের টুকরো আমি—
নেতানো ফুলের মত নিথর অন্তর।
পিপাসা জাগে—
মূমুর্ষু অক্ষিগোলক-তলে রসাতল—
উতল জোয়ারে যায় ভেসে।
নৈঃশব্দ-নোঙর ডুবিয়েছি কতক কবিতায়—
কতক গানের সুর ত্রিসপ্তক দেশে—
মর্মর মুরতি হয়ে আছে।
আমি কবেকার প্রথম পুরুষ।
প্রথম-প্রমথ-শর বুকে ছুটেছি দিগ্বিদিক।
কিংশুকের বনে দাঁড়িয়ে তার নীচে—
কোন বসন্তের গানে তুলেছি গণ্ডূষ—
গণ্ডূষ অতৃপ্তির প্রেমাতুর-সুধা, মরণমুগ্ধ
সুর—
রাগে ও বিরাগে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন