সকলে পাবে না জানি যথোচিত স্থান
অথচ অনেক অপাত্রে আছে ভরে-
দুদিনের তরেই বা হোক- তবু সে ঈশ্বরেরই দান,
অথচ দেখো, কারো আজও শূন্য ঝুলি,
সেখানে কিচ্ছুটি নেই!
কানা-কড়িটি নেই, বিলাপের
বাক্য নেই একটিও,
ফ্যালফ্যালে চোখের গভীরে
কত আরো গভীর কবিতার বাণী-
ঢেউ খেলে যায়, তুমি জানো
না বটে, আমি তো জানি,
তাতেও কিচ্ছুটি নেই!
[তুমি একা বাঁচো, আর কেউ
বাঁচে না সাথে,
কোন সংবেদী রাগের কঁকিয়ে
মরার মত- এ বিচিত্র বাঁচা,
একা বাঁচো, বেঁচে রও,
অতন্দ্র রাতে,
জানো- এর বেশী পাবে না
কিছুই, তবুও বাঁচতে হবে,
এ কেমন লঘু পাপে গুরু
সাঁজা-
কে জানে!
যদিও সম্বল বলে রয় না
কিছুই আখেরে,
যাবে না কিছুই কিছুর সাথে
বোঝাপড়া করে শেষ মুহূর্তে
তবুও কত তঞ্চক, তস্করের
ঘর ভরে যায়!
এদিকে আমি কত অভিশংসিত
দেখো, কি দিয়ে কি করতে-
ভিখিরিপনা করে কত কি চাই-
তবু আমার কিচ্ছুটি নেই!
জিতে যায়, জিতে যাবে
ঈশ্বরের দল,
আমি একাই হারব যদি, এমন
সুফল-
আমি সানন্দে মানি,
আমি জানি-
আমার আর হারাবারও
কিচ্ছুটি নেই!]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন