বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

হরিয়াল

 



কত বট-অশ্বত্থ-পাকুড়ের চিতাগ্নি-ছায়ে 

লুকায়েছে শত ফলাহারী হরিয়াল অনাহারে

চিরতরে- মানুষের জয়রবে প্রশ্ন তুলে,

ভরা দ্বিপ্রহরে জাগা ঘুর্ণির বায়ে-

তারা ঘুমায়েছে যত ইষ্টক-ইমারত-সভ্যতার ধুলে,

মানবের পদপিষ্ট পালকে লেখা হল শোক-গান, 

মানুষের ধরণীতে মানুষই মহাণ;


পাখীরা কেবলই কল্পনায় ভাল। 

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

শেষ কথা

 


তবে অন্তে অনন্তস্নেহে ভাসিয়ো জননী,
এখন এ আঁধারে নিরাধার পাপের তরণী
ডোবে, ভারী কলুষ বাতাস! অপার তরঙ্গে
আমি করজোড়ে অচল মৈণাক কত রঙ্গে
ডুবে যাই ধীরে! অতলে তব অতুলসুধাধারে
অমরত্ব পাব, এমন আশা বক্ষে বেঁধে রই!
এ ব্রহ্মাণ্ডে এই কথা আর কারে কই?


শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

তোমার তরণী ঐ আসে

 


নিঠুর কঠোর মম,

অবারিত বেদনাস্রোত হতে অবিরত আবাহন

শুনি অনন্ত পথে প্রবাহিত, অবোধ অগণন

তৃষা-মথিত নয়নাশ্রুজলে রচেছে সাগর। 


তোমার তরণী ঐ আসে! 



বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪

এরা মিছামিছি শুধু ভোলালো

 



এরা মিছামিছি শুধু ভোলালো। 

আমি ভেসে যাব বলে বাহিরেতে- 

আমি জেনে বুঝে জানি এসেছি, 

এরা তুলে নিতে তরী ভেরালো! 


আমি সব শুন্যরে জানিয়ে বিদায়

ভবভারে তরী ভরেছি, 

ওরা বলে, এই ভার যে তুচ্ছ, মোরা

কত ভারী বোঝা বয়েছি'; 

আমায় মাঝামাঝি নিয়ে ঝড়ের বাতাসে 

কতনা যতনে ডোবালো।


এরা মিছামিছি শুধু ভোলালো। 

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

নইলে ভেস্তে যাবে সব

 

এলোপাথারি ছোটো কেন?

জলকামানের গোলা, বাক্যবারুদে ঠাসা লাঠিচার্জ, 

রাবারবুলেট, দু চার পাঁচশ মিথ্যে মিসাইল

ওরা ছুঁড়তে জানে- তুমি স্রেফ ধীর পায়ে সোজা হেঁটে এসে-

উষ্ণীষ উঁচু করে থাকো। 


কোন সাদা নীল বিল্ডিংএর সামনে নয়, 

তুমি জড়ো হও আগ্নেয়গিরির বিবরে, লাভায় যাও ভেসে-

তুমি অঙ্গে অঙ্গার মাখো। 


বিশ্রী, খুবই কদর্য, অসহায় সময়ের ভগ্নদ্বারে 

লুটিয়ে মাথা কেঁদো না আর, তুমি বাঁচো,

বাঁচো মাটিতে পা রেখে, শিরদাঁড়া টানটান করে- 

অগণিত ভাঁড়ের কুটকাচালিতে শ্লেষ্মা ঝেড়ে ঘৃণায়- 

মত্ত নাচো, মাতঙ্গের মত; মার্তণ্ডের মতন জ্বলো রাতের আকাশেও।


নইলে ভেস্তে যাবে সব!

বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪

এখনো আঁধার পর্যাপ্ত নয়

 

এখনো আঁধার পর্যাপ্ত নয়। 

কিছু অবশিষ্ট আলোর দুর্ভেদ্য কারাঘরে-

প্রতারিতের শংকাতুর দিন- 

আমার যায়। আমি নিঃসহায়। 


অবসন্ন হতাশাভারী শরীরশকট। সুনিদ্রাহীন- 

রাত্রি পর রাত্রি, অতল সংকট- 

আষ্টেপৃষ্টে সাপের মতন পেঁচিয়ে ধরে; আঁধারযাত্রী- 

হবার ভয়। 


এখনো আঁধার পর্যাপ্ত নয়।

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

নন্দঘোষ

 

আর কার ঘাড়ে চাপালে দোষ 

নন্দঘোষ- তুমি চিরমুক্তি পাবে? 

অত্যন্ত আনন্দে যাবে- নির্বাসনে?

সুদৃঢ় প্রেম- কঠিন রোষ- বিদায়ক্ষণে

সকল হেঁয়ালি কুহেলি ছিঁড়ে- 

সন্তর্পণে, অতি অনবধানে- সমূহে?

মন্দ্রলয়ে, তিমিরে ধীরে? 

অলাতচক্র-ব্যূহে? 


প্রগাঢ়তর তমসা আসে চক্রবালে। 

কার গ্রীবাদেশে শাণিত মসী ধরে

ক্রুর হাসো গভীর অন্তরালে? 

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

'অসির চেয়ে মসী বড়'

 

যারা politics বোঝেন, তারা বোঝেন nothing is precisely appolitical! 'অসির চেয়ে মসী বড়' বোঝাতে গিয়ে মসীর মাহাত্ম্য যে খাটো করা হয়নি- সে কথা অনুর্বর মস্তিষ্কে ঢোকে না!

শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪

চটির তলায় পিষে যাচ্ছি

 

চটির তলায় পিষে যাচ্ছি। 


রাস্তা-ঘাট বাজার-হাট সব সফেদ চটির তলায়

ধুলোয় মাখামাখি, রক্ত জমে আঠা হয়ে গেছে

চটির ফিতায়! তবু কথার চকমকি 

থামে কৈ?


তেতিয়ে উঠেছে চিতায় কার অনলধ্বজ!

আঁধারে শেয়ালের দল ওঁত পেতে জানি।

আমি তো চিনিনে জোড়া ফুল-পাঞ্জা-পঙ্কজ; 

শুধু আমি চটির তলায়, সুরাসুর-কিন্নর-নর-মুনি-

আর কোটিকোটি বুদ্ধিবেচা বিদূষক-পূজিত

চটিযুগলতলে আমার হাড়মাংস থেঁতলে যাচ্ছে, 

চটির পথচলায়!  


শেয়ালেরা ঘাপটি মেরে আছে।

শাঁকচুন্নিরা শঙ্খ বাজায়।

যদিও রক্তে এখন বিষজ্বালা ঢের, 

তবু জানি না কেন হাসিও পাচ্ছে। 

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

হৃদয়কন্দরে লাভার গন্ধ ভাসে

 

সকল বিপর্যয়ের ভীড়ে, 

শ্রাবণের প্লাবনে, বৈশাখের ঝড়ে- 

আমি চেয়েছি নিছকই বেঁচে থাকতে। 

পথের মাঝ বরাবর, বরাবর অলঙ্ঘ্য অচল

-আসে, কথার তোড়ে নড়ে বক্ষপিঞ্জর- 

আমি চেয়েছি মূক পাথরের মতন স্থবির হতে,

অথচ অগ্নিগিরির মতন ফেটে হয়েছি চৌচির,

হৃদয়কন্দরে লাভার গন্ধ ভাসে!

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

এ কান্তারে

 

এ কান্তারে কে তারে করুণা-কাতর জনে? 

কলুষ-কঠিন ভার অচল স্কন্ধে তার

অন্ধকার-ভয় মনে? 


কুটিল-কণ্টক যত কল্মষ কলঙ্ক ক্ষত

সর্ব-অঙ্গে কত রঙ্গে হুতাশন-শর হানে! 

ভবরোগ কে হরিবে? স্নেহছায়ে কে রাখিবে? 

কোলে তারে কে টানিবে- বিরলে বিশাখ ভনে।। 





শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

আমার উত্থান

 

পাতাল ফুঁড়ে বেরুনোর পর

আমি কেবল আকাশই দেখতে চেয়েছি। 


মাটি ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করতে গেলে

দেখেছি মাটির টান কেমন পা টেনে ধরে

তবুও আমি আকাশে ভর করে দাঁড়াতে চেয়েছি। 


আজ আমি আকাশ

আর মাটি সব প্লাবনে তলিয়ে গেছে। 

আজ আমি আকাশ

মাটি সব আমারই ছায়ার গ্রাসে

মিলিয়ে গেছে অবলীলায়!

শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

তোমার আভাস পাই

 

বিঘৎ বিঘৎ পা ফেলে, সন্তর্পণে 

তুমি সামনে এগিয়ে আসো,

মহাকাল, তোমার আভাস পাই। 


রঙিন ছবিগুলো সাদাকালো হয়ে ওঠে, 

অনাগত দিন কেমন ধোঁয়ার চক্রব্যূহ গড়ে

সামনে দাঁড়াতে চায়, প্রবল অকবিত্ব-সংকটে-

হাতড়ে মরি প্রদীপ নেভা ঘর, এলে কি! 


মহাকাল, তোমার আভাস আমি পাই। 


এ বড় বিদিকিচ্ছিরি পরবাস, বিচিত্র দিনাতিপাত,

বালির বাঁধ ভাঙার মতন সময়ে নিঃশেষ হয়

একটি একটি কুফলপ্রসূ দুঃখদ প্রতীপ প্রহর; 

এখন দমকা হাওয়া বয়, বজ্রনিনাদঘন বিজন রাত- 


মহাকাল, তোমার আভাস আমি পাই। 

সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

থাকা না থাকা

 

থাকা না থাকার মাঝখানে আছি বন্ধু নিয়তির স্রোত কোথায় ভাসালো জানি না, দাঁড় টেনে মোছা কপালের স্বেদবিন্দু স্লোগান তুলেছে- 'ভেসে যাওয়া আর মানি না!' হৃদয়ে এখনো তোলপাড়, গালে টোলপড়া কারো বেদনা, কবিতাকে বলি তাই থাক, তুমি গান হয়ে আর কেঁদো না!


২০১৮ সনের কোন এক সময়ে লেখা।

শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

হর হর শিব শম্ভু

 

পঞ্চবদন বৃষভবাহন দেব পিনাকপাণি

ভূজঙ্গধর শশধরধর হর হর শিব শম্ভু। 

ভুবনপাবন ভবানীরমণ ধূর্জ্জটি মহাকাল

গঙ্গাশরণ মদনদহন মহাপ্রপঞ্চ-জাল- 

হর, যেন বজ্রনিনাদে শিব শিব গাহে কম্বু। 

নিখিলেশ্বর গিরিজাপতি হর হর শিব শম্ভু।। 

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

সব গেছে

 

আরো যত এই মৌনী রাত্রি গাঢ় হয়

খুড়ুলে পেঁচার দল বেরোয় কোটর হতে।

জীবনমথিত স্মৃতিপুঞ্জ- পতঙ্গবৎ ওড়ে

অলিপ্ত সমাপ্তির নিঃসীম যাত্রাপথে- 

জনান্তিকে, অন্ধকার ঘিরে- 

তারা কালের গর্ভে মিলায়; 

পেঁচার গ্রাসে। 


অসহ এ সময়, অব্যক্ত দুর্বিপাক

নাড়ে কুটীরের কড়া, ভীষণ ঝঞ্জায় 

কুঞ্জে গুঞ্জে মেঘ আসে। 

পেঁচার গ্রাসে- 

গেছে জন্মলব্ধ- ঘুম পাড়ানির ছড়া, 

কাঁপন ধরা গান, নিলয়-ঘ্রাণ

অতীতকালের কত। 


সব গেছে… 

বুধবার, ১ মে, ২০২৪

তবু কারো ভ্রুক্ষেপ নেই

 

আজ কবিতাগুলো বিপন্ন, 

গৃহহারা গানের কলি এই রোদ্দুরে

ঘুরে মরে অচেনা জনপদে, 

প্রতিমাকৃতি ছবি কত- বিবর্ণ-

অসারতায় ধুলোর অন্তরালে যায়,

তবু কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। 

বরং একরাশ আক্ষেপ আকাশভরা

আঁধারে ফেরে রাত্রির গায়-

হতশ্রী বিদায়ী জনমের। 


সংক্ষুব্ধ সাগরজলের স্রোতে যেন

ভেসে চলেছে অগুনতি জঞ্জাল,

প্রদমিত বাসনাপুঞ্জ বিশ্বভুবনের-

তবু কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। 

বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

তাচ্চেয়ে এ যে স্বর্গসমান

 

পরজনমে জলপিপি হব, 

ময়ুর হয়ে যদি খাঁচায় থাকি— 

তাচ্চেয়ে এ যে স্বর্গসমান! 


আকাশ আঁধার করে বরষা এলে 

উদ্ভিন্ন পঙ্খযুগল মেলে কচুরিপানা-দলে 

না হয় হবে মহোল্লাসে পতঙ্গ সন্ধান।

কি সুখ বল খাঁচার মাঝে পেখম খুলে- 

নেচে? তাচ্চেয়ে এ সে স্বর্গসমান! 


এ স্বর্গ মেলেনি তো পরের দ্বারে যেচে। 

কি সুখ বল খাঁচার মাঝে পেখম খুলে নেচে?


শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

পাগল ডাকলে হয়ত পাগলেও কষ্ট পায়!

 

কথা ছিল ঝমঝম বর্ষা নামলে উজ্জ্বলের টিনের চালা ঘরে আমি একরাত্রি থাকব। ভেজা ঘাস মাটির সোঁদা গন্ধে মাতাল ঝিঁঝিঁর কলরবে পেতে কান উদাসী হয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকব কখনো দিগন্তে মুখ করে। গরম ভাতে উজানি-কৈ এর ঝোলে আত্মনিবেদন শেষে যদি আসে ঘুম সে রাতে গল্পের আবিলতায় ঢলে পড়তাম ধীরে ধীরে পালঙ্কের পায়া ঘেঁষে। কিন্তু উজ্জ্বলও আমারই দেয়া পাথুরে-পরামর্শ-পথে উঠে গেছে ইটের চৌকো ঘরে যেখানে আর টিনের চালা নেই! শাওন আকাশ ভেঙে নেমে সকরুণ সুর ধরে কাঁদলেও সেই ঝমঝমে ধ্বনি আর উঠবে না ওখানে। সকল টিনের চালা, বেড়ার ঘের, খড়ের গাদা ধীরেধীরে সরে যাচ্ছে। কিছুই আর আমার উচ্ছন্ন বিলাসিতার জন্য থমকে রইল না। অথচ আমি নিজেকে যেন জোর করে বলতে চাই- আমি এক বিন্দু দায়ী নই! আমি এঁটেল মাটির মতন থাকতে চেয়েও ইট ভাটার উনুনে ঢুকে সুদৃঢ়তর অস্তিত্ব খুঁজতে কি চাইনি বুঝি? তবু কোথাও ভাটার টানে জাগা খালের তীরের মতন আমি কাদা হয়ে কেঁদে যাই গভীরে। দ্বিচারিতা নয়, এ যে কেমন অসহায়ত্ব এ কথা বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে স্বস্তি পাই যেন। এসব লেখার নয়, গাইবার নয়, জনে জনে জানাবার নয়, বোঝাবার নয়। পাছে লোকে পাগল ভাবে। যেন পাগল অত্যন্ত পতিত কিছুর নাম! পাগল ডাকলে হয়ত পাগলেও কষ্ট পায়! 

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

করুণা ভিক্ষা

 

অকরুণ অরুণ কর খর তাপ

বহে ভুবনে, আমি আতুর তৃষিত হে;

শীতল কর স্নেহকর পরশনে

নিখিলজননী। 


পুত্র তব নিভৃতে নিরয়পথগামী হে, 

পাপ নিমজ্জিত কলুষক্লেষ-ক্লান্ত, 

ক্রোড়ে নাও, দিবস অবসানে

ভুবনপাবনী। 

রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪

সকাল হবে

 

সকাল হবে... 

সহস্রাব্দকাল নিভৃত রাত্রির পর

একদিন...

সকাল হবে... 


খরাজে, মন্দ্র-মধ্যমে লহরী তুলে

বিনিদ্র মালবকৌশিক চুপচাপ শ্রান্ত হলে... 

একদিন.. 

অকস্মাৎ, সহসাই সকাল হবে...

বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

স্নান

 

অক্লান্ত অলস দ্বিপ্রহরে ধানেশ্রীর পাংশু সুর,

রৌদ্রলিপ্ত, পুরানো আবাস ঘিরে যোজন দূর-

দেশী-আকাশ হতে নামে বিমূর্ত বীণা বেয়ে, 

ঐকান্তিকে, নিত্য নিরাশ্রয় হৃদয়কুঞ্জ ছেয়ে। 


ত্রিতাপদগ্ধ করে স্নান। 

বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪

কলিকাতা

 

কলিকাতা। 



একদা সন্ধ্যা নামিলে যখন বেনেরা ভিড়িল ঘাটে, 

কর্দমঘ্রাণে আমোদ আদুল গেঁয়োরা ফিরিল বাটে- 

রোশনাই আসি মাটির প্রদীপে বর্ষিল অবহেলা, 

কোঁচার আধুলি ধুলায় ছুঁড়িয়া নটের নাট্যশালা- 

বেনেরা করিল জয়, এ নগর তার পরিচয়বাহী- 

কবিকুলে কিছু নয়। 


 

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪। 

রাত ১টা ২৫। 

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...