বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০

কোথা প্রাণপতি রসরাজ - রম্য রচনা (বিশাখদত্ত) - Kotha Pranapati Rasaraaj







আজ থেকে ৪২০ বছর আগের কথা। শ্রীঅণ্ডবাকমার্গপন্থী
পদকর্তা বজ্রযানী বৈষ্ণব ঋষি অণ্ডবাক প্রবর্তিত মার্গকে বৈষ্ণবধর্ম বিরুদ্ধ ও নিরয়-দ্বার-প্রশস্তকারী
আখ্যা দিয়ে অণ্ডবাকমার্গ পরিত্যাগ করে বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ গোস্বামীপাদ রসরাজ শ্রীদেবারিকৃপাশিসানন্দ
প্রভুর চরণে নিজেকে নিবেদন করেন। কথিত আছে এই ভক্তিসুধাসঞ্চারিনী রসরাজ-প্রার্থনা পদকর্তা
বজ্রযানী বৈষ্ণব, শ্রীরসরাজ চরণে উপনীত হওয়া-মাত্রই বিগলিত কন্ঠে গেয়ে ওঠেন। সেই ঐতিহাসিক
কীর্তনটি পরিবেশিত হল।

কোথা প্রাণপতি রসরাজ, ভকতে দর্শাও আজ-
মদনমুর্চ্ছিত সাজ, দেখে তবে অক্কা পাই!
ভেবেছি মারিব ছক্কা, বারেবারে জোটে ফক্কা,
যমে দেয় টরেটক্কা, ভয়েতে ভিরমি খাই!

মাংসাহারী কারণে, পোছে না বৈষ্ণবজনে,
নিন্দা করে জনে জনে, গাঁয়ে চলা হল ভার!
ভজিয়া শ্রীঅণ্ডবাকে, পড়েছি কি দুর্বিপাকে,
কু-শ্রাস্ত্রবচন ধরি, হল ধর্মাধর্মে ছারখার!

রসুন-পেঁয়াজ ছাড়ি, শ্রীচরণে রব পরি,
তার মোরে দয়া করি, না তারিলে কোথা যাই?
দিবানিশি আছি ঘরে, কলত্র কলহ করে,
এতে যদি যাই মরে বৈকুণ্ঠে পাব কি ঠাঁই?

- পদকর্তা বজ্রযানী বৈষ্ণব





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...