মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০

বজ্রযানীর বেহাল দশা

গুরুদেব,

 

লোকমুখে শুনছি প্রভু, মোরা নাকি কর্তাভজা,

অণ্ডবাকের গুণ্ডারা সব, রাস্তাঘাটে নিচ্ছে মজা-

টিকি ধরে মারছে গো টান,

তোমার আর রইল না মান,

কোনক্রমে বাঁচিয়ে পরাণ, এলেম ছুটে এথায় সোজা!

 

ঘরে বাইরে চোখ রাঙানি, কবে তারা দেয় ঠ্যাঙানি,

তারা নাকি বলছে শুনি, ছাল ছাড়াবে বাইরে এলে!

রক্ষা কর তোমার দাসে, মরেই যাব ভয়-তরাসে,

তারা যদি সত্যি আসে, প্যাঁদায় যদি একলা পেলে!

 

রই গো তোমার চরণছায়ে, দেখি না গো ডাইনে বাঁয়ে,

কোন রকম খাচ্ছি ভাল, আলু-পটল-উচ্ছে ভাজা!

তাতেও তারা রুষ্ট এত,

লোকের কাছে নিন্দা কত,

আমি নাকি ধর্মদ্রোহী- ত্যাজেছি তাই চরস-গাঁজা!

 

 

অনেক ইতিহাসের দলিল ঘেঁটে পদকর্তা বজ্রযানী বৈষ্ণব বিরচিত এই পদ উদ্ধার করতে পারলাম। আপনারা যারা জানেন শ্রী অণ্ডবাক মণ্ডলাচার্য্যকে ত্যাগ করে বজ্রযানী বৈষ্ণব রসরাজ শ্রীদেবকৃপাশিসানন্দ গোস্বামীপাদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করার পর এ নিয়ে তেমন কোন উচ্চবাচ্য হয়নি, উভয়দিক থেকে তেমন কোন প্রতিক্রিয়ার বিবরণ পাওয়া যায়নি- এটা ভুল, আমরা এতদিন এইটুকু জানতাম। কিন্তু আবিষ্কৃত এই পদ থেকে এটা স্পষ্ট যে- উভয় গোষ্টীতে একটা বৈরীতা এসে গিয়েছিল। এই নব-আবিষ্কৃত পদ তার দৃষ্টান্ত।

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...