তুই তো মা যেচে গেলি দিগম্বর-ঘরে!
কানাকানি করে লোকে, কারা মা দেখেছে
তোকে,
বড় দুঃখে আছিস নাকি- মহেশ সংসারে!
অতসী-অনঘ-অঙ্গে, ছাই মেখে কি বা
রঙ্গে,
তুইও সে পাষাণ সঙ্গে- শ্মশানে করিস
বাস!
আছে ক’টি ছেলে মেয়ে, আধপেট খেয়ে
খেয়ে,
ক্ষীনকায়ে ‘মা, মা’ বলে, কেঁদে
কেটে মরে!
মায়েরে পড়ে না মনে, দি দোষে মা,
কি কারণে-
এতটা নির্দয়া হলি, উমা আমাদের পরে?
কিসের গরব এত, জানি তো বৈভব কত,
ভৈরব-ভৈরবী হয়ে- ফের চরাচরে!
এবারে আশিন এলে, আমিও থাকব ভুলে,
রব’না দরজা খুলে, আর তোর পথপানে
চেয়ে।
বোঝালিরে মহামায়া, সংসার অনিত্য
মায়া,
তবু মায়ামুখ না দেখে মা, চোখে জল
ঝরে!
শাক্ত-পদাবলীর ‘আগমনী’ পড়তে পড়তে
মনে হল, আমিও বা লিখি না কেন। তাই একটা লিখেই ফেললাম। দেখি সুর দিয়ে কখন গাইতে পারি।
২/৭/২০২০।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন