এত লোক মরে যাচ্ছে,
আমার তো হিংসা হওয়া উচিত!
আমার তো হিংসা হওয়া উচিত!
প্রতিটি পড়ন্ত গোধুলি জীবন্ত নয় আর,
সকল সন্ধ্যা আসে না বেহাগের বিধুর সুর হয়ে,
পাখির ঘরে ফেরার নিত্য কলতান,
নিত্যকার লাগে না ভাল!
সকল সন্ধ্যা আসে না বেহাগের বিধুর সুর হয়ে,
পাখির ঘরে ফেরার নিত্য কলতান,
নিত্যকার লাগে না ভাল!
অথচ কখনো কখনো কি যে সুখের ঘোরে থাকি!
কখনো ফেরে সম্বিৎ—
কখনো ফেরে সম্বিৎ—
এত লোক মরে যাচ্ছে,
আমার তো হিংসা হওয়া উচিত!
আমার তো হিংসা হওয়া উচিত!
প্রত্যহ ঘুম ভাঙে না ঘুমিয়েছিলাম বলে,
জেগে থাকি— জাগরুক সকল কিছু—
কতটা অচেনা লাগে!
কতদিন অনুভবে আসে না আমার
সকাল কি করে যায় দুপুরের পিছু!
জেগে থাকি— জাগরুক সকল কিছু—
কতটা অচেনা লাগে!
কতদিন অনুভবে আসে না আমার
সকাল কি করে যায় দুপুরের পিছু!
কবে সূর্যোদয় দেখেছি শেষ—
বোধ হয় আমি ডুবে যাবারই আগে-
একটু ক্ষণ!
কতটা অচেনা লাগে— দেখা স্বপ্ন, দেখা মুখ,
হদকেন্দ্রে কেমনতর রক্ত-মন্থন; —
বোধ হয় আমি ডুবে যাবারই আগে-
একটু ক্ষণ!
কতটা অচেনা লাগে— দেখা স্বপ্ন, দেখা মুখ,
হদকেন্দ্রে কেমনতর রক্ত-মন্থন; —
বেঁচে আছি,
আমি চোখ মেলি আচম্বিৎ!
আমি চোখ মেলি আচম্বিৎ!
এত লোক মরে যাচ্ছে,
আমার তো হিংসা হওয়া উচিত!
আমার তো হিংসা হওয়া উচিত!
মিথ্যেকে মিথ্যে দিয়ে পুষিয়ে দেবার কাজ—
অক্লান্ত করে যাই,
তবুও একটি সত্যেরও সত্যিকার হয় না বিনির্মাণ,
কি আশ্চর্য বলো!
কত যে ব্যর্থ অবকাশ গেল অবদমিত কথা বয়ে,
কতক কবিতা যে মৃতবৎসা হল—
আমি সমস্তের রাখিনি হিসাব!
অক্লান্ত করে যাই,
তবুও একটি সত্যেরও সত্যিকার হয় না বিনির্মাণ,
কি আশ্চর্য বলো!
কত যে ব্যর্থ অবকাশ গেল অবদমিত কথা বয়ে,
কতক কবিতা যে মৃতবৎসা হল—
আমি সমস্তের রাখিনি হিসাব!
এখন শিরদাঁড়া উঁচু করতে গেলে
নিজেকে কেমন ক্ষয়িত পুরুষ ভাবি,
ভাবি এ আমি আমারই আমি
অন্তরে কদাচিৎ!
নিজেকে কেমন ক্ষয়িত পুরুষ ভাবি,
ভাবি এ আমি আমারই আমি
অন্তরে কদাচিৎ!
এত লোক মরে যাচ্ছে,
আমার তো হিংসা হওয়া উচিত!
আমার তো হিংসা হওয়া উচিত!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন