আর যে
যা বলে,
আগেপিছে,
অগোচরে, আড়ালে-আবডালে,
পাছে
আমি শুনি! - দেয়ালের কানের অজুহাতে,
কত কথা
মুখে ফোটে না কখনো কলকলে;
তাই
দেয়ালের কাছে আমি আমৃত্যু ঋণী!
এত
মিশকালো কোলাহলে বাহারি রঙ-মিশেল,
আমি
একটি ক্ষীণ আলোর পিদিম জ্বেলেছি বুকে,
দলিজে
চাঁচর হাওয়ার ছটা মেলে দাঁড়িয়ে দামিনী,
রোজই
আসে অভাগিনী- ব্যথার গন্ধ শুঁকে;
আমি
কিছু আর - বলি না কখনো তাকে।
মনের
মাঝারে ঝড়ের মেঘনা খুলে ভাসিয়ে ডিঙি-
আমি
একাই, পড়েছি কত ডাকাতিয়া মোহনার পাঁকে,
ঢেউ
ঠেলে যে মাঝি অকূলের কূলে ভেড়ালো বারেবার
তাকে কি
আমি চিনি? অথবা সে কি চিনেছে আমাকে?
মেঘনার
বাঁকে-
সে কি
চিনেছে আমাকে?
তবুও কত
বাক্যলেশহীন নিরন্তর বোঝাপড়া,
অথচ এ
সংসারে এত কথা, এত ছবি, এত পোড়া গান,
এত
নৈকট্য, এত প্রেমে হাতে হাতে হাতকড়া-
তারপরও
কোথায় সে নৈঃশব্দের নিবিড় আহ্বান!
আমাকে
কেন যে পুড়িয়ে মারে!
তবে সে
কি চিনেছে আমাকে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন