শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

পরদেশী পাখি উড়ে যায় - বিশাখদত্ত








২০০৬ সাল। সদ্য
যৌবনে পা ফেলেছি- সে সময়ের গান।

তারুণ্যে
সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি যে আমার অনুরাগ তাতে রবীন্দ্রছায়া সর্বগ্রাসী রূপ
ধরেছিল। রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্যে এতটাই ভালা লাগা এসেছিল- ভাবলাম আমিও না হয় একটা
লেখার চেষ্টা করি! যেই ভাবা- আমিও একটা পৌরাণিকী গল্পের আশ্রয় করলাম, লিখেও ফেললাম।
চারিত্রিক ঔদাসীন্যতার বদান্যতায় সেই পান্ডুলিপিও আমার কাছে নেই, তবে তার একটি গান
আজও রয়ে গেছে, আমার মনেই। সেটি দিচ্ছি। এই গানটি লেখার অনুপ্রেরণা ছিল কবিগুরুর
‘আমি যে গান গাই জানি নে সে কার উদ্দেশ্যে’ গানটি। কিন্তু সুর ও বাণীর বিস্তারে
স্বতন্ত্রতা রক্ষার একটা কৌলীন্য বজায়ের চেষ্টা আমার গোড়া থেকেই ছিল বিধায়- এটি
রবীন্দ্রছায়া থেকে সরে এলো, তা স্পষ্ট।

আচ্ছা গানটির
পটভূমি বলি- নব যৌবনের উন্মেষে আকুলা এক রাজকুমারীর একাকীত্ব-ভার (আলবাত এখানে
রাবিন্দ্রীকতা!), যিনি রাজপ্রাসাদের ছাদে দাঁড়িয়ে পরিযায়ী পাখিদের দেখছেন- যিনি
গাইছেন,

‘পরদেশী পাখি উড়ে যায়,
ফিরে নাহি চায় কারো পানে,
জানি নে সে কোথা যায়,
বাঁধা পড়ে না সে গানে।
আমি তবু গান গাই,
পরদেশী...

যারে পাখি গানখানি নিয়ে যা
নিয়ে যারে তার কানে,
যার লাগি এ বসন্ত যায় বিফলে
না জানি সে আছে কোন খানে।।

মোর একাকী জীবন যায়
প্রমোদ মেলায়, মিছে হাসিখেলায় অকারণে,
শূণ্য হৃদয় পানে কেহ নাহি চায়,
চাহে শুধু নীরব মুখ পানে।
দিন কাটে মোর বেদনায়,
আমি তবু গান গাই,
পরদেশী...

আমার অপরিণত বয়সের চেষ্টা এসব। স্মৃতি থাকে বের করে গাইতে গিয়ে গানে মাধুর্য্য ফোটাতে ব্যর্থ
হলাম মনে হচ্ছে। তাই ভ্রান্তি কিছু মনে হলে- মনে নেবেন্নিকো মহাশয়/মহাশয়ারা! (কেবলমাত্র
অতীতের কিছু স্মৃতিরক্ষার্থে এসব এখানে তুলে আনা।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...