শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

কোলে নে করুণাময়ী

 



কোলে নে করুণাময়ী, কি অর্থে এ অবিচার?

ছেলের ভার নিতে নারো, নিয়েছ ত্রিলোকের ভার! 


ওমা রয়েছি ধুলির মাঝে, তাই লয়ে সকাল সাঁঝে

মহাব্যস্ত সে অসার কাজে, ভাল কি মা লাগে আর? 


তারিনী তার মা ত্বরা, ওগো অবেলা ধরেছে জরা,

আমি সকাতরে ডাকি 'তারা', নয়নতারা বহে ধার! 




শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

প্রণমি সাগর সেন

 



কোন সুদূরের স্বপ্নবিবশ উছল কৈশোরতট ছুঁয়ে

তুমি জেগেছ ঊর্মিভঙ্গ সুরের জলধি, স্মৃতির পুষ্পে যেন- 

জীবনের প্রথম প্রণয় পরাগবাহী, সে প্রমথ পেলব ছোঁয়া; 

তুমি অমোঘ অমিয় মৃতে, ব্যথিত হৃদয় ধোয়া- 

নয়ন জলে তোমার ললিত কণ্ঠধ্বনি দিয়েছে প্রাণ,

তোমার গান রবির কিরণ ছেয়ে যেন অনন্তের লোক হতে-

এসেছে ছুটে যেন হিয়াতে আমার পিণাক-বাণ- 

লাগে, মর্মর মর্মতলে যেন স্রষ্ঠা অনাদি সুর দেন-

তোমার আহবানে, প্রণমি সাগর সেন। 


মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

না হয় তুমি জানলে না আর

 


না হয় তুমি জানলে না আর

নাই বা তুমি জানতে পারো।

না হয় তুমি জিতলে না আর

জিত হয়েছে অন্য কারো। 


লক্ষ কোটি কথার ঝাঁকে

একটি কথাও নাই বা থাকে

তবে হৃদয়-তারে সুর বসিয়ে

আকাশপাড়ে কন্ঠ ছাড়ো। 


ডোবা ভাসা তারার স্রোতে

গা এলিয়ে দিবস রাতে,

বিভোর নেশায় ভোর এলো না,

ঘুম গেলো না সুয্যিটারও। 


তবে এই আঁধারে ভাসবে বলে,

বুক ভেজাবে আঁখির জলে?

পাখির মতন ডানা মেলে-

বাঁচতে শেখোনইলে মরো। 

মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

পাঠোদ্ধার

 


আরও একটা দিন অহেতুক বেঁচে থাকতে হল।

এতে কোন হর্ষ বিষাদ নেইপ্রেম অপ্রেম নেই।

শুধু জমে যাওয়া বরফ খণ্ডের মত নিশ্চেষ্ট নিশ্চলতা,

নিরন্তর নিরর্থকতা পুঁজি করে আছি-

বিষোল্লাসের কবিত্বে


তারারা ঘুমাতে যাবে আরেকটি প্রহর পর।

রাত্রি বিবরে গ্রাসিত শহর নেতিয়ে আছে যেন মরা সাপ।

এখন কথারা মগজে হাঁটেঅশরীরী প্রেতের বহর-

তারাচোখের আলো নিভে এলে জ্বলে ওঠে কল্পনার

জোনাকি উদর ফেঁড়ে চিকচিক করে। ত্রিলোক-ত্রয়তাপ-

আমায় করে ভর। 


আমার কয়েক অর্বুদ অলিখিত পংক্তির মত

এরও আজও হয়নি পাঠোদ্ধার-

কেন বেঁচে আছি







আতশবাজি

 

আতশবাজির মস্ত ধোঁয়ায় ত্রস্ত আকাশতল
নীড়ের মাঝে বুক কাঁপে, ঐ পাখির চোখে জল,
শুধায় মাকে, 'কারা এরা?' ছোট্টো পাখির ছানা
'বিশ্বমায়ের পূজায় মাতাল মত্ত কতক দানা!'

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২

বিশাখে না পেল সাড়া

 

ষড়জে সরোজমালা, ঋষভে রুধির ধারা,

গঙ্গা তুমি গান্ধারে, মধ্যমে মাতঙ্গী তারা। 

পঞ্চমে পদযুগ, মাগো ধৈবতে ধারণ করি,

নিষাদে নিঃসীম রুপা, ধরে ধ্যান হরহরি। 

ওমা মন্দ্র-মধ্য-তারে রাজ নিত্য তুমি ভবদারা,

সুরে তালে লয়ে তবু, বিশাখে না পেল সাড়া! 

বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

উমা আমার থাক

 

আমার যেন মনে হল হঠাৎ যেন দ্বীপান্তরে 

অমানিশার আড়াল ফুঁড়ে, কতক তারা আকাশ জুড়ে

খিলখিলিয়ে উঠল হেসে, ঘুম ছুটিয়ে সর্বনেশে

নেশায় আমার পাগল করে, করাল ঘূর্ণিপাক! 


যেন আগল ভাঙা বান ডেকেছে, 

মত্ত স্রোতে ত্রস্ত বাতাস,

বাতায়নের ও ধার হতে সুর তুলেছে

দারুণ হতাশ- সারেঙ্গী কার, 

ঠিক যেন তার অঙ্গে অঙ্গে লক্ষ-হৃদয় ব্যথার গাঁথা,

আমার হঠাৎ মনে হল কাঁপন ধরে চোখের পাতা

যেন ইঙ্গিত পাই চরণধ্বনির,

পৃষ্ঠে বাঁধা অধীর তুণীর পিনাকে দেয় ডাক,

বিষাণ বাজে বিষের নেশায়, 

বিসর্জনের ঢাক-


পাষাণ ঘরে; মন-মেনকা উঠল কেঁদে

'উমা আমার থাক'। 

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

গরলস্নান

যে প্রশ্ন করতে শিখে গেছে

সে জানে- উত্তর চাইতে নেই,

বরং স্তব্ধ হবার দিন ঘনায় ঘোর

একটু একটু করে।

বহিষ্কারের পথে রাত্রি করে ভীড়,

ত্যক্ত ঘর দোর

মর্মন্তুদ বলে জাপটে ধরে

পাঁজরার হাড়। বিধাতা বধির! 


জিজ্ঞাসার বধ্যভূমি জাগে-

আকাশে হাহাকার-

মাতম লাগে ঝড়ে, দিগ্বিদিক-

শূন্য প্রাণ ছোটে অকুস্থল ছেড়ে,

জানে না ঠিক-বেঠিক,

আচার অনাচার

শুধু জানে বাঁচতে হবে। 


জিজ্ঞাস্য কিছু নেই,

দেখো ঘাটে ভিড়েছে সাম্পান! 

ওপারে বোধিদ্রুম,

হয়ত বা, এপারে গরলস্নান। 





শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২

বাম-ডান

 

আচার বিচার জানিনে ছাই কদাচারের পক্ষে নই!
তাই না দেখে ভাবছে বামে বুঝি ডানের পক্ষে কই!

নিয়ম-রীতি, ভড়ং নীতি উভয় দিকে বেশ ভালো!
ডান বলেছে বাম যে আঁধার, বাম বলেছে ডান কালো!

মতামতের হতাহতে গুনতে গিয়ে সীমা নাই!
দিবারাতি হাতাহাতি, এর গায়ে ও ছুঁড়ছে ছাই!
_________________________________

Nihilism এর নাম প্রগতি নয়! Iconoclastic হয়ে গেলেই মুক্তি তাও নয়!

বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২

মনে পরে আমি হেরেছি


তের নদীপাড়ে তেরটি কল্প হেঁটেছি,

বিকল্প ছিল অজানা। 

পায়রার পায়ে বেঁধে চিরকুট দেখেছি,

সে আর মেলেনি ডানা। 


ঠিকানা কোথায় তাও যে জানতে বাকী,

আকাশের গায় ভাষা বুনে গেছি বিস্তর-

কোথায় পাঠাব পাখী? 


বনানীর ধারে শ্যামল ক্ষেত্রে

শিবা-সেনানীর তারকা-নেত্রে

রাত্রি বিবশ, নিকষ তমসা, মাঝে তার 

যেন জেনেছি- 


শুধু আমি আছি, আমি আছি। 


অখিল অচল হয়েছে, অক্ষি হয়েছে প্রস্তর,

অক্ষত আছি, স্বাক্ষী কে দেবে, 

বিবাদে যখন অন্তর? 


ঘুনে ধরা কথা গুনে গুনে লিখে,

কবিতার দায় সেরেছি।

বিজয়মাল্য গলায় নেবার ক্ষণ,

মনে পরে আমি হেরেছি। 

মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২

হতে কি না বলো

 


তোমার সীমান্তে তুমি যদি জানতে 

এলোমেলো ঝড়,

কারো বাসা ভেঙে যায়,

কারো অন্তর,

তবে কি সে পোড়া দেশেধুলোমাটি ভালবেসে,

হাজার প্রহর,

এভাবেই রয়ে যেতেএতটা পাথর-

হতে কি না বলো

হত নাকি ব্যথা বুকে আঁখি টলোমলো


ঘুমহারা রাত্রির গায়ে চাঁদ হাসে,

জ্যোছনার আলো ঝরে উঠোনের ঘাসে।

ঝিকিমিকি জোনাকির ছুটোছুটি অস্থির-

তুমি যদি জানতেতোমার সীমান্তে

তারা বাঁধে ঘর

কত রাগ-রাগিনীরকত মধু স্বর,

তবে কি সে দূর দেশেউদাসী মেঘের বেশে

এত মন্থর

এভাবেই বয়ে যেতেহতে না মুখর?

হতে কি না বলো?

হত কি না ব্যথা বুকে আঁখি টলোমলো?

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

এই খেদে বিশাখে রটে

 

মহামায়ার এমনি মায়া, কি দারুণ ভেল্কি বটে,

বুঝিতে কে পারে ওমা ঘটে ঘটে কি বা ঘটে! 

পেয়ে রে গরল গন্ধ, তাই ত্যাজে রে মকরন্দ, 

নিত্য ধনে করে সন্দ, কেঁদে মরে কি সংকটে! 

ওমা তুমি যে পরমানন্দ, বুঝে তবু মনে দ্বন্দ্ব

এমনতর কপাল মন্দ, এই খেদে বিশাখে রটে! 

সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২

ঐ আসিল মা হেমবরণী

 

ঐ আসিল মা হেমবরণী হেরম্বে লয়ে কোলে 

জগজনে হেরি জগদম্বে জগদুখ যত ভোলে। 

পেয়ে ভবরাণী ভূধর-ভবন

গিরিরাণী আজি সুখ-নিমগন, 

উঠিল মাতিয়া গগন পবন সুধারাশি কলরোলে। 

ঐ আসিল মা হেমবরণী হেরম্বে লয়ে কোলে।।


৩-১০-২২

অষ্টমী 









রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

অন্যে যেন নাহি জানে

 

দরিদ্রে পাইলে রতন সেকি অযতনে রাখে?

  • কমলাকান্ত ভট্টচার্য্য। 


দরিদ্রে পাইল রতন, রাখি কি বা অযতনে?

রেখেছি হৃদয়ে শ্যামা, দেখাব কি জনে জনে? 


দীনের সম্বল ধন, হৃদিপদ্মে ও চরণ-

স্মরি নিতি অনুক্ষণ, নিরজনে মনে মনে। 


দুটি কথা দুটি সুরে, বেঁধেছি তায় অন্তঃপুরে,

খিল দিয়ে নবদ্বারে, গাই তারে ক্ষণে ক্ষণে। 


বিরলে বিশাখ ভাষে, মন ভুলো না কথার বশে,

মায়ে পোয়ে এমনি থাকো, অন্যে যেন নাহি জানে। 

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

ভবিষ্য ও হবিষ্য

 

বুঝতে নারি, ঘোর কলি কাল

কোনটে পুজো, কোনটে থিম,

ভবিষ্য কি জানিনে ছাই-

হবিষ্যে খাই সেদ্ধ ডিম! 


ঋণ করে চাই ঘি এর ধারা, 

ফাও পেলে হই পাগলপারা,

রঙ-তামাশা লাগামছাড়া-

কে খেতে চায় হিম বা শিম? 


চটকে দিয়ে পিণ্ডি কত,

মাইক বাজে গো কয়েক শত,

অমায়িকের দলে যত-

বোলচে 'মশাই ততঃ কিম?’ 


বুকের কথা নাই ক’ মুখে 

সাহস কোথা দাঁড়াই ঠুকে,

দিনে কতক বিড়ি ফুঁকে-

ফর্শা হবার মাখছি ক্রিম! 



শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কৈ লো শৈলজায়া

 

কৈ লো শৈলজায়া দুঃখরাতি পোহাইল,

মোছো মা নয়নজল, মহামায়া ঘরে এলো। 

আলো করি দশদিশি, হের হাসে উমাশশী,

মৃগেন্দ্রবাহনা হেরি নগেন্দ্র দুয়ার খোলো! 

সুরাসুরমুনিগণে যাহারে না পায় ধ্যানে

তাহারে পেয়েছ মা, এ ভাবিয়া দুখ ভোলো।

চিন্তিয়া বিশাখ ভনে, এ আনন্দ আয়োজনে

এ দীন পতিত জনে, মা’র কিগো মনে র’ল! 


এই বছর মাইকের হল্লায় একটি স্বরচিত আগমনী পেশ করতে পারলাম না গেয়ে। এই গানটা এই মাত্র লিখলাম। ইচ্ছে রইল সামনের পূজায় গাইবার। 


৩০/১০/২০২২

পঞ্চমী।


বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আমিও জননী

 

উঠ হে নগাধিরাজ উমারে আনিতে আজ, ওগো কৈলাস-সদন।

হের, পঞ্চমী সমাগত, প্রাণে দি’ প্রবোধ কত, আনো চন্দ্র-বদন-

ত্বরা, না দেখিয়া প্রাণ-তারা, বরষভরে পাষাণঘরে, বড় শূন্য লাগে।

লোকমুখে কত শুনি, শিবসনে অভাগিনী শ্মশানবাসিনী, ভস্ম-রাগে-

কনকঅঙ্গ ঢাকি হয়েছে নাকি দারিদ্র্যে কাতর! গিরি চল হে সত্ত্বর।

কি সুখে রয়েছে এথা, তনয়া তরে নাহি ব্যথা, ও হে অচল ভূধর!

পিতা তুমি, প্রস্তর-অন্তর তব, আমি মাতা, কি বা কব, প্রাণনাথ-

রমণীর দুখ, নাহিক’ বুঝিতে পারো, যাও দ্রুত, শিব-অগ্রে দু’হাত-

পাতিয়া কহ, 'দেহ উমাধনে শূলপাণি, জামাতা জানি তোমা বটে;

ত্রিলোকবন্দ্য হও, দয়ার-বারিধি তুমি, সুরাসুরাদিজনে সর্বত্র রটে। 

দেহ গৌরী ত্রিপুরারি ত্রিদিবস লাগি, পথ চাহি জাগ্রত মর্ত্য-ভুবন,

দশমী প্রভাত হলে, যথারীতি এসো চলে, তিলমাত্র অন্যথা-বচন-

নাহি হবে কহিল গিরিরাণী। জামাতা হয়েছ, জানো আমিও জননী’! 



মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আমি কোথায় পিছিয়ে আছি?

 

আমি কোথায় পিছিয়ে আছি?

আমি তো এখনো ঠাঁই সটান দাঁড়ানো কাকতাড়ুয়ার মত 

ঠিক যেখানে ছিলাম। বরং তোমরা চলেছ পথ,

তাই যেন ভ্রম হল। 


যে পথে যাবার জোটেনি রথ, যন্ত্র-শকট-

পোতাশ্রয়চ্যুত তরী যখন ভেড়েনি কূলে- 

আমি ওখানে আছি, নড়িনি এক পা! 


তোমরা এগুলে, তাই ভ্রম হল-

বুঝি আমি পিছিয়ে গেলাম, আমি তো এখনো সটান, ঠাইঁ-

দাঁড়ানো ভাদরে ভরা তালবৃক্ষ প্রায় 

হে বন্ধু। 


প্রত্যাশা ছিল না যেতে, তাই আক্ষেপের ধূলিঝড়

চোখে দেয়নি হানা। উড়বার সাধ নেই-

তাই মেলেনি ডানা- স্কন্ধে আমার,

ওতে ব্যথিত কেন হব? 


তোমরা উড়েছ, তাই যেন ভ্রম হল-

মনে হল- আমি ধুলোয় পড়ে মিলিয়ে গেছি-

অবলীলায় অদৃশ্যের অন্ধ মায়ায়,

অহেতুক- অর্বাচীনতায়-

সে সব লিখে লিখে যা পড়তে জানে না কেউ। 


আমি তো এখানে ঠাঁই দাঁড়িয়ে, সটান খাড়া পাহাড়ের মত,

ঝরনা ধরে বক্ষ ভাসাই

তোমরা এগুলে বলে। যেন ভ্রম হল-

আমারও কি যেতে হবে, আমিও কি যেতে চাই? 


সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ঘরে ফেরার আগমনী

 

এই নব রাগিণীর আগমনী গাই, নব ছন্দের দোলা

নবারুণ-করে কেটেছে আঁধার, ঘরে ফের পথভোলা। 

প্রেম হিল্লোল জলদপুঞ্জে, বিহগ মুখর পুষ্পকুঞ্জে

পরাগ অঙ্গে ভ্রমর গুঞ্জে, ফিরে দেখ- দ্বার খোলা। 

নিশীথ আকাশে শশধর হাসে, জলধর স্রোতে তরণী-

ভাসিয়ে নাবিক ভুলেছ ভুবন, ঘর, পরিজন, ঘরণী।

হৃদয়ে কি আর নেই তরঙ্গ? যাচে না হৃদয় হৃদয়াসঙ্গ?

এখনি কি হল জীবন-ভঙ্গ, সাঙ্গ সকল খেলা? 





সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


 

বিগতসঙ্গ হে

তোরঙ্গে তোমার নির্ধনের ধন

নক্ষত্রপ্রভমণি, অনুস্যূত দ্যুতি;

অমানিশা অপসৃত, আলোক-রণন-

তার শুনি, মন্দ্রিত স্তুতি-

কোটি বর্ষ ধ্যানে

জলদ গম্ভীর। 


যে পথে যাও, পঙ্কজোদ্গত ভূমে,

ভূমা-তৃপ্ত ধূলিকণায় করুণা চুমে,

মহিম মহাস্থবির,

দানো সঞ্জীবনী হে নির্জীব নিষ্প্রাণে,

অনন্তের অমৃত, গরল বারিধির-

মন্থন শেষে। 


আমি বিন্দুমাত্র যেচে

ফিরি শূন্য হাতে। 


গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...