তোমাকে মিয়াঁকি-মল্লারের মত ভালবেসে ফেলেছি,
সুরমণ্ডলে ঋকমণ্ডলের গৃহ্যসূত্র দিয়ে বেঁধেছি বক্রতানের লহর,
তোমার চুলের ভেতর বাগ্রেশ্রীর অন্ধকারে আমি চলেছি পূরবী গেয়ে,
আমার যোগিয়া, যোগ, গুণকেলি, ঋষভ সমবাদী ভৈরব বহর
সব তোমার আঁচলে দিয়েছি সকরুণ মারবার সংপ্লাবী সুধা পিয়ে
দু'হাজার বিলম্বিত ঠেকা নিল দু'শো জনমের রাত্রি প্রহর,
তোমাকে ভালবেসেছি সমস্ত ঘরানার ঘর ছেড়ে, মাত্রা লয়ের বাঁধ-
পিঞ্জরে ঠেসে দিয়ে ধরেছি দৃষ্টির গভীরে গহন মালকোঁষ,
বাহুর বাঁধনে বাহারকে টেনে কলাবতীর ওষ্ঠে এঁকে বিহাগ বাতাস
দরবারী-কানাড়ার ভরা দরবারে আমি হংসধ্বণির মত চঞ্চল-দোষ
করেছি প্রকট- অথচ তুমি আজও ইমনের নিষাদে বিষাদ!
আমি আশাহত আশাবরীর মত সারেঙ্গীর তারে কেঁপে উঠেছি কখনো,
কখনো বৈরাগী-ভৈঁরো হয়ে উদাস চাহনি তোমার শাড়ীর কাজে
খুঁজেছি এক চিলতে সরোদ ঝংকার, গৎ, আলাপ, বিস্তার, অল্প প্রেমারোপ
বিশুষ্ক তোড়ির তোড় ভেঙে আমি রাগ্রেশ্রী কিম্বা ঝিঁঞ্ঝিটের মত মিষ্ট রেওয়াজে
চেয়েছি পাখোয়াজেও ফুটুক মৃদঙ্গমের মত আদিতাল, ভস্মে ধূসর
আদি সোমগানে বিভাস জুড়ে কিছু দক্ষিনী রাগিনীর বিচ্ছুরিত লাজে
রাঙুক তোমার ভীমপলশ্রী মুখ পলাশের রঙ নিয়ে আমার ভেতর!
জানো কতটা ভালবেসেছি? কতটা ভালবেসে ফেলেছি পুরীয়া-ধানেশ্রীকে
দূরে ফেলে? কতটা ছুটেছি তোমার শিঞ্জনকে ধরে পড়ন, পকড়-
দুর্গা, সরস্বতী, ভৈরবী, সিন্ধু পাড়? কতটা পথ ছুটেছি সারংএর
সাজ থেকে বৃন্দাবনী আকাশ, সোহিনী সংসার? আমার সকল আর্তস্বর-
তবুও রয়ে গেল বুঝি তালভঙ্গ বিরক্তির ভ্রুকুটির পিছে!
_________________________
সুরমণ্ডলে ঋকমণ্ডলের গৃহ্যসূত্র দিয়ে বেঁধেছি বক্রতানের লহর,
তোমার চুলের ভেতর বাগ্রেশ্রীর অন্ধকারে আমি চলেছি পূরবী গেয়ে,
আমার যোগিয়া, যোগ, গুণকেলি, ঋষভ সমবাদী ভৈরব বহর
সব তোমার আঁচলে দিয়েছি সকরুণ মারবার সংপ্লাবী সুধা পিয়ে
দু'হাজার বিলম্বিত ঠেকা নিল দু'শো জনমের রাত্রি প্রহর,
তোমাকে ভালবেসেছি সমস্ত ঘরানার ঘর ছেড়ে, মাত্রা লয়ের বাঁধ-
পিঞ্জরে ঠেসে দিয়ে ধরেছি দৃষ্টির গভীরে গহন মালকোঁষ,
বাহুর বাঁধনে বাহারকে টেনে কলাবতীর ওষ্ঠে এঁকে বিহাগ বাতাস
দরবারী-কানাড়ার ভরা দরবারে আমি হংসধ্বণির মত চঞ্চল-দোষ
করেছি প্রকট- অথচ তুমি আজও ইমনের নিষাদে বিষাদ!
আমি আশাহত আশাবরীর মত সারেঙ্গীর তারে কেঁপে উঠেছি কখনো,
কখনো বৈরাগী-ভৈঁরো হয়ে উদাস চাহনি তোমার শাড়ীর কাজে
খুঁজেছি এক চিলতে সরোদ ঝংকার, গৎ, আলাপ, বিস্তার, অল্প প্রেমারোপ
বিশুষ্ক তোড়ির তোড় ভেঙে আমি রাগ্রেশ্রী কিম্বা ঝিঁঞ্ঝিটের মত মিষ্ট রেওয়াজে
চেয়েছি পাখোয়াজেও ফুটুক মৃদঙ্গমের মত আদিতাল, ভস্মে ধূসর
আদি সোমগানে বিভাস জুড়ে কিছু দক্ষিনী রাগিনীর বিচ্ছুরিত লাজে
রাঙুক তোমার ভীমপলশ্রী মুখ পলাশের রঙ নিয়ে আমার ভেতর!
জানো কতটা ভালবেসেছি? কতটা ভালবেসে ফেলেছি পুরীয়া-ধানেশ্রীকে
দূরে ফেলে? কতটা ছুটেছি তোমার শিঞ্জনকে ধরে পড়ন, পকড়-
দুর্গা, সরস্বতী, ভৈরবী, সিন্ধু পাড়? কতটা পথ ছুটেছি সারংএর
সাজ থেকে বৃন্দাবনী আকাশ, সোহিনী সংসার? আমার সকল আর্তস্বর-
তবুও রয়ে গেল বুঝি তালভঙ্গ বিরক্তির ভ্রুকুটির পিছে!
_________________________
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন