শ্রীঅণ্ডবাকোবাচঃ
________________________
হেরি এ মানবকুল অপক্ক গণিতে,
রচিব গণিত বিধি এবে সরলতর করি!
কোথা বৎস অপ্রকাশ প্রকাশ ক্ষণেক,
মসীপাত্রে দাও দেখি কিছু কালি ভরি!
অপ্রকাশোবাচঃ
______________________
ক্ষমা মাগি গুরুবর তব শ্রীচরণে,
‘ডিম্বোপনিষদ’ রচনান্তে
যবে প্রভূ ধরিলেন সমাধির ধ্যান,
শতেক বৎসর করি সে রূপের পূজা,
আশির্বাদে লভিলাম কাব্যের জ্ঞান,
তাহে সমস্ত মসীর কালি বিনষ্ট হয়!
শ্রীঅণ্ডবাকোবাচঃ
_____________________
তোর পরে সমর্পিয়া আশ্রমের ভার,
ভাবিলাম সমস্ত বাড়িবে ক্রমে, নাহি হবে ক্ষয়,
ইহা কি করিলি ছোরা, অনঙ্গপ্রভাবে-
কাব্যে সাধন শক্তি করি অবক্ষয়-
নষ্ট করি দৈববলে প্রাপ্ত যত কালি,
মমদত্ত শিক্ষা-দীক্ষা দিলি জলাঞ্জলি!
বুঝি দিবারাত্র ধূম্রময়-
করি গঞ্জিকাবাসর, লইয়া স্ববান্ধবজনে-
প্রমোদে লিখিয়া পদ্য মদ্যপায়ী যত,
যতকে পামর-
করিলি এ তপোভূমি কলঙ্ককলুষ!
দূর হ সম্মুখ হতে, দূর হ এক্ষণে
ক্রোধাগ্নিরে দিতে নারি, ক্ষনেক অঙ্কুশ-
তুই ভস্ম হয়ে যাবি!
অপ্রকাশোবাচঃ
___________________________
ক্ষমা, ক্ষমা, হে করুণার্ণব,
অজ্ঞানে করিনু নাথ এ হীনতম দোষ,
ভগবন,তুচ্ছ দাসের প্রতি কৃপা সঞ্চারি-
দয়েশ্বর, দয়ানিধি সংবর রোষ!
পড়িয়া বিশাখপঙ্কে ভাবিলাম
শাখামৃগতুল্য জীবন তবে ধন্য করি ভবে,
শাস্ত্র-পুঁথি নিত্যকর্ম নিত্য ত্যাজি দূরে,
কবিত্ব-পরাক্রমে উদিত হই যবে-
তবে শিরোপরে গুরুকৃপা সার্থক জানি!
আজ ভাঙিল সে ভ্রমের পাশ,
প্রভূ রাঙা ঠ্যাঙে রাখো, দাও হে ঠ্যাঙানি-
তথাপি মিনতি করি- ত্যাজিও না মোরে,
তুমি বিনা নাই নৌকা এ ভবার্ণব ঘোরে!
৯.৬.২০২০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন