তুমি আমার কাছে ক্রমশ
‘ম’ ব্যানার্জির কবিতার মত অত্যন্ত গূঢ়ার্থ
ভাবমণ্ডিত হয়ে গুলিয়ে গেছ!-
নিতান্ত ‘মমতা’হীন হয়ে ভাষার বাপান্ত করে,
সাদা নীলে আঁকাবাঁকা সোনার বাংলায়!
‘সঙ্গেখানেক ঘন্টাসুমন’ টেবিলে তোমাকে তুলেছি,
তুমি তাতেও হওনি সরলীকৃত একচুল!
ভব-‘অর্ণবে’ ‘গোস্বামী’জনের কঠিন কেত্তনেও
অনন্ত দুর্বোধ্যতার মেলেনি পাথারে কূল—
তুমি এতটাই কেমনতর হয়ে গেছ!
এ নগর গ্রাম জনপদ করেছি ‘হাকিম’এ ন্যস্ত,
কোন অসাধ্য’সাধন’ সহস্তে পারে না সরাতে—
পাপভার গাছের কান্ড! এ দিকে করোনা-কাণ্ড,
পূর্বাধিক বেগে আসে ধেয়ে, পাড়াতে পাড়াতে,—
ঘাসফুল খেয়ে নেয় দড়িছাড়া শতেক ষণ্ড,
গোটা লালবাজার পারে না তাড়াতে!
যদিও সময় কি এখন ‘অ’
অথবা ‘অপ’রাজনীতি করার?
তুমি এসব কথার মত পেঁচিয়ে উঠেছ ক্রমে
এখন তো সময় নয় পেঁচিয়ে মরার!
কত অ’শোভন’ এ ‘বৈশাখী’ দিন,
মার্তণ্ডতাণ্ডবে দিকে দিকে ‘মদন’ভস্ম-
‘মিত্র’ শত্রুর ভেদ নেই তার! তাতে ঝড় তুমুল!
কতক ঝরা ‘মুকুল’ গাছতলে অন্তকালে
রামেচ্ছায় জীবন বদলায়!
ঠকে না সকল হীরের জহুরী কাকা,
যত ‘রূপা’র ‘লকেট’ তুমি রাখো না গলায়!
‘শতাব্দী’কাল হল ‘সীতারাম’এর
‘ইয়ে চুরি’ গেছে, তার মুখে নেই যে কথাটি!
যদুকূলে অবিশ্বাসী যাদব আছেন যত,
কোলকাতা দক্ষিনে নড়বড় ঘাঁটি-
তারা তবে কোথা যান?
একদিন অধর্ম এক ছত্রতলে জড়ো ধর্মতলায়-
ময়দান দাপিয়ে টাট্টু ঘোড়ার দল আড়াই চালটি কষে,
তবু এ কেমন হার পেল, বিধাতার রোষে
অ-আ’মোদী’ত একদম, কি দিয়ে ভোলায়-
এ যে কপালে তিলক নয়, খুন্তির ছ্যাঁকা!
তাতে উল্লসিত কত কিষ্কিন্ধ্যার উত্তরাধিকারী,
অযোধ্যারাজের নামে সকলের যোদ্ধা-যোদ্ধা ভাব!
একদিন সারারাত সাতকাণ্ড শুনে,
ভোর বেলা বলে ‘বাপু সীতা কার বাপ?’
তুমিও তেমনি যেন,
কেমন একটা অক্সিমরোন হয়ে গেছ,
গঞ্জিকার ধূমে ডুবিয়ে চৈতন্যের বোধ,
আমি আজও কিছু মানে করিনি উদ্ধার!
খাসা👌
উত্তরমুছুন